ভারতের ৯০ হাজার বর্গমিটার এলাকা নিজেদের দাবি চীনের
ভারতের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিকে সিং জানিয়েছেন মিয়ানমার, বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কার
সাথে ভারতের কোনো সীমান্ত সমস্যা নেই। আছে শুধু চীন ও পাকিস্তানের সাথে।
চীন অরুণাচল প্রদেশে ভারতের ৯০ হাজার বর্গমিটার এলাকা নিজেদের বলে দাবি
করেছে।
তিনি গত বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ কথা জানান।
তিনি আরো জানান, জম্মু কাশ্মীরেও ৩৮ হাজার বর্গমিটার জায়গা দখল করে আছে চীন।
১৯৬৩ সালের ২ মার্চ সম্পাদিত চীন পাকিস্তান সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান চীনকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এলাকার ৫ হাজার ১৮০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা ছেড়ে দিয়েছে।
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী ভিকে সিং বলেন, বিভিন্ন উচ্চ পযার্য়ের বৈঠকে চীনকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, অরুণাঞ্চল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছিন্ন অংশ।
ভারত চীন উভয় দেশের মধ্যে সামরিক ক্ষেত্রেসহ সীমান্ত এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ লাইন (লাইন অব একচ্যুয়াল কন্ট্রোল (লাক) বরাবর নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণে আস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালের নভেম্বর একটি চুক্তি হয়। ঐ চুক্তির আরো কিছুধারা সংশোধন করা হয় ২০০৫ সালের এপ্রিলে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ লাইন মেনে চলতে এবং তা কার্যকর করতে ২০১৩ সালের অক্টোবরে সীমান্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি নামে আরো একটি চুক্তি সম্পাদন করা হয়। ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, এসব চুক্তি লক্ষ্য ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ দুটির মধ্যে বন্ধুত্ব আরো জোরদার করা।
চলতি বছর ২২-২৪ মার্চ নয়াদিল্লিতে সীমান্ত নিয়ে চীন-ভারতের মধ্যে ১৮তম বিশেষ প্রতিনিধি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চীন ভারতের সীমান্ত এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে কাজ করার জন্য পরামর্শ ও সহযোগিতা বিষয়ক কার্যনির্বাহী কমিটি (ডব্লিউএমসিসি) গঠন করা হয়।
বেইজিংয়ে গত ১৮ অক্টোবর ডব্লিউএমসিসির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমঝোতার মাধ্যমে কিভাবে উভয় দেশের মধ্যকার বিরোধের সমাধান করা যায় সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভারতের স্বদিচ্ছার কথাও জানান ভিকে সিং।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভিকে সিং জানান, ভারত বাংলাদেশের সাথে ৪০৯৬.৭ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগাভাগি করেছে, যা কোনো প্রতিবেশী দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি স্থলসীমান্ত।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দিকেই ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমানা নির্ধারণে একটি চুক্তি হয়েছিল। পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এ বছর বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় ৬ জুন একটি সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সূত্র : ওয়ান ইনডিয়া
তিনি গত বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ কথা জানান।
তিনি আরো জানান, জম্মু কাশ্মীরেও ৩৮ হাজার বর্গমিটার জায়গা দখল করে আছে চীন।
১৯৬৩ সালের ২ মার্চ সম্পাদিত চীন পাকিস্তান সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান চীনকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এলাকার ৫ হাজার ১৮০ বর্গ কিলোমিটার জায়গা ছেড়ে দিয়েছে।
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী ভিকে সিং বলেন, বিভিন্ন উচ্চ পযার্য়ের বৈঠকে চীনকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, অরুণাঞ্চল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছিন্ন অংশ।
ভারত চীন উভয় দেশের মধ্যে সামরিক ক্ষেত্রেসহ সীমান্ত এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ লাইন (লাইন অব একচ্যুয়াল কন্ট্রোল (লাক) বরাবর নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণে আস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালের নভেম্বর একটি চুক্তি হয়। ঐ চুক্তির আরো কিছুধারা সংশোধন করা হয় ২০০৫ সালের এপ্রিলে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ লাইন মেনে চলতে এবং তা কার্যকর করতে ২০১৩ সালের অক্টোবরে সীমান্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি নামে আরো একটি চুক্তি সম্পাদন করা হয়। ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, এসব চুক্তি লক্ষ্য ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ দুটির মধ্যে বন্ধুত্ব আরো জোরদার করা।
চলতি বছর ২২-২৪ মার্চ নয়াদিল্লিতে সীমান্ত নিয়ে চীন-ভারতের মধ্যে ১৮তম বিশেষ প্রতিনিধি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে চীন ভারতের সীমান্ত এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে কাজ করার জন্য পরামর্শ ও সহযোগিতা বিষয়ক কার্যনির্বাহী কমিটি (ডব্লিউএমসিসি) গঠন করা হয়।
বেইজিংয়ে গত ১৮ অক্টোবর ডব্লিউএমসিসির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমঝোতার মাধ্যমে কিভাবে উভয় দেশের মধ্যকার বিরোধের সমাধান করা যায় সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভারতের স্বদিচ্ছার কথাও জানান ভিকে সিং।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভিকে সিং জানান, ভারত বাংলাদেশের সাথে ৪০৯৬.৭ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগাভাগি করেছে, যা কোনো প্রতিবেশী দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি স্থলসীমান্ত।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দিকেই ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমানা নির্ধারণে একটি চুক্তি হয়েছিল। পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এ বছর বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় ৬ জুন একটি সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সূত্র : ওয়ান ইনডিয়া
No comments