‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ ও ভাত খাওয়ার গল্প by মশিউল আলম
পঞ্চগড়
শহরের এক খাবার হোটেলে সাতসকালে দেখেছিলাম, লোকজন ভাত খাচ্ছে। সাদা ভাত,
নুন আর একটুখানি সবজি কিংবা মুগডাল। সবজি বা মুগডালের পরিমাণ এতই কম যে তা
দিয়ে এক থালা ভাত খাওয়া যায় না।
এখানে সকালের নাশতার সময় মানুষ ভাত খায়? এই প্রশ্ন করেছিলাম হোটেলটির এক কর্মীকে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ১০ জন যদি খেতে আসে, তাদের মধ্যে পাঁচ বা ছয়জনই খায় ভাত। অন্যরা রুটি-পরোটা।
যাঁরা ভাত খাচ্ছিলেন, তাঁদের দেখে বোঝা যাচ্ছিল এবং তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছিলাম, তাঁরা শ্রমজীবী মানুষ: রিকশা বা ভ্যানগাড়ির চালক, দিনমজুর, খেতমজুর, রাজমিস্ত্রির জোগালি ইত্যাদি। এক রিকশাচালকের কাছে জেনেছিলাম, তিনি ভোর ছয়টায় খালি পেটে রিকশা নিয়ে বেরিয়েছেন, সাড়ে আটটা পর্যন্ত রিকশা চালানোর পর হাতে কিছু টাকা পেলে হোটেলে এসেছেন খাওয়ার জন্য। তাঁর খাওয়া মানে ভাত খাওয়া, গলা দিয়ে ভাত পেটে চালান করার জন্য সামান্য সবজি বা ডাল তাঁর খাদ্য গ্রহণের বিলাসী অংশ। রুটি খান না, কারণ তিন-চারটা ‘রুটি’তে তাঁর পেটের এক কোনাও ভরবে না, ১০ থেকে ১৫ এমনকি ২০টাও লাগতে পারে। তাঁর এত টাকা কোথায়? তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কবে শেষবারের মতো মাংস খেয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, এক বছর আগে কোরবানির ঈদের সময়। কদিন পরেই আবার কোরবানির ঈদ—এই কথা বলে তিনি হেসে বলেছিলেন, মাংসের স্বাদ আবার পেতে যাচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের সেই ‘ভাতজীবী’ মেহনতি মানুষদের ভাত খাওয়ার গল্প আজ মনে পড়ল প্রথম আলোর প্রথম পাতায় একটা প্রতিবেদন পড়তে পড়তে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থার ‘দ্য স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০১৫’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনের বক্তব্য হলো, জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) পূরণের ক্ষেত্রে কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে সফল দেশ। এটা সম্ভব হয়েছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ফলে। আমাদের দেশটি আয়তনে ছোট, কিন্তু লোকসংখ্যা অত্যন্ত বেশি। তা ছাড়া, বন্যা-খরাসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি এবং খাদ্য উৎপাদনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছি—এটাকে বিরাট অর্জন ও গৌরব বলে মনে করা হয়।
কিন্তু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার মানে কী? যে পঞ্চগড়ের মানুষের কথা বললাম, সেই জেলার কৃষক ও খেতমজুরেরা বছরে প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন করেন—এই তথ্যের মানে কী? মানে হলো ভাত। শুধুই ভাত। বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আসলে চাল (আর খুব সামান্য পরিমাণে গম ও ভুট্টা) উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। এটা একটা বড় সাফল্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, আগে এই দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের শুধু ভাতটুকুই জুটত না। আশ্বিন-কার্তিক মাসের মঙ্গায় অনেক মানুষ অনাহারে মারাও যেত। সেই অবস্থা থেকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি, এটা নিশ্চয়ই স্বস্তির বিষয়। কিন্তু এ নিয়ে আত্মতৃপ্তি বোধ করা ও গৌরব করার কিছু নেই।
কারণ, খাদ্যের এই স্বয়ংসম্পূর্ণতার বিপরীতে এখনো অনেক করুণ চিত্র আছে। পঞ্চগড়ের ওই রিকশাচালকের কাছে শুনেছি, তাঁর ঘরে তিনটি শিশু আছে। আমি তাদের দেখিনি। জানি না তারা দেখতে কেমন। বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের প্রায় ২৭ শতাংশ শিশু এখনো প্রকট পুষ্টিহীনতার শিকার। পৃথিবীর যেসব দেশের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা বয়সের তুলনায় খাটো, ওজনে কম, শুকনো ও অপুষ্ট; তাদের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ২০ নম্বরে। এ রকম দেশের তালিকায় আছে আফ্রিকার হতদরিদ্র দেশগুলো। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের সরকারি হাসপাতালে দেখেছি প্রচুর শিশু ও নারী রোগী। অপুষ্টির কারণে শিশু ও নারী, বিশেষ করে প্রসূতি মায়েরা নানা রকম অসুখে ভোগেন। চিকিৎসা পেলেও অপুষ্টির কারণে তাঁদের অসুখ সহজে সারে না। সারলেও তাঁরা অসুখে পড়েন বেশ ঘন ঘন। শীতকালে হাসপাতালগুলোতে শিশু রোগীর ভিড় অনেক বেড়ে যায়, অপুষ্টির কারণে তাদের হিমোগ্লোবিনের অভাব। সহজেই ঠান্ডা লেগে যায়, অনেক শিশু নিউমোনিয়াতে ভোগে। সার্বিক পুষ্টি–পরিস্থিতি ভালো হলে ওই শিশু ও নারীদের হয়তো অনেক অসুখই হতো না।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ইফপ্রি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যশক্তির প্রায় ৮০ শতাংশের জোগান আসে ভাত ও আলুজাতীয় খাবার থেকে। এটা দরিদ্র মানুষের খাদ্য; পুষ্টির অভাবে ভোগে প্রধানত তারাই। তাহলে ধরে নিতে হয়, ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অপুষ্টি দূর করতে কাজে আসছে না। অপুষ্টি দূর করতে হলে তাদের খাদ্যতালিকায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার যোগ করা প্রয়োজন। কিন্তু সেটা কে করবে? ইফপ্রির ওই প্রতিবেদন আরও বলেছে, বাংলাদেশ গত এক দশকে সবজি, মাছ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছে। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? দরিদ্র মানুষের পাতে কি এসব দামি খাবার জোটে? জাতীয় অর্থনীতির বিপুল প্রবৃদ্ধি কি দরিদ্র শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর অপুষ্টি দূর করতে পেরেছে? দুই বা তিন বেলা শুধু ভাতে কি অপুষ্টি দূর হয়?
এক পরিসংখ্যানে দেখি, এই দেশের মানুষের আমিষের চাহিদার ৪৯ শতাংশ পূরণ হয় ভাত থেকে। আমি জানতাম, ভাত শর্করা, তাতে আমিষ থাকে না। কিন্তু এক পুষ্টিবিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, চালে আমিষও থাকে, তবে খুবই সামান্য পরিমাণে।
এও রক্ষে! নইলে দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষেরা কীভাবে প্রাণ ধারণ করত আর কীভাবেই-বা উদয়াস্ত হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে এই দেশের ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা’র ধারাবাহিকতা রক্ষা করত? কী করে নিশ্চিত হতো তাদের ‘খাদ্যনিরাপত্তা’?
ঢাকা, ১৬ অক্টোবর ২০১৫
মশিউল আলম: সাংবাদিক।
mashiul.alam@gmail.com
এখানে সকালের নাশতার সময় মানুষ ভাত খায়? এই প্রশ্ন করেছিলাম হোটেলটির এক কর্মীকে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ১০ জন যদি খেতে আসে, তাদের মধ্যে পাঁচ বা ছয়জনই খায় ভাত। অন্যরা রুটি-পরোটা।
যাঁরা ভাত খাচ্ছিলেন, তাঁদের দেখে বোঝা যাচ্ছিল এবং তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছিলাম, তাঁরা শ্রমজীবী মানুষ: রিকশা বা ভ্যানগাড়ির চালক, দিনমজুর, খেতমজুর, রাজমিস্ত্রির জোগালি ইত্যাদি। এক রিকশাচালকের কাছে জেনেছিলাম, তিনি ভোর ছয়টায় খালি পেটে রিকশা নিয়ে বেরিয়েছেন, সাড়ে আটটা পর্যন্ত রিকশা চালানোর পর হাতে কিছু টাকা পেলে হোটেলে এসেছেন খাওয়ার জন্য। তাঁর খাওয়া মানে ভাত খাওয়া, গলা দিয়ে ভাত পেটে চালান করার জন্য সামান্য সবজি বা ডাল তাঁর খাদ্য গ্রহণের বিলাসী অংশ। রুটি খান না, কারণ তিন-চারটা ‘রুটি’তে তাঁর পেটের এক কোনাও ভরবে না, ১০ থেকে ১৫ এমনকি ২০টাও লাগতে পারে। তাঁর এত টাকা কোথায়? তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কবে শেষবারের মতো মাংস খেয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, এক বছর আগে কোরবানির ঈদের সময়। কদিন পরেই আবার কোরবানির ঈদ—এই কথা বলে তিনি হেসে বলেছিলেন, মাংসের স্বাদ আবার পেতে যাচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের সেই ‘ভাতজীবী’ মেহনতি মানুষদের ভাত খাওয়ার গল্প আজ মনে পড়ল প্রথম আলোর প্রথম পাতায় একটা প্রতিবেদন পড়তে পড়তে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থার ‘দ্য স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০১৫’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনের বক্তব্য হলো, জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) পূরণের ক্ষেত্রে কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে সফল দেশ। এটা সম্ভব হয়েছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ফলে। আমাদের দেশটি আয়তনে ছোট, কিন্তু লোকসংখ্যা অত্যন্ত বেশি। তা ছাড়া, বন্যা-খরাসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি এবং খাদ্য উৎপাদনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছি—এটাকে বিরাট অর্জন ও গৌরব বলে মনে করা হয়।
কিন্তু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার মানে কী? যে পঞ্চগড়ের মানুষের কথা বললাম, সেই জেলার কৃষক ও খেতমজুরেরা বছরে প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন করেন—এই তথ্যের মানে কী? মানে হলো ভাত। শুধুই ভাত। বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আসলে চাল (আর খুব সামান্য পরিমাণে গম ও ভুট্টা) উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। এটা একটা বড় সাফল্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, আগে এই দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের শুধু ভাতটুকুই জুটত না। আশ্বিন-কার্তিক মাসের মঙ্গায় অনেক মানুষ অনাহারে মারাও যেত। সেই অবস্থা থেকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি, এটা নিশ্চয়ই স্বস্তির বিষয়। কিন্তু এ নিয়ে আত্মতৃপ্তি বোধ করা ও গৌরব করার কিছু নেই।
কারণ, খাদ্যের এই স্বয়ংসম্পূর্ণতার বিপরীতে এখনো অনেক করুণ চিত্র আছে। পঞ্চগড়ের ওই রিকশাচালকের কাছে শুনেছি, তাঁর ঘরে তিনটি শিশু আছে। আমি তাদের দেখিনি। জানি না তারা দেখতে কেমন। বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের প্রায় ২৭ শতাংশ শিশু এখনো প্রকট পুষ্টিহীনতার শিকার। পৃথিবীর যেসব দেশের পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা বয়সের তুলনায় খাটো, ওজনে কম, শুকনো ও অপুষ্ট; তাদের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ২০ নম্বরে। এ রকম দেশের তালিকায় আছে আফ্রিকার হতদরিদ্র দেশগুলো। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের সরকারি হাসপাতালে দেখেছি প্রচুর শিশু ও নারী রোগী। অপুষ্টির কারণে শিশু ও নারী, বিশেষ করে প্রসূতি মায়েরা নানা রকম অসুখে ভোগেন। চিকিৎসা পেলেও অপুষ্টির কারণে তাঁদের অসুখ সহজে সারে না। সারলেও তাঁরা অসুখে পড়েন বেশ ঘন ঘন। শীতকালে হাসপাতালগুলোতে শিশু রোগীর ভিড় অনেক বেড়ে যায়, অপুষ্টির কারণে তাদের হিমোগ্লোবিনের অভাব। সহজেই ঠান্ডা লেগে যায়, অনেক শিশু নিউমোনিয়াতে ভোগে। সার্বিক পুষ্টি–পরিস্থিতি ভালো হলে ওই শিশু ও নারীদের হয়তো অনেক অসুখই হতো না।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ইফপ্রি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যশক্তির প্রায় ৮০ শতাংশের জোগান আসে ভাত ও আলুজাতীয় খাবার থেকে। এটা দরিদ্র মানুষের খাদ্য; পুষ্টির অভাবে ভোগে প্রধানত তারাই। তাহলে ধরে নিতে হয়, ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অপুষ্টি দূর করতে কাজে আসছে না। অপুষ্টি দূর করতে হলে তাদের খাদ্যতালিকায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার যোগ করা প্রয়োজন। কিন্তু সেটা কে করবে? ইফপ্রির ওই প্রতিবেদন আরও বলেছে, বাংলাদেশ গত এক দশকে সবজি, মাছ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছে। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? দরিদ্র মানুষের পাতে কি এসব দামি খাবার জোটে? জাতীয় অর্থনীতির বিপুল প্রবৃদ্ধি কি দরিদ্র শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর অপুষ্টি দূর করতে পেরেছে? দুই বা তিন বেলা শুধু ভাতে কি অপুষ্টি দূর হয়?
এক পরিসংখ্যানে দেখি, এই দেশের মানুষের আমিষের চাহিদার ৪৯ শতাংশ পূরণ হয় ভাত থেকে। আমি জানতাম, ভাত শর্করা, তাতে আমিষ থাকে না। কিন্তু এক পুষ্টিবিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, চালে আমিষও থাকে, তবে খুবই সামান্য পরিমাণে।
এও রক্ষে! নইলে দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষেরা কীভাবে প্রাণ ধারণ করত আর কীভাবেই-বা উদয়াস্ত হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে এই দেশের ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা’র ধারাবাহিকতা রক্ষা করত? কী করে নিশ্চিত হতো তাদের ‘খাদ্যনিরাপত্তা’?
ঢাকা, ১৬ অক্টোবর ২০১৫
মশিউল আলম: সাংবাদিক।
mashiul.alam@gmail.com
No comments