বন্দরের গাড়ি পুলিশকে দেয়ার বিপক্ষে বারভিডা
মংলা বন্দরে পড়ে থাকা ২ হাজার ৭৯টি গাড়ি পুলিশের তত্ত্বাবধানে রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির মালিকদের সংগঠন বারভিডা। একই সঙ্গে আটকে থাকা গাড়িগুলো ছাড় করার সুপারিশ করেছে তারা। বুধবার রাজধানীর পল্টনের আকরাম টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বারভিডার সভাপতি আবদুল হামিদ শরীফ এবং সাবেক সভাপতি আবদুল হক। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে সংগঠনটির অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল হামিদ শরীফ বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মংলা বন্দরে ২ হাজার ৭৯টি গাড়ি খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব গাড়ির বাজারমূল্য প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেশি পুরাতন গাড়ি ৫১২টি এবং ৮৮৪টি গাড়ি শুল্কায়ন মূল্যের জটিলতায় আটকে আছে। বাকি ৬৮৩টি গাড়ি ২০১৫ সালে আমদানি করা। এগুলো রাজনৈতিক গোলযোগের কারণে খালাস করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি গাড়িগুলোর উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমদানি নীতি উপেক্ষা করে ব্যবহারযোগ্য গাড়িগুলো পুলিশ বাহিনী হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তে সমগ্র ব্যবসায়ী সমাজ বিস্মিত এবং হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের বেইলআউট (সমস্যা থেকে উত্তরণ) সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের সে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। উল্টো আমাদের গাড়িগুলোকে পুলিশের তত্ত্বাবধানে দিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের হত্যা করে পুলিশ বাহিনীকে বাঁচালে দেশের অর্থনীতি টিকবে না। আবদুল হামিদ আরও বলেন,
এতদিন বাংলাদেশে জাপানি গাড়ির বিক্রির পাশাপাশি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে জাপানিদের উৎসাহ দিয়ে এসেছি। জাপানে আমরা বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করি। এখন তাদের গাড়ি একটি সরকারি বাহিনীকে দেয়া হচ্ছে, এ খবর জাপানিরা শুনলে বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হবে না। আবদুল হক বলেন, এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে একটি খারাপ বার্তা যাবে। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু এটা চাননি। এ সিদ্ধান্তকে স্থগিত রেখে আমদানিকারকদের সঙ্গে বসলে উত্তরণের একটি পথ বেরিয়ে আসবে। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের কোনো দফতর গাড়ি নিলে টাকা দিয়েই নেবে। এ জন্য তো আমাদের সঙ্গে বসতে হবে। দাম তো শুধু ক্রেতা ঠিক করতে পারে না। এর জন্য বিক্রেতাকে দরকার হয়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উইন উইন সিচুয়েশন সৃষ্টি করতে হবে।
No comments