ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ- ‘দিলমা চলে যাও’
প্রেসিডেন্ট
দিলমা রুসেফের অভিশংসনের দাবিতে গত রোববার ব্রাজিলজুড়ে লক্ষাধিক মানুষের
বিক্ষোভ হয়েছে। দুর্নীতির সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং অর্থনৈতিক অবস্থার
অবনতির জন্য ক্ষমতাসীন রুসেফ সরকারকে দায়ী করেছে বিক্ষোভকারীরা। খবর
বিবিসির।
সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে সাও পাওলো শহরে। সেখানে সাড়ে তিন লাখ মানুষ অংশ নেয়। বিক্ষোভ হয়েছে রিও ডি জেনিরোর কোপাকাবানা সৈকতে এবং রাজধানী ব্রাসিলিয়ায়ও। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ব্রাজিলের ফুটবল দলের হলুদ জার্সি পরে অংশ নেয়। কণ্ঠে অনেকেরই ছিল জাতীয় সংগীত। তাদের বহন করা ব্যানারে লেখা ছিল ‘দিলমা চলে যাও’।
দেশে ব্যাপক হারে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়া এবং মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়াও দিলমার জনপ্রিয়তা কমার কারণ বলে মনে করা হয়। ব্রাজিলের একটি কোম্পানির করা সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, দরিদ্র এলাকাগুলোতে রুসেফের জনপ্রিয়তা এখনো রয়ে গেছে। গত নির্বাচনে তাঁর বিজয়ে এসব এলাকার বড় ভূমিকা ছিল।
সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে সাও পাওলো শহরে। সেখানে সাড়ে তিন লাখ মানুষ অংশ নেয়। বিক্ষোভ হয়েছে রিও ডি জেনিরোর কোপাকাবানা সৈকতে এবং রাজধানী ব্রাসিলিয়ায়ও। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ব্রাজিলের ফুটবল দলের হলুদ জার্সি পরে অংশ নেয়। কণ্ঠে অনেকেরই ছিল জাতীয় সংগীত। তাদের বহন করা ব্যানারে লেখা ছিল ‘দিলমা চলে যাও’।
দেশে ব্যাপক হারে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়া এবং মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়াও দিলমার জনপ্রিয়তা কমার কারণ বলে মনে করা হয়। ব্রাজিলের একটি কোম্পানির করা সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, দরিদ্র এলাকাগুলোতে রুসেফের জনপ্রিয়তা এখনো রয়ে গেছে। গত নির্বাচনে তাঁর বিজয়ে এসব এলাকার বড় ভূমিকা ছিল।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল রোববার ব্রাজিলজুড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভকারীরা দিলমা ও
তাঁর দল বামপন্থী ওয়ার্কার্স পার্টির বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি অভিযোগ
এনেছে। একই সঙ্গে গত ২৫ বছরের মধ্যে দেশটির অর্থনীতির চরম দুরবস্থার জন্যও
তাঁর সরকারকে দায়ী করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় সমবেত বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সংগীত গাইছিল আর ‘দিলমা তুমি চলে যাও’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল। একই চিত্র ছিল রিও ডি জেনেরিও, সাও পাওলোসহ ব্রাজিলের অন্য শহরগুলোতেও। অনেকেই ব্রাজিলের ফুটবল দলের হলুদ রঙের জার্সি পড়ে বিক্ষোভে যোগ দেয়।
আয়োজকদের দাবি, গতকাল দেশজুড়ে মোট ১৯ লাখ নাগরিক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে তিন লাখ।
সাও পাওলোর বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বিক্ষোভের আয়োজক সংগঠন ‘ভেম প্রা রুয়া’-এর নেতা রোজেরিও চেকুয়ার বলেন, ‘দুর্নীতি আমরা আর সইতে পারছি না। আইনসভা কংগ্রেসের যদি ন্যূনতম বোধ-বিবেচনা থাকে, তা হলে তারা দিলমাকে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, দিলমার বিরুদ্ধে এটাই প্রথম বিক্ষোভ নয়। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে বিক্ষোভ হয়েছে। সেসময়ও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভে অংশ নেয়।
ব্রাসিলিয়ায় গতকালের বিক্ষোভে যোগ দেওয়া অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এলিনো এলভিস ডি মোরায়েস বলেন, ‘আমরা পরিবর্তন চাই। মানুষ রাস্তায় না নামলে পরিবর্তন অসম্ভব।’
দ্বিতীয়
মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার এক বছরও পূর্তি হয়নি দিলমার। এর মধ্যেই তাঁর
বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তাঁর জনপ্রিয়তা নেমে এসেছে এক অঙ্কের ঘরে।
আগামী বছর রিও ডি জেনেরিওতে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক হওয়ার কথা। এ অবস্থায় ব্রাজিলের জন্য আরও কঠিন দিন আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাস নিয়ে দিলমা ও তাঁর দল বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছে বলে সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, এক দশক ধরে ব্রাজিলের অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও এখন তা নিম্নমুখী হচ্ছে। অর্থনীতির এই অবস্থা দেশটির মধ্যবিত্তকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল রোববার দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। ছবিটি সাও পাওলো থেকে তোলা। ছবি: রয়টার্স |
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় সমবেত বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সংগীত গাইছিল আর ‘দিলমা তুমি চলে যাও’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল। একই চিত্র ছিল রিও ডি জেনেরিও, সাও পাওলোসহ ব্রাজিলের অন্য শহরগুলোতেও। অনেকেই ব্রাজিলের ফুটবল দলের হলুদ রঙের জার্সি পড়ে বিক্ষোভে যোগ দেয়।
আয়োজকদের দাবি, গতকাল দেশজুড়ে মোট ১৯ লাখ নাগরিক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে তিন লাখ।
সাও পাওলোর বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বিক্ষোভের আয়োজক সংগঠন ‘ভেম প্রা রুয়া’-এর নেতা রোজেরিও চেকুয়ার বলেন, ‘দুর্নীতি আমরা আর সইতে পারছি না। আইনসভা কংগ্রেসের যদি ন্যূনতম বোধ-বিবেচনা থাকে, তা হলে তারা দিলমাকে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, দিলমার বিরুদ্ধে এটাই প্রথম বিক্ষোভ নয়। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে বিক্ষোভ হয়েছে। সেসময়ও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভে অংশ নেয়।
ব্রাসিলিয়ায় গতকালের বিক্ষোভে যোগ দেওয়া অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এলিনো এলভিস ডি মোরায়েস বলেন, ‘আমরা পরিবর্তন চাই। মানুষ রাস্তায় না নামলে পরিবর্তন অসম্ভব।’
দুর্নীতির দায়ে ব্রাজিলের আইনসভা যেন দেশটির প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফকে অভিশংসন করে—সেই দাবিতে গতকাল রোববার দেশজুড়ে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। ছবিটি সাও পাওলো থেকে তোলা। ছবি: রয়টার্স |
আগামী বছর রিও ডি জেনেরিওতে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক হওয়ার কথা। এ অবস্থায় ব্রাজিলের জন্য আরও কঠিন দিন আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাস নিয়ে দিলমা ও তাঁর দল বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছে বলে সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, এক দশক ধরে ব্রাজিলের অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও এখন তা নিম্নমুখী হচ্ছে। অর্থনীতির এই অবস্থা দেশটির মধ্যবিত্তকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে।
No comments