তেলের সঙ্গে কোকেন- পাঁচ আসামির এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
চট্টগ্রাম বন্দরে তেলের চালানে কোকেন শনাক্তের মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আসামিরা হলেন চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে আজাদ, পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদি আলম ও আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল। র্যাবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, তেলের চালানে কোকেন শনাক্তের মাদক মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-৭-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী দুই দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-৭-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী আজ বিকেলে বলেন, আগে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামি নূর মোহাম্মদসহ ছয় আসামিকে কয়েক দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হবে। কোকেনের গন্তব্য সম্পর্কে তাঁদের কাছ থেকে তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে।
আসামি গোলাম মোস্তফা ও মেহেদি আলমের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ বলেন, মামলাটি যখন নগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করেছিল তখনো আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা না থাকায় রিমান্ড বাতিলের আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
গত বছরের ৬ জুন পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বলিভিয়া থেকে সূর্যমুখী তেলের এ চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয় গত বছরের ১২ মে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের খানজাহান আলী লিমিটেডের নামে চালানটি আনা হয়। চালানটি ধরা পড়ার পর প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ দাবি করেন, কেউ তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেছে। এই পণ্য আমদানির সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা নেই। আমদানি করা তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ২৭ জুন একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত করা হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) নমুনায় কোকেন শনাক্ত করে। কোকেন জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ২৭ জুন নূর মোহাম্মদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। তদন্ত শেষে ১৯ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি নূর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে লন্ডনপ্রবাসী দুই বাংলাদেশিসহ আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। ৭ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে আজাদ, পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদি আলম ও আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল। র্যাবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম নুরুল আলম মোহাম্মদ নিপু শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, তেলের চালানে কোকেন শনাক্তের মাদক মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-৭-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী দুই দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-৭-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী আজ বিকেলে বলেন, আগে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামি নূর মোহাম্মদসহ ছয় আসামিকে কয়েক দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হবে। কোকেনের গন্তব্য সম্পর্কে তাঁদের কাছ থেকে তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে।
আসামি গোলাম মোস্তফা ও মেহেদি আলমের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ বলেন, মামলাটি যখন নগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করেছিল তখনো আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা না থাকায় রিমান্ড বাতিলের আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
গত বছরের ৬ জুন পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বলিভিয়া থেকে সূর্যমুখী তেলের এ চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয় গত বছরের ১২ মে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের খানজাহান আলী লিমিটেডের নামে চালানটি আনা হয়। চালানটি ধরা পড়ার পর প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ দাবি করেন, কেউ তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেছে। এই পণ্য আমদানির সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা নেই। আমদানি করা তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ২৭ জুন একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত করা হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) নমুনায় কোকেন শনাক্ত করে। কোকেন জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ২৭ জুন নূর মোহাম্মদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। তদন্ত শেষে ১৯ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি নূর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে লন্ডনপ্রবাসী দুই বাংলাদেশিসহ আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। ৭ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
No comments