আইএস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপে বিএনপির উদ্বেগ
জঙ্গি
সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস’র অস্তিত্ব নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে
উদ্দেশ্য করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের দেয়া বক্তব্য পররাষ্ট্রনীতিতে
প্রভাব পড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। সেইসাথে দোষারোপের
রাজনীতি না করে দেশের সঙ্কট উত্তরণে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন দিতে
সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে দলটি।
আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মূখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এ মাসের ১২ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশে আসছেন। আরেকজন কাউন্সিলরও আসছেন। এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ সফরের প্রাক্কালে সরকারের তথ্যমন্ত্রী, বিমান মন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী নানাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িয়ে কথা-বার্তা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে- সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়। এমনি একটি পররাষ্ট্রনীতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যদি একটি বিশেষ রাষ্ট্র বিরুদ্ধে যদি আঙ্গুল তুলে কথা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যদি দায়ী করা হয়, তাদেরকে ব্লেইম দেয়া হয়। আমাদের দল বিশ্বাস করে, না জেনে না বুঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি হয় এমন কোনো মন্তব্য সরকারের তরফ থেকে করা উচিৎ নয়।
রাজধানীতে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহিন, তকদির হোসেন জসিম, অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান রিপন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা জিএসপি এখন পযর্ন্ত ফিরে পাইনি। দেশটির সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, কোনো দেশের সাথে বাংলাদেশে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক থাকা উচিৎ নয়। সরকারের মন্ত্রীদের কথা-বার্তা ও আচরণে এই বৈরীতা যেন প্রকাশ না পায়। সুতরাং কোনো ব্লেইম গেইম না করে কেনো রাষ্ট্রকে দোষারোপ না করে মূল সমস্যা গণতন্ত্রের সঙ্কট সমাধানের দিকে সরকারকে নজর দিতে আমাদের দল দাবি জানাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির বিরুদ্ধে দোষারোপের রাজনীতি করে, দলের লোকজনকে গ্রেফতার করে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করার নামে সরকার দেশে-বিদেশে একটি হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যাতে করে তারা (সরকার) সক্ষম হন উগ্রপন্থার সাথে বিএনপি জড়িত রয়েছে। এভাবে নানা অপপ্রচার চালিয়ে তারা জাতীয়তাবাদী দলকে কোনঠাসা করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের এই চেষ্টা কোনোভাবে ফলপ্রসূ হবে না। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনীতি করে। ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের চিন্তা করে।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই- জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের যে অবস্থান- এটা বিএনপির অবস্থান। এ বিষয়ে সরকার, বিএনপি ও দেশের মানুষের সবার অবস্থান এক। এটার সাথে যেন কোনোভাবে বিএনপি বা অন্য কাউকে জড়ানোর চেষ্টা করা না হয়। সিলেটে আবদুল হকের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়েছে যে এগুলোর পেছনে কারা জড়িত, কীভাবে জড়িত? সুতরাং এখানে আইএস বা অন্যকিছু খোঁজার চেষ্টা সরকারের না করা ভালো।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা মনে করি, দেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের সঙ্কট রয়েছ। কিন্তু সরকার দেশ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিএনপিকে একটি উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে সরকার হয়তো আত্মতৃপ্তি পাবে। কিন্তু সঙ্কট থেকে বের হতে পারবে না।
সঙ্কট উত্তরণে এই মুহূর্তে একটি প্রতিযোগিতামুলক নির্বাচন এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন রিপন।
তিনি বলেন, বিশ্বের কাছে সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা ভোট চুরি করেন না এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম। পৌর নির্বাচন অবাধ করা সেই প্রক্রিয়ার একটি ধাপ।
আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মূখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এ মাসের ১২ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশে আসছেন। আরেকজন কাউন্সিলরও আসছেন। এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ সফরের প্রাক্কালে সরকারের তথ্যমন্ত্রী, বিমান মন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী নানাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িয়ে কথা-বার্তা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে- সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়। এমনি একটি পররাষ্ট্রনীতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যদি একটি বিশেষ রাষ্ট্র বিরুদ্ধে যদি আঙ্গুল তুলে কথা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যদি দায়ী করা হয়, তাদেরকে ব্লেইম দেয়া হয়। আমাদের দল বিশ্বাস করে, না জেনে না বুঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি হয় এমন কোনো মন্তব্য সরকারের তরফ থেকে করা উচিৎ নয়।
রাজধানীতে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহিন, তকদির হোসেন জসিম, অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান রিপন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা জিএসপি এখন পযর্ন্ত ফিরে পাইনি। দেশটির সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, কোনো দেশের সাথে বাংলাদেশে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক থাকা উচিৎ নয়। সরকারের মন্ত্রীদের কথা-বার্তা ও আচরণে এই বৈরীতা যেন প্রকাশ না পায়। সুতরাং কোনো ব্লেইম গেইম না করে কেনো রাষ্ট্রকে দোষারোপ না করে মূল সমস্যা গণতন্ত্রের সঙ্কট সমাধানের দিকে সরকারকে নজর দিতে আমাদের দল দাবি জানাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির বিরুদ্ধে দোষারোপের রাজনীতি করে, দলের লোকজনকে গ্রেফতার করে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করার নামে সরকার দেশে-বিদেশে একটি হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যাতে করে তারা (সরকার) সক্ষম হন উগ্রপন্থার সাথে বিএনপি জড়িত রয়েছে। এভাবে নানা অপপ্রচার চালিয়ে তারা জাতীয়তাবাদী দলকে কোনঠাসা করার ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের এই চেষ্টা কোনোভাবে ফলপ্রসূ হবে না। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বিএনপি গণতান্ত্রিক রাজনীতি করে। ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের চিন্তা করে।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই- জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের যে অবস্থান- এটা বিএনপির অবস্থান। এ বিষয়ে সরকার, বিএনপি ও দেশের মানুষের সবার অবস্থান এক। এটার সাথে যেন কোনোভাবে বিএনপি বা অন্য কাউকে জড়ানোর চেষ্টা করা না হয়। সিলেটে আবদুল হকের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়েছে যে এগুলোর পেছনে কারা জড়িত, কীভাবে জড়িত? সুতরাং এখানে আইএস বা অন্যকিছু খোঁজার চেষ্টা সরকারের না করা ভালো।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা মনে করি, দেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের সঙ্কট রয়েছ। কিন্তু সরকার দেশ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিএনপিকে একটি উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত করার চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে সরকার হয়তো আত্মতৃপ্তি পাবে। কিন্তু সঙ্কট থেকে বের হতে পারবে না।
সঙ্কট উত্তরণে এই মুহূর্তে একটি প্রতিযোগিতামুলক নির্বাচন এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন রিপন।
তিনি বলেন, বিশ্বের কাছে সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা ভোট চুরি করেন না এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম। পৌর নির্বাচন অবাধ করা সেই প্রক্রিয়ার একটি ধাপ।
No comments