‘স্বাধীনতার আগের ও পরের বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়ন আলাদা’
এম এম আকাশ |
স্বাধীনতার
আগের বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতার পরের বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়ন এক রকম না হওয়া
স্বাভাবিক বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম
এম আকাশ। তিনি বলেছেন, আবেগ বিহ্বল জাতির কেউ বঙ্গবন্ধুকে দেবতা, কেউ শয়তান
বানানোর চেষ্টা করেন।
আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর আয়োজনে একক বক্তৃতায় এম এম আকাশ এসব কথা বলেন। একক বক্তৃতায় অধ্যাপক আকাশ বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, রাজনৈতিক জীবন শুরু কথা, ভাষা আন্দোলন তাঁর ভূমিকা, যুক্তফ্রন্টের রাজনীতি, বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ, ছয় দফা এবং ১৯৭২-৭৫ সালে সংঘটিত ঘটনাবলি তুলে ধরেন।
অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, ‘স্বাধীনতার আগের বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতার পরের বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়ন এক রকম না হওয়াই স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়নে আবেগ-বিহ্বল বাঙালিদের দু-দিক থেকে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ ভুলে যান বঙ্গবন্ধু মানুষ ছিলেন এবং তাঁকে দেবতা বানানোর চেষ্টা করেন। আবার কেউ কেউ বেছে বেছে খুঁজে খুঁজে ছিদ্র অন্বেষণ করে তাঁকে শয়তান বানানোর চেষ্টা করেন।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মুজিবের যথার্থ মূল্যায়নের সময় আমাদের মনে রাখতে হবে যে-মানুষ হচ্ছে নদীর মতো। তিনি একই সঙ্গে ছিলেন ইতিহাসের নির্মাতা, ইতিহাসের বিয়োগান্ত শোকগাথা এবং ইতিহাসের শিক্ষা ও প্রেরণাও বটে!’
এম এম আকাশ বলেন, ‘কোন ব্যক্তি কোথায় দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিল-সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঐতিহাসিকভাবে একটি জাতির প্রতিনিধি হিসেবে কার সেই ঘোষণা দেওয়ার ম্যান্ডেট রয়েছে সেটি। বলা বাহুল্য যে,১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জনগণ সেই ম্যান্ডেট দিয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধু সেই ম্যান্ডেট ব্যবহার করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার ডাক দিয়েছিলেন।’
অধ্যাপক আকাশ ১৯৭২-৭৫ সময়কে ইতিহাসের ট্র্যাজেডি হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘কারও কারও মতে সুকর্ণ, নাসের, আলেন্দে ইত্যাদি জাতীয়তাবাদী মাঝামাঝি আদর্শের অনুসারী শাসক শ্রেণির নিজস্ব দুর্বলতার কারণেই তাঁরা এই সময়ে এক ধরনের ট্র্যাজেডির শিকার হয়েছিলেন এবং মহান জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধুরও তাই হয়েছিল।’ তাঁর মতে, এ ধরনের শাসকদের সংকটের মূল উৎস হচ্ছে শ্রেণি সমন্বয়ের ঝোঁক, সকলের প্রতি ভালোবাসা এবং দোদুল্যমানতা।
বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে একক বক্তৃতায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, রওনক জাহান, প্রবীণ বাম নেতা হায়দার আকবর খান রনো, শিল্পী হাশেম খান, ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল প্রমুখ।
আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর আয়োজনে একক বক্তৃতায় এম এম আকাশ এসব কথা বলেন। একক বক্তৃতায় অধ্যাপক আকাশ বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, রাজনৈতিক জীবন শুরু কথা, ভাষা আন্দোলন তাঁর ভূমিকা, যুক্তফ্রন্টের রাজনীতি, বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ, ছয় দফা এবং ১৯৭২-৭৫ সালে সংঘটিত ঘটনাবলি তুলে ধরেন।
অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, ‘স্বাধীনতার আগের বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীনতার পরের বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়ন এক রকম না হওয়াই স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়নে আবেগ-বিহ্বল বাঙালিদের দু-দিক থেকে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ ভুলে যান বঙ্গবন্ধু মানুষ ছিলেন এবং তাঁকে দেবতা বানানোর চেষ্টা করেন। আবার কেউ কেউ বেছে বেছে খুঁজে খুঁজে ছিদ্র অন্বেষণ করে তাঁকে শয়তান বানানোর চেষ্টা করেন।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মুজিবের যথার্থ মূল্যায়নের সময় আমাদের মনে রাখতে হবে যে-মানুষ হচ্ছে নদীর মতো। তিনি একই সঙ্গে ছিলেন ইতিহাসের নির্মাতা, ইতিহাসের বিয়োগান্ত শোকগাথা এবং ইতিহাসের শিক্ষা ও প্রেরণাও বটে!’
এম এম আকাশ বলেন, ‘কোন ব্যক্তি কোথায় দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিল-সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঐতিহাসিকভাবে একটি জাতির প্রতিনিধি হিসেবে কার সেই ঘোষণা দেওয়ার ম্যান্ডেট রয়েছে সেটি। বলা বাহুল্য যে,১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জনগণ সেই ম্যান্ডেট দিয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধু সেই ম্যান্ডেট ব্যবহার করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার ডাক দিয়েছিলেন।’
অধ্যাপক আকাশ ১৯৭২-৭৫ সময়কে ইতিহাসের ট্র্যাজেডি হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘কারও কারও মতে সুকর্ণ, নাসের, আলেন্দে ইত্যাদি জাতীয়তাবাদী মাঝামাঝি আদর্শের অনুসারী শাসক শ্রেণির নিজস্ব দুর্বলতার কারণেই তাঁরা এই সময়ে এক ধরনের ট্র্যাজেডির শিকার হয়েছিলেন এবং মহান জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধুরও তাই হয়েছিল।’ তাঁর মতে, এ ধরনের শাসকদের সংকটের মূল উৎস হচ্ছে শ্রেণি সমন্বয়ের ঝোঁক, সকলের প্রতি ভালোবাসা এবং দোদুল্যমানতা।
বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে একক বক্তৃতায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, রওনক জাহান, প্রবীণ বাম নেতা হায়দার আকবর খান রনো, শিল্পী হাশেম খান, ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল প্রমুখ।
No comments