রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা: অর্থমন্ত্রী
রূপপুর
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা (১ হাজার ৩৫০
কোটি মার্কিন ডলার) ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল
মুহিত। কেন্দ্রটি থেকে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য
সরকারের।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রাশিয়ান ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশনের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এন স্পাস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার নিকোলায়েভ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট হবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। এর ১০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করবে বাংলাদেশ সরকার। ইউনিট দুটির কাজ শেষ হতে সময় লাগবে আট থেকে নয় বছর। তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে নন-কনসেশনাল শর্তে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। এতে গ্রেস পিরিয়ড থাকবে ১০ বছর। বাকি আট বছরে তা পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার হতে পারে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ।
রাশিয়া আগামী এক মাসের মধ্যে দুটি সাধারণ চুক্তি এবং আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে মূল চুক্তি করতে চায় বলে জানান আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণসহ অনেক কাজ করতে হবে। তাই তাঁরা বলেছেন, মূল চুক্তির আগেই কাজ শুরু করা দরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাধারণত চুক্তির শর্তাবলী যাচাই-বাছাই না করে কাজ শুরুর অনুমতি দিই না। তবে তাঁদের প্রস্তাবটি বিবেচনা করা হবে।’ তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করবে এক বছর। প্রথম বছরের পর বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় জ্বালানি ও অন্যান্য ব্যয় কমে আসবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় উপযুক্ত মানবসম্পদ তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য ২৫০ জনকে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।’ ইতিমধ্যে কতজনকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি জানি না। জানেন ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী)।’
পাবনার রূপপুরে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। এর প্রথম দফায় ৫ হাজার ৮৭ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা সরকারি ব্যয় ও চার হাজার কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য। প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার ঠিকাদার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে এ যাবৎ তিনটি চুক্তি হয়েছে পরমাণু শক্তি কমিশনের।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রাশিয়ান ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশনের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এন স্পাস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার নিকোলায়েভ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট হবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। এর ১০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করবে বাংলাদেশ সরকার। ইউনিট দুটির কাজ শেষ হতে সময় লাগবে আট থেকে নয় বছর। তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে নন-কনসেশনাল শর্তে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। এতে গ্রেস পিরিয়ড থাকবে ১০ বছর। বাকি আট বছরে তা পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার হতে পারে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ।
রাশিয়া আগামী এক মাসের মধ্যে দুটি সাধারণ চুক্তি এবং আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে মূল চুক্তি করতে চায় বলে জানান আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণসহ অনেক কাজ করতে হবে। তাই তাঁরা বলেছেন, মূল চুক্তির আগেই কাজ শুরু করা দরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাধারণত চুক্তির শর্তাবলী যাচাই-বাছাই না করে কাজ শুরুর অনুমতি দিই না। তবে তাঁদের প্রস্তাবটি বিবেচনা করা হবে।’ তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করবে এক বছর। প্রথম বছরের পর বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় জ্বালানি ও অন্যান্য ব্যয় কমে আসবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় উপযুক্ত মানবসম্পদ তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য ২৫০ জনকে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।’ ইতিমধ্যে কতজনকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি জানি না। জানেন ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী)।’
পাবনার রূপপুরে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। এর প্রথম দফায় ৫ হাজার ৮৭ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা সরকারি ব্যয় ও চার হাজার কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য। প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার ঠিকাদার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে এ যাবৎ তিনটি চুক্তি হয়েছে পরমাণু শক্তি কমিশনের।
No comments