অপরাধ করলে বিচার হয় না সব পুলিশের by আবু সালেহ আকন
অপরাধ করলে বিচার হয় না পুলিশের। এমন অনেক পুলিশ সদস্যই রয়েছেন যারা অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন। সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। এ দিকে পুলিশে ‘প্রত্যাহার’ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই মনে করেন কোনো অপরাধের পর পুলিশে প্রত্যাহারের বিষয়টি স্রেফ আইওয়াশ। প্রত্যাহারের পরই তাদেরকে আবারো কোনো না কোনো স্থানে পদায়ন করা হয়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় গুরুতর অভিযোগ উঠলেও তাদেরকে প্রত্যাহারও করা হয় না।
কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন থামছে না। একের পর এক অভিযোগ। আজ এখানে তো কাল সেখানে, অভিযোগ আছেই। সর্বশেষ গতকাল চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ নিজে অস্ত্র দিয়ে উল্টো অস্ত্র উদ্ধারের নাটক করছে বলেও অভিযোগ করেন ওই নেতার স্ত্রী।
সম্প্রতি ফটিকছড়ির ভূজপুর বাগানবাজার এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শুক্রবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শাহাদাত হোসেন সাজুর স্ত্রী রোজিনা আক্তার। রোজিনা আক্তার বলেছেন, আমার স্বামী অস্ত্রধারী নয়, আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই সব অভিযোগে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারও করা হয়। কিন্তু ওই প্রত্যাহার পর্যন্তই শেষ, তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাথে পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে বিব্রত পুলিশের হাইকমান্ডও। ব্যাংক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করা, ডিসিসি কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করা, যাত্রাবাড়ীতে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানি, ৩১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদের সামনে। থানার এসআই রতনসহ কয়েকজন এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মিরপুর-১ নম্বর গোদারাঘাট এলাকায় নিজের দোকানে স্টোভের আগুনে দগ্ধ হন বাবুল মাতুব্বর (৪৫)। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বাবুলের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল চুলার আগুনে। পরে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাহ আলী থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেন, কিছু কিছু ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত বা প্রত্যাহার করা হলেও অধিকাংশ অভিযোগের কোনো তদন্তই হয় না। আর প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ মনে করেন প্রত্যাহার স্রেফ আইওয়াশের জন্য। যেটা না করলেই নয়। আবার যাত্রাবাড়ী থানার ওসির বিরুদ্ধে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলেও তিনি এখনো বহাল তবিয়তে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে সদর দফতরের সিকিউরিটি সেলে সাত হাজার ৯১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ জমা পড়ে। যার মধ্যে গুরুতর অভিযোগ এসেছে চার হাজার ৭৮৮ জনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে হত্যা, ধর্ষণ কিংবা মাদক ব্যবসার মতো অভিযোগও রয়েছে। বাকি তিন হাজার ৯১২ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে টাকা না পেয়ে নির্যাতন, বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া, সাধারণ মানুষকে হয়রানিসহ বিভিন্ন অসদাচরণের। গত বছর অপরাধের সাথে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ৩২ পুলিশ সদস্য ধরা পড়েছেন বলে সদর দফতর সূত্র জানায়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এক হাজার ৩৪ জনের বিরুদ্ধে। গুরুতর অভিযোগে গত বছর ৭৪ জনকে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে কনস্টেবল ও এএসআই পর্যায়ের সদস্য বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছে ৯৬০ পুলিশ সদস্যকে। অপর একটি সূত্র জানায়, গত বছর সারা দেশে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে অনেক অভিযোগের কোনো তদন্তই হয়নি।
এ সম্পর্কে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো: নজরুল ইসলাম বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে বিধি মোতাবেক তদন্ত করা হয়। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ দিকে মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহিদুল হক বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি অপরাধ করে থাকে, তবে এটা তার ব্যক্তিগত অপরাধ। এ অপরাধের দায় পুলিশবাহিনীর নয়, বাহিনীর ওপর অপরাধের দায় বর্তাবে না। যেসব পুলিশ অপরাধ করছে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, বরখাস্ত করা হচ্ছে, তদন্তের পর অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। কোনো পুলিশ সদস্যই আইনের ঊর্ধ্বে নন। গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন
কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন থামছে না। একের পর এক অভিযোগ। আজ এখানে তো কাল সেখানে, অভিযোগ আছেই। সর্বশেষ গতকাল চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ নিজে অস্ত্র দিয়ে উল্টো অস্ত্র উদ্ধারের নাটক করছে বলেও অভিযোগ করেন ওই নেতার স্ত্রী।
সম্প্রতি ফটিকছড়ির ভূজপুর বাগানবাজার এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শুক্রবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শাহাদাত হোসেন সাজুর স্ত্রী রোজিনা আক্তার। রোজিনা আক্তার বলেছেন, আমার স্বামী অস্ত্রধারী নয়, আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই সব অভিযোগে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারও করা হয়। কিন্তু ওই প্রত্যাহার পর্যন্তই শেষ, তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাথে পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়ে বিব্রত পুলিশের হাইকমান্ডও। ব্যাংক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করা, ডিসিসি কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আহত করা, যাত্রাবাড়ীতে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানি, ৩১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদের সামনে। থানার এসআই রতনসহ কয়েকজন এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মিরপুর-১ নম্বর গোদারাঘাট এলাকায় নিজের দোকানে স্টোভের আগুনে দগ্ধ হন বাবুল মাতুব্বর (৪৫)। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বাবুলের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল চুলার আগুনে। পরে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শাহ আলী থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেন, কিছু কিছু ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত বা প্রত্যাহার করা হলেও অধিকাংশ অভিযোগের কোনো তদন্তই হয় না। আর প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ মনে করেন প্রত্যাহার স্রেফ আইওয়াশের জন্য। যেটা না করলেই নয়। আবার যাত্রাবাড়ী থানার ওসির বিরুদ্ধে গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলেও তিনি এখনো বহাল তবিয়তে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে সদর দফতরের সিকিউরিটি সেলে সাত হাজার ৯১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ জমা পড়ে। যার মধ্যে গুরুতর অভিযোগ এসেছে চার হাজার ৭৮৮ জনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে হত্যা, ধর্ষণ কিংবা মাদক ব্যবসার মতো অভিযোগও রয়েছে। বাকি তিন হাজার ৯১২ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে টাকা না পেয়ে নির্যাতন, বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া, সাধারণ মানুষকে হয়রানিসহ বিভিন্ন অসদাচরণের। গত বছর অপরাধের সাথে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ৩২ পুলিশ সদস্য ধরা পড়েছেন বলে সদর দফতর সূত্র জানায়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এক হাজার ৩৪ জনের বিরুদ্ধে। গুরুতর অভিযোগে গত বছর ৭৪ জনকে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে কনস্টেবল ও এএসআই পর্যায়ের সদস্য বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছে ৯৬০ পুলিশ সদস্যকে। অপর একটি সূত্র জানায়, গত বছর সারা দেশে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। তবে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে অনেক অভিযোগের কোনো তদন্তই হয়নি।
এ সম্পর্কে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো: নজরুল ইসলাম বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে বিধি মোতাবেক তদন্ত করা হয়। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ দিকে মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহিদুল হক বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি অপরাধ করে থাকে, তবে এটা তার ব্যক্তিগত অপরাধ। এ অপরাধের দায় পুলিশবাহিনীর নয়, বাহিনীর ওপর অপরাধের দায় বর্তাবে না। যেসব পুলিশ অপরাধ করছে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, বরখাস্ত করা হচ্ছে, তদন্তের পর অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। কোনো পুলিশ সদস্যই আইনের ঊর্ধ্বে নন। গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন
No comments