বোনকে ধর্ষণের তকমা ভাইয়ের কাঁধে
বোনকে
ধর্ষণ করেছিল প্রতিবেশী শাহ আলম। আর সেই ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে পুলিশের
কাছে গ্রেপ্তার হলো কিশোর তাশফিক। এখানেই শেষ নয়, নিজের বোনকে ধর্ষণ করার
অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দেয়া হয় মামলা।
পুলিশের দুই এসআই কারেন্টের শক দিয়ে করেছে নির্যাতন। মোটা অংকের টাকা খেয়ে মূল আসামি শাহ আলমকে গভীর রাতে ছেড়ে দিয়ে পরিবারটির ওপর মানসিকভাবে চাপ দিতে থাকে।
গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এভাবেই সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন তাশফিক ও তার মা। বারবারই বলছিলেন, আমাদের শক্তি নেই বলে আমরা কি বিচার পাবো না। এই সমাজে কি আমাদের কোন মানসম্মান নেই। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি টাকার জোরে আমাদের পরিবারের ওপর কলঙ্ক এঁকে দেবে, আর সেই ঘটনার কোন বিচার কি হবে না?
ধর্ষিতার ভাই তাশফিক বলে, বোনের বিচার চাইতে গেলে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি আমাকে বলে, তুই তোর বোনকে ধর্ষণ করেছিস। এই কে আছিস ওকে গ্রেপ্তার কর। এরপর দুইজন এসআই আমাকে ধরে হাজতে আটকে রাখে। এরপর শুরু হয় নির্মম নির্যাতন।
কিশোরটি আরও বলে, ওসির নির্দেশে আমাকে কারেন্টের শক দেয়া হয়। এরপর মুমূর্ষু অবস্থায় মামলা দায়ের করে সেই মামলায় আমাকে ধর্ষক হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আমাকে ওসি বলে যদি প্রাণে বাঁচতে চাস তাহলে বলবি তুই তোর বোনকে ধর্ষণ করেছিস। এই কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। মারধর করে সাদা কাগজে টিপসই নেয়ার প্রসঙ্গে কিশোর তাশফিক বলে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশ প্রতিবেশী ধর্ষক শাহ আলমের পক্ষ অবলম্বন করে। আমি বলেছি, নিজের বোনকে ধর্ষণ করার অপবাদ কখনোই নেবো না। এই কথা শুনে থানা হাজতে আমার মাকে ধরে নিয়ে এসে সেখানে সাদা কাগজে টিপসই নেয়া হয়। কিশোর তাশফিক যখন কেঁদে কেঁদে এসব কথা বলছিল তখন তার মা তার সঙ্গে ছিলেন। তিনিও অঝোর ধারায় সেখানে কেঁদে কেঁদে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বিচার চাইছিলেন। ছিলেন নিম্নবিত্ত বাবাসহ আরও এক ভাই। একটু দূরেই দেখা যায় ধর্ষণের শিকার তার বোনটিও।
ধর্ষিতার পরিবার জানান, ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গুনিয়ার মিনাগাজীর টিলা এলাকায়। কিশোর তাশফিকের বোনের বয়স ১৩ বছর। প্রভাবশালী শাহ আলম তাকে ফুসলিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তা জানাজানি হয়। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেয়েটির মাকে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য চাপ দেন শাহ আলম। অন্যথায় মেয়েটিকে খুন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
কিশোর তাশফিকের মা বলেন, ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে পরবর্তীতে এ নিয়ে পুলিশের হয়রানি আমাদের আরো নরকে নিয়ে যায়। গত ৭ই মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমি মেয়েটিকে নিয়ে থানায় যাই মামলা দায়ের করতে। এই ঘটনায় আসামি করে মামলা করলে পুলিশ পরদিন শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়।
ছাড়া পেয়ে শাহ আলম আমাদের একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। এই ঘটনায় থানার ওসি হুমায়ুন কবির ও এসআই মুজিবুর রহমান জড়িত। তারা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শাহ আলমকে ছেড়ে দেন।
ধর্ষিতার মা নূরনাহার বেগম বলেন, পুলিশ নতুন করে একটি চার্জশিট করেছে যেখানে শাহ আলমকে বাদ দেয়া হয়েছে। ১৪ বছর বয়সী আমার ছেলেকে জোর করে ধরে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে হাইকোর্ট শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নামের একজন আইনজীবী রিট করেছেন। এই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। রাঙ্গুনিয়ার লোকজন অভিযুক্ত ওসিসহ ধর্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশের দুই এসআই কারেন্টের শক দিয়ে করেছে নির্যাতন। মোটা অংকের টাকা খেয়ে মূল আসামি শাহ আলমকে গভীর রাতে ছেড়ে দিয়ে পরিবারটির ওপর মানসিকভাবে চাপ দিতে থাকে।
গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এভাবেই সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন তাশফিক ও তার মা। বারবারই বলছিলেন, আমাদের শক্তি নেই বলে আমরা কি বিচার পাবো না। এই সমাজে কি আমাদের কোন মানসম্মান নেই। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি টাকার জোরে আমাদের পরিবারের ওপর কলঙ্ক এঁকে দেবে, আর সেই ঘটনার কোন বিচার কি হবে না?
ধর্ষিতার ভাই তাশফিক বলে, বোনের বিচার চাইতে গেলে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি আমাকে বলে, তুই তোর বোনকে ধর্ষণ করেছিস। এই কে আছিস ওকে গ্রেপ্তার কর। এরপর দুইজন এসআই আমাকে ধরে হাজতে আটকে রাখে। এরপর শুরু হয় নির্মম নির্যাতন।
কিশোরটি আরও বলে, ওসির নির্দেশে আমাকে কারেন্টের শক দেয়া হয়। এরপর মুমূর্ষু অবস্থায় মামলা দায়ের করে সেই মামলায় আমাকে ধর্ষক হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আমাকে ওসি বলে যদি প্রাণে বাঁচতে চাস তাহলে বলবি তুই তোর বোনকে ধর্ষণ করেছিস। এই কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। মারধর করে সাদা কাগজে টিপসই নেয়ার প্রসঙ্গে কিশোর তাশফিক বলে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশ প্রতিবেশী ধর্ষক শাহ আলমের পক্ষ অবলম্বন করে। আমি বলেছি, নিজের বোনকে ধর্ষণ করার অপবাদ কখনোই নেবো না। এই কথা শুনে থানা হাজতে আমার মাকে ধরে নিয়ে এসে সেখানে সাদা কাগজে টিপসই নেয়া হয়। কিশোর তাশফিক যখন কেঁদে কেঁদে এসব কথা বলছিল তখন তার মা তার সঙ্গে ছিলেন। তিনিও অঝোর ধারায় সেখানে কেঁদে কেঁদে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বিচার চাইছিলেন। ছিলেন নিম্নবিত্ত বাবাসহ আরও এক ভাই। একটু দূরেই দেখা যায় ধর্ষণের শিকার তার বোনটিও।
ধর্ষিতার পরিবার জানান, ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গুনিয়ার মিনাগাজীর টিলা এলাকায়। কিশোর তাশফিকের বোনের বয়স ১৩ বছর। প্রভাবশালী শাহ আলম তাকে ফুসলিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তা জানাজানি হয়। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেয়েটির মাকে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য চাপ দেন শাহ আলম। অন্যথায় মেয়েটিকে খুন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
কিশোর তাশফিকের মা বলেন, ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে পরবর্তীতে এ নিয়ে পুলিশের হয়রানি আমাদের আরো নরকে নিয়ে যায়। গত ৭ই মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমি মেয়েটিকে নিয়ে থানায় যাই মামলা দায়ের করতে। এই ঘটনায় আসামি করে মামলা করলে পুলিশ পরদিন শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়।
ছাড়া পেয়ে শাহ আলম আমাদের একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। এই ঘটনায় থানার ওসি হুমায়ুন কবির ও এসআই মুজিবুর রহমান জড়িত। তারা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শাহ আলমকে ছেড়ে দেন।
ধর্ষিতার মা নূরনাহার বেগম বলেন, পুলিশ নতুন করে একটি চার্জশিট করেছে যেখানে শাহ আলমকে বাদ দেয়া হয়েছে। ১৪ বছর বয়সী আমার ছেলেকে জোর করে ধরে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে হাইকোর্ট শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নামের একজন আইনজীবী রিট করেছেন। এই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। রাঙ্গুনিয়ার লোকজন অভিযুক্ত ওসিসহ ধর্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
No comments