তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধাবে রাশিয়া?
সিরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। এ যুদ্ধে হাইড্রোজেন বোমা ও কিয়ামতের বিমান ব্যবহার হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন কেয়ামতের বিমান দ্রুত অভিযান-উপযোগী করার নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার যুক্তরাজ্যের ডেইলি স্টার পত্রিকা এ খবর দিয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরমাণু ও হাইড্রোজেন বোমার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে স্থলে থাকা নিয়ন্ত্রণ কক্ষও যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তবে রাশিয়ার কেয়ামতের বিমান উড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হিসেবে কাজ করবে। আর এই বিমানগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যে এদের পরাজিত করা প্রায় অসম্ভব। এ ধরনের ইলিউশিন টু-৮০ মডেলের বিমানগুলোকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী করার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
বিশ্বে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কাছেই রয়েছে এ ধরনের বিমান। যুক্তরাষ্ট্র এগুলোকে ‘কেয়ামতের বিমান’ বলে থাকে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে এরই মধ্যে বিমানগুলোর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নও সম্পন্ন হয়েছে। রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এই যুদ্ধবিমানগুলো ২০১৫ সালের শেষের দিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে। কিন্তু পুতিন দুই সপ্তাহের মধ্যে এগুলোকে প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাইড্রোজেন বোমার প্রতিকৃতি প্রদর্শন করা হয় মস্কোতে।
বিশ্বে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কাছেই রয়েছে এ ধরনের বিমান। যুক্তরাষ্ট্র এগুলোকে ‘কেয়ামতের বিমান’ বলে থাকে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে এরই মধ্যে বিমানগুলোর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নও সম্পন্ন হয়েছে। রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এই যুদ্ধবিমানগুলো ২০১৫ সালের শেষের দিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে। কিন্তু পুতিন দুই সপ্তাহের মধ্যে এগুলোকে প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাইড্রোজেন বোমার প্রতিকৃতি প্রদর্শন করা হয় মস্কোতে।
হাইড্রোজেন বোমা কী? : পারমাণবিক বোমা থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা। নক্ষত্রে যে প্রক্রিয়ায় আলোক তৈরি করে। হাইড্রোজেন বোমা ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় কাজ করে। হাইড্রোজেন বোমার ভেতরে একটি মিনি সাইজের এটমবোমাও থাকে। বিস্ফোরণের পূর্ব মুহূর্তে বোমার ভেতরে একীভবনের ক্রিয়াটি শুরু করার জন্যই একে ধরে রাখা হয়। মূল বোমাটি বিস্ফোরণের আগেই এটি বিস্ফোরিত হয়। এএন৬০২ হাইড্রোজেন বোমাকে সংক্ষিপ্তাকারে জার বোমা বা এইচ বোমা নামে ডাকা হয়। ১৯৫৩ সালে এটি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের রাশিয়ায় আবিষ্কৃত হয়। সোভিয়েত পরমাণুবিজ্ঞানী আন্দ্রে শাখারভ হাইড্রোজেন বোমা আবিষ্কার করেন। এই বোমাকে সব বোমার জনক বলে ঘোষণা করা হয়। এ বোমার প্রতি ইঙ্গিত করে ১৯৬০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রকে একহাত দেখিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ। ১৯৬১ সালের ৩০ অক্টোবর মেরুবৃত্তের ভেতরের দ্বীপ নোভায়া জেমলিয়ায় ৫৮ মেগাটনের এই হাইড্রোজেন বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমায় ফেলা বোমার চেয়ে এই হাউড্রোজেন বোমাটি তিন হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী ছিল। প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইট এটমিক আর্কাইভের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরমাণু বোমা যেখানে জীবাশ্ম প্রতিক্রিয়ায় কাজ করে, হাইড্রোজেন বোমা সেখানে ধ্বংসাÍক গলন মিশ্রণ প্রতিক্রিয়া করে। পরমাণু বোমার চেয়ে যা কয়েক গুণ ক্ষতিসাধন করতে পারে। হাইড্রোজেন বোমা বিশ্বের পাঁচটি দেশের (রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও চীন) কাছে রয়েছে
কেয়ামত বিমান কী? : রাশিয়ার ইলিউশিন টু-৮০ বিমানকে যুক্তরাষ্ট্র ‘ডুমস ডে প্লেন বা কেয়ামত বিমান’ বলে অভিহিত করে। রুশ বিমান গবেষণা ও প্রস্তুত প্রকল্পের মহাপরিচালক আলেকসান্দ্র কমিয়াকভ বলেন, এই বিমানের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি অজেয়, একে পরাজিত করা যায় না। ভূমিতে কোনো নির্দিষ্ট স্থান থেকে যুদ্ধের নির্দেশ দেয়া হলে তা শনাক্ত এবং ধ্বংস করা সম্ভব। কিন্তু বিমানকে ‘নিয়ন্ত্রণ কক্ষ’ হিসেবে ব্যবহার করে আকাশ থেকে নির্দেশ দিলে তা শনাক্ত করা খুবই কঠিন। নিজেদের মূল কাজ সম্পর্কে কমিয়াকভ বলেন, অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও যোগাযোগটা বজায় রাখাই হচ্ছে এর প্রধান কাজ। মাটিতে থাকা অবকাঠামো যদি ধ্বংসও হয়ে যায়, তবু যেন যুদ্ধ ও পরিকল্পনা ঠিক থাকে, সেটা এখান থেকে লক্ষ্য রাখা হবে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কারা জিতবে? : তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে মানবজাতির অস্তিত্ব থাকবে না বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউকে ডেইলি স্টারের একটি জরিপ অনুযায়ী, মাত্র ২৬ শতাংশ মানুষ মনে করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে আগের দুটোর মতো যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন জয়লাভ করবে। অন্যদিকে অনেকেই মনে করে, রাশিয়া এখন ভাল্লুক। তাকে খেপিয়ে তুললে কেউ টিকবে না। ওই জরিপে আইএসকে তেলাপোকার সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়েছে- বিশ্ব ধ্বংস হলেও তেলাপোকা টিকবে। তবে ৫৪ শতাংশ মানুষ মনে করে, এ যুদ্ধে কেউই জয়ী হবে না, মানবজাতি ধ্বংস হবে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কারা জিতবে? : তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে মানবজাতির অস্তিত্ব থাকবে না বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউকে ডেইলি স্টারের একটি জরিপ অনুযায়ী, মাত্র ২৬ শতাংশ মানুষ মনে করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে আগের দুটোর মতো যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন জয়লাভ করবে। অন্যদিকে অনেকেই মনে করে, রাশিয়া এখন ভাল্লুক। তাকে খেপিয়ে তুললে কেউ টিকবে না। ওই জরিপে আইএসকে তেলাপোকার সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়েছে- বিশ্ব ধ্বংস হলেও তেলাপোকা টিকবে। তবে ৫৪ শতাংশ মানুষ মনে করে, এ যুদ্ধে কেউই জয়ী হবে না, মানবজাতি ধ্বংস হবে।
No comments