সিপ্রাস কি প্রতারণা করলেন? by ডেভিড প্যাট্রিকারাকোস
গ্রিক
প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস গত বছরের শেষের দিকে তাঁর নির্বাচনী
প্রচারণার শেষ পর্যায়ে ক্রিটি দ্বীপে প্রচারণার সময় দ্বীপটির ঐতিহ্যবাহী
বাদ্যযন্ত্র আর নাচের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘আমরা ঢোল বাজাব, আর ওরা
নাচবে। আর যেহেতু আমরা ক্রিটিতে, তাই আমরা লাইরা বাজাব, আর বাজার
পেনদোজালি নাচবে।’
তার ছয় মাস পর বাজার না নাচলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। আর সিপ্রাস যদি কোনো ড্রাম বাজিয়ে থাকেন, তবে তা বাজাচ্ছেন ধীরে, তাতে শোকের আবহ আছে।
কদিন আগে সিপ্রাস জনগণকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁর সরকার কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি ত্যাগ করবে, যার জন্য গ্রিস পঙ্গু হতে বসেছে। কিন্তু সেই তিনিই এমন একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করলেন, তাতে আরও কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে, কর বাড়াতে হবে আর দুর্ভোগ আরও বাড়বে। সংসদে ঋণদাতাদের প্রস্তাব পাসও হয়ে গেছে, যদিও সিরিজা পার্টির অনেক সদস্যই তাতে ‘না’ ভোট দিয়েছেন। গ্রিস সরকারের জ্বালানিমন্ত্রী পানাইয়োতিস লাফাজানিস বলেছিলেন, তিনি এই প্রস্তাবে ভোট দেবেন না। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। আমরাও সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানতে পারিনি। আবার সিরিজা পার্টির জোটের সদস্য ইনডিপেনডেন্ট গ্রিকস পার্টির প্রধান পানোস কামেনোস বলেছিলেন, তাঁর দল ভোটে অংশ নেবে না। কিন্তু লাফাজানিসের মতো তিনিও বলেননি, এই প্রস্তাব পাস হলে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বা তাঁর দল জোট থেকে বেরিয়ে যাবে।
আমার কোনো সন্দেহ নেই যে সিপ্রাস এখন এগিয়েই যাবেন। নিজের দলের অকুণ্ঠ সমর্থন না পেলেও অন্য দলের সমর্থন তিনি পেয়েছেন। এর কারণ খুবই সাধারণ, তাঁর ও দলের কাছে এর চেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প নেই।
এদিকে গ্রিসের রাজধানীর পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। অনেক সাধারণ গ্রিক নাগরিক খুব পরিষ্কারভাবেই বিরক্ত, যাঁদের বেতন মন্ত্রীর সমান নয় বা যাঁদের নিশ্চিত পেনশন নেই।
একজারশিয়া স্কয়ারে গ্রিক তরুণদের জিজ্ঞেস করলাম, ‘ঋণদাতাদের প্রস্তাব পাসের ব্যাপারে কী মনে করছেন?’ উত্তরে তাঁরা সবাই একচোট হাসলেন।
তরুণদের মধ্যে সবার আগে কথা বললেন টেরি। যা কিছু ঘটেছে, তাতে তিনি বিরক্ত। ‘সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হচ্ছে, সিরিজা পার্টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৃচ্ছ্রসাধনের নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল, আর তারা সেটা স্রেফ শেষ করে দিল। আমার মনে হয়, গণভোটের পর কিছু হয়েছে, সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিয়েছে, আমি আসলে বুঝতে পারছি না।’ তিনি আরও বললেন, গ্রিসের যে ৬১ শতাংশ জনগণ ‘না’ ভোট দিয়েছিলেন, তারা তাঁদের বোকা বানাল।
তরুণদের একজন বললেন, ‘তারা আমাদের “না” ভোটকে “হ্যাঁ” ভোটে পরিণত করেছে। তারা গ্রিক জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, আর তার জন্য রাজনৈতিক মূল্যও দিতে হবে। তারা গরিব মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, আগামী পাঁচ বছরে কোনো সমাধান আসবে না।’
সে সময় আরেক তরুণ মাঝখানে বললেন, ‘পাঁচ বছর? তুমি কি ৫০ বছর বলতে চাইছ।’ আরেকজন তরুণ বলে উঠলেন, ‘আমি মনে করি, সমাধান হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করে নতুন করে সব শুরু করা।’
সিপ্রাসের সামনে এখন দুটি সমস্যা। একটি হচ্ছে, সামনের বেদনাদায়ক দিনগুলোয় তাঁকে গ্রিসের নেতৃত্ব দিতে হবে। আর দ্বিতীয় সমস্যাটি হচ্ছে, যাঁরা তাঁর ওপর আস্থা স্থাপন করেছিলেন, তাঁদের আস্থা আবারও তাঁকে অর্জন করতে হবে। কাজটা সহজ হবে না।
আসলে তাঁদের হতাশার গভীরতা অনুভব করা সম্ভব। বহু বছর ধরে গ্রিসে দুটি দল শাসন করে আসছিল। দল দুটি হচ্ছে নিউ ডেমোক্র্যাসি ও পাসক। এই জানুয়ারিতে সিরিজা পার্টি যখন নির্বাচিত হলো, তারা তখন দেশটির অর্ধশতকের দ্বিদলীয় বৃত্ত ভেঙে ফেলে। টেরি বললেন, সিরিজা শুধু দল ছিল না, এটা ছিল এক আন্দোলন। তাঁর কথায় মনে হচ্ছিল, তিনি এসব ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ‘আমরা সত্যিই বিশ্বাস করেছিলাম, তারা ভিন্ন কিছু করবে। কিন্তু পাঁচ মাস আলোচনা চালানোর পর তারা ১৭ ঘণ্টার মধ্যে সব শেষ ছেড়ে দিল, ব্যাপারটা অনেকটা এ রকমই।’
টেরি আরও বললেন, ‘আর তিনি (সিপ্রাস) এখন আশা করেন, আমরা তাঁর কথা অনুসরণ করব। কিন্তু আমাদের অধিকাংশ তরুণের কাছেই জীবন চালানোর মতো টাকা নেই। ১৬ বছর বয়সে আমি হাই স্কুলের ক্যাফেটেরিয়ায় কাজ করতাম। তখন আমি মাসে ৮০০ ইউরো আয় করতাম। তারপর এখন আমার কাছে কিছুই নেই। আমি ইতিহাসে ডিগ্রি লাভ করা থেকে স্রেফ এক কদম দূরে। কিন্তু এতে কিছু হবে না, গণিত ও কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডিগ্রি না থাকলে আজকাল আর কিছু হয় না।’
তাঁদের মধ্যকার এক তরুণী আরেক তরুণীকে দেখিয়ে বললেন, ‘আমরা গ্রাফিকস ডিজাইনার, কিন্তু আমরা কোনো দোকান খুলতে পারব না। কারণ, তার জন্য অনেক টাকা কর দিতে হবে। আপনি কঠোর পরিশ্রম করুন বা না-ই করুন, তাতে কিছু আসে-যায় না। গত চার বছরের মধ্যে আমি মাত্র তিন মাসের জন্য একটি বার্গারের দোকানে কাজ করেছি। আবার তারা এর জন্য আমাকে টাকাও দেয়নি।’ গ্রিসে ও গ্রিসের বাইরে কোটি কোটি মানুষ এই তরুণদের হতাশা ও বেদনার সমব্যথী।
অন্যদিকে, গ্রিসের বামপন্থীদের জন্য সন্তোষের কারণ হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে তারা বলতে পারবে সিপ্রাস ঋণদাতাদের কাছে কতটা অসহায়। এই ঋণদাতারা সব সময় সিপ্রাস ও তাঁরা দলের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। কিন্তু তিনি টিকে যাবেন। তাঁর সামনে এখন দুটি সমস্যা। একটি হচ্ছে, সামনের বেদনাদায়ক দিনগুলোয় তাঁকে গ্রিসের নেতৃত্ব দিতে হবে। আর দ্বিতীয় সমস্যাটি হচ্ছে, যাঁরা তাঁর ওপর আস্থা স্থাপন করেছিলেন, তাঁদের আস্থা আবারও তাঁকে অর্জন করতে হবে। কাজটা সহজ হবে না।
ওই তরুণদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় টেরি শেষ কথাটা বললেন, ‘আপনি যখন সিপ্রাস সম্বন্ধে লিখবেন, তখন যেন তাঁকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করেন। তাঁর আগে যে রাজনীতিকেরা এসেছেন, আমরা জানতাম, তাঁরা সবাই একই রকম। আমরা সত্যিই ভেবেছিলাম, তিনি আলাদা।’
ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
দ্য গার্ডিয়ান থেকে নেওয়া
ডেভিড প্যাট্রিকারাকোস: লেখক ও সাংবাদিক।
তার ছয় মাস পর বাজার না নাচলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। আর সিপ্রাস যদি কোনো ড্রাম বাজিয়ে থাকেন, তবে তা বাজাচ্ছেন ধীরে, তাতে শোকের আবহ আছে।
কদিন আগে সিপ্রাস জনগণকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁর সরকার কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি ত্যাগ করবে, যার জন্য গ্রিস পঙ্গু হতে বসেছে। কিন্তু সেই তিনিই এমন একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করলেন, তাতে আরও কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে, কর বাড়াতে হবে আর দুর্ভোগ আরও বাড়বে। সংসদে ঋণদাতাদের প্রস্তাব পাসও হয়ে গেছে, যদিও সিরিজা পার্টির অনেক সদস্যই তাতে ‘না’ ভোট দিয়েছেন। গ্রিস সরকারের জ্বালানিমন্ত্রী পানাইয়োতিস লাফাজানিস বলেছিলেন, তিনি এই প্রস্তাবে ভোট দেবেন না। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। আমরাও সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানতে পারিনি। আবার সিরিজা পার্টির জোটের সদস্য ইনডিপেনডেন্ট গ্রিকস পার্টির প্রধান পানোস কামেনোস বলেছিলেন, তাঁর দল ভোটে অংশ নেবে না। কিন্তু লাফাজানিসের মতো তিনিও বলেননি, এই প্রস্তাব পাস হলে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বা তাঁর দল জোট থেকে বেরিয়ে যাবে।
আমার কোনো সন্দেহ নেই যে সিপ্রাস এখন এগিয়েই যাবেন। নিজের দলের অকুণ্ঠ সমর্থন না পেলেও অন্য দলের সমর্থন তিনি পেয়েছেন। এর কারণ খুবই সাধারণ, তাঁর ও দলের কাছে এর চেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প নেই।
এদিকে গ্রিসের রাজধানীর পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। অনেক সাধারণ গ্রিক নাগরিক খুব পরিষ্কারভাবেই বিরক্ত, যাঁদের বেতন মন্ত্রীর সমান নয় বা যাঁদের নিশ্চিত পেনশন নেই।
একজারশিয়া স্কয়ারে গ্রিক তরুণদের জিজ্ঞেস করলাম, ‘ঋণদাতাদের প্রস্তাব পাসের ব্যাপারে কী মনে করছেন?’ উত্তরে তাঁরা সবাই একচোট হাসলেন।
তরুণদের মধ্যে সবার আগে কথা বললেন টেরি। যা কিছু ঘটেছে, তাতে তিনি বিরক্ত। ‘সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হচ্ছে, সিরিজা পার্টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৃচ্ছ্রসাধনের নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল, আর তারা সেটা স্রেফ শেষ করে দিল। আমার মনে হয়, গণভোটের পর কিছু হয়েছে, সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিয়েছে, আমি আসলে বুঝতে পারছি না।’ তিনি আরও বললেন, গ্রিসের যে ৬১ শতাংশ জনগণ ‘না’ ভোট দিয়েছিলেন, তারা তাঁদের বোকা বানাল।
তরুণদের একজন বললেন, ‘তারা আমাদের “না” ভোটকে “হ্যাঁ” ভোটে পরিণত করেছে। তারা গ্রিক জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, আর তার জন্য রাজনৈতিক মূল্যও দিতে হবে। তারা গরিব মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, আগামী পাঁচ বছরে কোনো সমাধান আসবে না।’
সে সময় আরেক তরুণ মাঝখানে বললেন, ‘পাঁচ বছর? তুমি কি ৫০ বছর বলতে চাইছ।’ আরেকজন তরুণ বলে উঠলেন, ‘আমি মনে করি, সমাধান হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করে নতুন করে সব শুরু করা।’
সিপ্রাসের সামনে এখন দুটি সমস্যা। একটি হচ্ছে, সামনের বেদনাদায়ক দিনগুলোয় তাঁকে গ্রিসের নেতৃত্ব দিতে হবে। আর দ্বিতীয় সমস্যাটি হচ্ছে, যাঁরা তাঁর ওপর আস্থা স্থাপন করেছিলেন, তাঁদের আস্থা আবারও তাঁকে অর্জন করতে হবে। কাজটা সহজ হবে না।
আসলে তাঁদের হতাশার গভীরতা অনুভব করা সম্ভব। বহু বছর ধরে গ্রিসে দুটি দল শাসন করে আসছিল। দল দুটি হচ্ছে নিউ ডেমোক্র্যাসি ও পাসক। এই জানুয়ারিতে সিরিজা পার্টি যখন নির্বাচিত হলো, তারা তখন দেশটির অর্ধশতকের দ্বিদলীয় বৃত্ত ভেঙে ফেলে। টেরি বললেন, সিরিজা শুধু দল ছিল না, এটা ছিল এক আন্দোলন। তাঁর কথায় মনে হচ্ছিল, তিনি এসব ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ‘আমরা সত্যিই বিশ্বাস করেছিলাম, তারা ভিন্ন কিছু করবে। কিন্তু পাঁচ মাস আলোচনা চালানোর পর তারা ১৭ ঘণ্টার মধ্যে সব শেষ ছেড়ে দিল, ব্যাপারটা অনেকটা এ রকমই।’
টেরি আরও বললেন, ‘আর তিনি (সিপ্রাস) এখন আশা করেন, আমরা তাঁর কথা অনুসরণ করব। কিন্তু আমাদের অধিকাংশ তরুণের কাছেই জীবন চালানোর মতো টাকা নেই। ১৬ বছর বয়সে আমি হাই স্কুলের ক্যাফেটেরিয়ায় কাজ করতাম। তখন আমি মাসে ৮০০ ইউরো আয় করতাম। তারপর এখন আমার কাছে কিছুই নেই। আমি ইতিহাসে ডিগ্রি লাভ করা থেকে স্রেফ এক কদম দূরে। কিন্তু এতে কিছু হবে না, গণিত ও কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডিগ্রি না থাকলে আজকাল আর কিছু হয় না।’
তাঁদের মধ্যকার এক তরুণী আরেক তরুণীকে দেখিয়ে বললেন, ‘আমরা গ্রাফিকস ডিজাইনার, কিন্তু আমরা কোনো দোকান খুলতে পারব না। কারণ, তার জন্য অনেক টাকা কর দিতে হবে। আপনি কঠোর পরিশ্রম করুন বা না-ই করুন, তাতে কিছু আসে-যায় না। গত চার বছরের মধ্যে আমি মাত্র তিন মাসের জন্য একটি বার্গারের দোকানে কাজ করেছি। আবার তারা এর জন্য আমাকে টাকাও দেয়নি।’ গ্রিসে ও গ্রিসের বাইরে কোটি কোটি মানুষ এই তরুণদের হতাশা ও বেদনার সমব্যথী।
অন্যদিকে, গ্রিসের বামপন্থীদের জন্য সন্তোষের কারণ হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে তারা বলতে পারবে সিপ্রাস ঋণদাতাদের কাছে কতটা অসহায়। এই ঋণদাতারা সব সময় সিপ্রাস ও তাঁরা দলের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। কিন্তু তিনি টিকে যাবেন। তাঁর সামনে এখন দুটি সমস্যা। একটি হচ্ছে, সামনের বেদনাদায়ক দিনগুলোয় তাঁকে গ্রিসের নেতৃত্ব দিতে হবে। আর দ্বিতীয় সমস্যাটি হচ্ছে, যাঁরা তাঁর ওপর আস্থা স্থাপন করেছিলেন, তাঁদের আস্থা আবারও তাঁকে অর্জন করতে হবে। কাজটা সহজ হবে না।
ওই তরুণদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় টেরি শেষ কথাটা বললেন, ‘আপনি যখন সিপ্রাস সম্বন্ধে লিখবেন, তখন যেন তাঁকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করেন। তাঁর আগে যে রাজনীতিকেরা এসেছেন, আমরা জানতাম, তাঁরা সবাই একই রকম। আমরা সত্যিই ভেবেছিলাম, তিনি আলাদা।’
ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
দ্য গার্ডিয়ান থেকে নেওয়া
ডেভিড প্যাট্রিকারাকোস: লেখক ও সাংবাদিক।
No comments