ভূমিকম্পে কাঁপল তাইওয়ান- ধসে পড়েছে একাধিক বহুতল ভবন, নিহত কমপক্ষে ১৩, বহু নিখোঁজ
শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে গতকাল তাইওয়ানের তাইনান শহরে ধসে পড়া ১৬ তলা ভবনটির সামনে নিরাপত্তা ও উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতা l ছবি: রয়টার্স |
তাইওয়ানের
দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহাসিক শহর তাইনানে গতকাল শনিবার সকালে ভয়াবহ ভূমিকম্প
আঘাত হেনেছে। একটি ১৬ তলাসহ মোট ১১টি ভবন ধসে পড়েছে। এতে সর্বশেষ পাওয়া
খবর অনুযায়ী, অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকে আছে
আরও অনেকে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ
সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে বলছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৪।
খবর এএফপির।
তাইওয়ানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চেন উই জেন বলেন, নতুন চান্দ্রবর্ষের ছুটির কারণে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ১৬ তলা ভবনে অনেক বেশি বাসিন্দা ছিল। তবে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় কতজন বাসিন্দা ছিল তা নিশ্চিত নয়। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ভবনে ৯৬টি অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। তাইনানের অগ্নিনির্বাপক বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা লি পো মিন বলেন, ওই ভবনে ২৪০ জনের মতো বাসিন্দা ছিল। তবে কতজন আটকা পড়ে আছে, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো ধারণা দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধারকর্মীরা জানান, ভোরের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। উদ্ধারকর্মীরা মই বেয়ে ১৬ তলা ভবনের জানালা দিয়ে আটকে পড়া ব্যক্তিদের টেনে বের করে আনার চেষ্টা করেন। ক্রেন ও খননযন্ত্র দিয়ে কংক্রিটের দেয়ালগুলো ভাঙা হয়। উদ্ধারকর্মীদের সহায়তা করতে আরও ৪০০ সেনা সেখানে গেছে।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র লিন কুয়ান চেং বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ মাসের শিশু, একজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন। তাঁরা তাঁদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। ৩০ জনের বেশি এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকে আছে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।
তাইওয়ানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চেন উই জেন বলেন, নতুন চান্দ্রবর্ষের ছুটির কারণে অন্যান্য সময়ের তুলনায় ১৬ তলা ভবনে অনেক বেশি বাসিন্দা ছিল। তবে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় কতজন বাসিন্দা ছিল তা নিশ্চিত নয়। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ভবনে ৯৬টি অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। তাইনানের অগ্নিনির্বাপক বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা লি পো মিন বলেন, ওই ভবনে ২৪০ জনের মতো বাসিন্দা ছিল। তবে কতজন আটকা পড়ে আছে, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো ধারণা দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধারকর্মীরা জানান, ভোরের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। উদ্ধারকর্মীরা মই বেয়ে ১৬ তলা ভবনের জানালা দিয়ে আটকে পড়া ব্যক্তিদের টেনে বের করে আনার চেষ্টা করেন। ক্রেন ও খননযন্ত্র দিয়ে কংক্রিটের দেয়ালগুলো ভাঙা হয়। উদ্ধারকর্মীদের সহায়তা করতে আরও ৪০০ সেনা সেখানে গেছে।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র লিন কুয়ান চেং বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ মাসের শিশু, একজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন। তাঁরা তাঁদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। ৩০ জনের বেশি এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকে আছে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।
ধসে পড়া ১৬ তলা ভবনটির ভেতর থেকে একটি শিশুকে উদ্ধার করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা l ছবি: রয়টার্স |
বহুতল ভবনটি ছাড়াও
ক্ষতিগ্রস্ত আরেকটি সাততলা ভবন থেকে ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাইনান
শহরের ধসে যাওয়া ভবনগুলো থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০০ জনকে উদ্ধার করা
হয়েছে। শতাধিক জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন
উদ্ধারকর্মীরা।
খবরে জানানো হয়, ধসে পড়া ১৬ তলা ভবনের উল্টোদিকে থাকতেন চ্যাং নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের সময় টিভি দেখছিলেন। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকুনি শুরু হয়। কিছু একটা পতনের শব্দ শুনতে পান। দরজা খুলে দেখেন, উল্টোদিকের ভবনটি ধসে পড়েছে। তিনি মই ও কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ধসে পড়া ভবনের জানালায় এক নারী কাঁদছিলেন। তিনি তাঁর স্বামী ও শিশুকে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু গ্যাস বিস্ফোরণের ভয়ে চ্যাং ধসে যাওয়া ভবনের ভেতরে যাননি। ধসে যাওয়া ভবনের অনেকে উদ্ধারের জন্য ডাকাডাকি করছিলেন। মই ছোট হওয়ায় চ্যাং তাঁদের উদ্ধার করতে পারেননি।
বহুতল ভবনের এক বাসিন্দা স্থানীয় টিভি চ্যানেল সেট টিভিকে বলেন, তিনি দেখলেন ভবনটি ঝুঁকছে। বাঁয়ে, ডানে দুলতে দুলতে ভবনটি নিচের দিকে দেবে যায়। দোতলা ও তিনতলা ধসে পড়ার পর তিনি গ্যাসের গন্ধ পান।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো বলছে, ভূমিকম্পের পর তাইনানে বেশ কয়েকটি পরাঘাত হয়। প্রেসিডেন্ট মা ইং জউ বলেছেন, আটকে পড়াদের উদ্ধারে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। ভূমিকম্পের পর তাইনানে ১ লাখ ৬৮ হাজার বাড়ির বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
তাইওয়ানে এর আগেও ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে চারজনের মৃত্যু হয় ও ব্যাপক ভূমিধস হয়। ১৯৯৯ সালে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে ২ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারায়।
নেপালে ভূমিকম্প: নেপালে শুক্রবার রাতে ভূমিকম্প হয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার এই ভূমিকম্প নেপালে আঘাত হানে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর মেলেনি।
খবরে জানানো হয়, ধসে পড়া ১৬ তলা ভবনের উল্টোদিকে থাকতেন চ্যাং নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের সময় টিভি দেখছিলেন। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকুনি শুরু হয়। কিছু একটা পতনের শব্দ শুনতে পান। দরজা খুলে দেখেন, উল্টোদিকের ভবনটি ধসে পড়েছে। তিনি মই ও কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ধসে পড়া ভবনের জানালায় এক নারী কাঁদছিলেন। তিনি তাঁর স্বামী ও শিশুকে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু গ্যাস বিস্ফোরণের ভয়ে চ্যাং ধসে যাওয়া ভবনের ভেতরে যাননি। ধসে যাওয়া ভবনের অনেকে উদ্ধারের জন্য ডাকাডাকি করছিলেন। মই ছোট হওয়ায় চ্যাং তাঁদের উদ্ধার করতে পারেননি।
বহুতল ভবনের এক বাসিন্দা স্থানীয় টিভি চ্যানেল সেট টিভিকে বলেন, তিনি দেখলেন ভবনটি ঝুঁকছে। বাঁয়ে, ডানে দুলতে দুলতে ভবনটি নিচের দিকে দেবে যায়। দোতলা ও তিনতলা ধসে পড়ার পর তিনি গ্যাসের গন্ধ পান।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো বলছে, ভূমিকম্পের পর তাইনানে বেশ কয়েকটি পরাঘাত হয়। প্রেসিডেন্ট মা ইং জউ বলেছেন, আটকে পড়াদের উদ্ধারে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। ভূমিকম্পের পর তাইনানে ১ লাখ ৬৮ হাজার বাড়ির বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
তাইওয়ানে এর আগেও ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে চারজনের মৃত্যু হয় ও ব্যাপক ভূমিধস হয়। ১৯৯৯ সালে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে ২ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারায়।
নেপালে ভূমিকম্প: নেপালে শুক্রবার রাতে ভূমিকম্প হয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার এই ভূমিকম্প নেপালে আঘাত হানে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর মেলেনি।
No comments