রাজবর্মের আড়ালে সৌদি যুবরাজদের মাদক ব্যবসা
সৌদি
আরবের রাজপরিবার এখন সীমাহীন অপরাধ, দুর্নীতি, যৌন কেলেঙ্কারি ও সন্ত্রাসী
কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত। তাত্ত্বিকভাবে ইসলামী আইনে পরিচালিত এই রাষ্ট্রটির
ক্ষমতাসীনরা আদতে ইসলামবিরোধী অপকর্মে সিদ্ধহস্ত। সম্প্রতি সৌদি যুবরাজদের
মাদক ব্যবসা ও যৌন কেলেঙ্কারির খবরে পুরো মুসলিম বিশ্ব অস্বস্তিতে পড়েছে।
মুসলিম বিশ্বের অঘোষিত মোড়ল ও পশ্চিমা সাম্রাজ্যের কাছে টাকার কুমির হওয়ায়
তাদের অপরাধকে আলোচনার বিষয়বস্তু করতে চায় না কেউ। ধর্মীয় আবেগ আর
রাজবর্মের কাছে ঢাকা পড়েছে সৌদির ক্ষমতালোভী, ভোগবাদী অন্ধকার অপরাধ জগৎ।
সোমবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে দুই টন মাদকসহ এক সৌদি যুবরাজের আটক হওয়ার ঘটনায় সামনে এসেছে যুবরাজদের মাদক ব্যবসা। সৌদি যুবরাজ আবদেল মোহসেন বিল ওয়ালিদ বিন আবদুল আজিজ বৈরুত বিমানবন্দর দিয়ে দুই টন ‘ক্যাপটাগন’ বড়ি ও কিছু কোকেন পাচারের সময় এদিন চার সঙ্গীসহ আটক হন।
লেবাননের জাতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত বিমানে ৪০টি স্যুটকেসে করে ক্যাপটাগন বড়ি বৈরুত থেকে রিয়াদে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। দেশটিতে সবচেয়ে বড় মাদক চোরাচালানের নজির এটি, যা বৈরুত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নস্যাৎ করে দেয়। ক্যাপটাগন হল অ্যাম্ফিটামাইন ফেনেথিলাইনের বাজারি নাম। ক্যাপটাগন শরীরে কৃত্রিম উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যে কারণে তা যৌন উত্তেজক বড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বজুড়ে ক্যাপটাগন নিষিদ্ধ। তবে মধ্যপ্রাচ্যের লোকরা যৌন উত্তেজক বড়ি হিসেবে নিষিদ্ধ এই ক্যাপটাগনকেই বেশি পছন্দ করে। বলা হচ্ছে, সিরিয়ার যোদ্ধারা বর্তমানে এর বড় ভোক্তা। সৌদি যুবরাজ চোরাচালানের এই অন্ধকার রাজত্ব পরিচালনা করেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে সৌদি প্রিন্স নায়েফ বিন সুলতান বিন ফায়েজ আল সালান ভেনিজুয়েলা থেকে ফ্রান্সে কোকেন চোরাচালানিতে অভিযুক্ত হন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বেভারলি হিলস ম্যানশনে এক সৌদি যুবরাজ জোর করে এক নারীর সঙ্গে যৌনাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। বৃহস্পতিবার ৩ লাখ ডলার জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান সাবেক সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর ছেলে মাজেদ আবদুল আজিজ আল সউদ।
২০১৩ সালে আরেক যুবরাজ মিশাইল আলাইবান ক্যালিফোর্নিয়ায় এক কেনীয় নারীকে জোর করে দাসী বানিয়ে রাখার অপরাধে অভিযুক্ত হন। কিন্তু তার বিরুদ্ধেও শেষ পর্যন্ত কোনো বিচারিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ২০১০ সালে প্রিন্স সউদ বিন আবদুল আজিজ বিন নাসির আল সউদ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে লন্ডনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। বিচারক তার রায়ে বলেন, রাজপরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে আপনাকে সাজা বাড়িয়ে দেয়া বা কমিয়ে দিলে তার ভুল বিচার হবে। ২০১০ সালের উইকিলিকস ফাঁস করা এক তারবার্তায় বলা হয়, সৌদি প্রিন্স ১৫০ নারী-পুরুষ নিয়ে উচ্চমাত্রার অ্যালকোহল সেবন করে হ্যালুয়িন পার্টির আয়োজন করেছিলেন।
উইকিলিকসের ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ইসলামবহির্ভূত অবৈধ প্রক্রিয়ায় সৌদি আরবের শাসন ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছে এই সউদ পরিবার। থাকা রাজপরিবারের সদস্যরা এমন হাজারও অপকর্ম করলেও তার রাজতান্ত্রিক বিধানে তাদের কোনো বিচার নেই।
অথচ দেশটিতে একেবারে লঘু অপরাধে গুরুদণ্ড দেয়া হয়। দেশটির মাদক আইনে গত জুন ও আগস্টে দুই পাকিস্তানিসহ অনেককেই শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। আর ভোগবাদী সউদ রাজপরিবারের ১৫ হাজার রাজকুমার-রাজকুমারীরা সব আইনের ঊর্ধ্বে।
সোমবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে দুই টন মাদকসহ এক সৌদি যুবরাজের আটক হওয়ার ঘটনায় সামনে এসেছে যুবরাজদের মাদক ব্যবসা। সৌদি যুবরাজ আবদেল মোহসেন বিল ওয়ালিদ বিন আবদুল আজিজ বৈরুত বিমানবন্দর দিয়ে দুই টন ‘ক্যাপটাগন’ বড়ি ও কিছু কোকেন পাচারের সময় এদিন চার সঙ্গীসহ আটক হন।
লেবাননের জাতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত বিমানে ৪০টি স্যুটকেসে করে ক্যাপটাগন বড়ি বৈরুত থেকে রিয়াদে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। দেশটিতে সবচেয়ে বড় মাদক চোরাচালানের নজির এটি, যা বৈরুত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নস্যাৎ করে দেয়। ক্যাপটাগন হল অ্যাম্ফিটামাইন ফেনেথিলাইনের বাজারি নাম। ক্যাপটাগন শরীরে কৃত্রিম উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যে কারণে তা যৌন উত্তেজক বড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বজুড়ে ক্যাপটাগন নিষিদ্ধ। তবে মধ্যপ্রাচ্যের লোকরা যৌন উত্তেজক বড়ি হিসেবে নিষিদ্ধ এই ক্যাপটাগনকেই বেশি পছন্দ করে। বলা হচ্ছে, সিরিয়ার যোদ্ধারা বর্তমানে এর বড় ভোক্তা। সৌদি যুবরাজ চোরাচালানের এই অন্ধকার রাজত্ব পরিচালনা করেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে সৌদি প্রিন্স নায়েফ বিন সুলতান বিন ফায়েজ আল সালান ভেনিজুয়েলা থেকে ফ্রান্সে কোকেন চোরাচালানিতে অভিযুক্ত হন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বেভারলি হিলস ম্যানশনে এক সৌদি যুবরাজ জোর করে এক নারীর সঙ্গে যৌনাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। বৃহস্পতিবার ৩ লাখ ডলার জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান সাবেক সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর ছেলে মাজেদ আবদুল আজিজ আল সউদ।
২০১৩ সালে আরেক যুবরাজ মিশাইল আলাইবান ক্যালিফোর্নিয়ায় এক কেনীয় নারীকে জোর করে দাসী বানিয়ে রাখার অপরাধে অভিযুক্ত হন। কিন্তু তার বিরুদ্ধেও শেষ পর্যন্ত কোনো বিচারিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ২০১০ সালে প্রিন্স সউদ বিন আবদুল আজিজ বিন নাসির আল সউদ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে লন্ডনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। বিচারক তার রায়ে বলেন, রাজপরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে আপনাকে সাজা বাড়িয়ে দেয়া বা কমিয়ে দিলে তার ভুল বিচার হবে। ২০১০ সালের উইকিলিকস ফাঁস করা এক তারবার্তায় বলা হয়, সৌদি প্রিন্স ১৫০ নারী-পুরুষ নিয়ে উচ্চমাত্রার অ্যালকোহল সেবন করে হ্যালুয়িন পার্টির আয়োজন করেছিলেন।
উইকিলিকসের ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ইসলামবহির্ভূত অবৈধ প্রক্রিয়ায় সৌদি আরবের শাসন ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছে এই সউদ পরিবার। থাকা রাজপরিবারের সদস্যরা এমন হাজারও অপকর্ম করলেও তার রাজতান্ত্রিক বিধানে তাদের কোনো বিচার নেই।
অথচ দেশটিতে একেবারে লঘু অপরাধে গুরুদণ্ড দেয়া হয়। দেশটির মাদক আইনে গত জুন ও আগস্টে দুই পাকিস্তানিসহ অনেককেই শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। আর ভোগবাদী সউদ রাজপরিবারের ১৫ হাজার রাজকুমার-রাজকুমারীরা সব আইনের ঊর্ধ্বে।
No comments