ওচালানকে বাইরে রেখে বড় ঝুঁকি নিল তুরস্ক -রয়টার্সের বিশ্লেষণ
আবদুল্লাহ ওচালান |
তুরস্কের
সঙ্গে কুর্দি বিদ্রোহীদের তিন বছরের পুরোনো শান্তিপ্রক্রিয়া এখন ভেঙে
পড়ার অপেক্ষায়। দেশজুড়ে সহিংস ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এ রকম
মুহূর্তেও একটা মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে চলছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। নিঃসঙ্গ
এক দ্বীপে কারাবন্দী সে মানুষটিই হয়তো চলমান আগুন নেভাতে সহায়তা করতে
পারতেন।
আবদুল্লাহ ওচালান নামের এই ব্যক্তি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে (পারতিয়া কারকেরেন কুর্দিস্তান) প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। রাষ্ট্র তুরস্কের বিরুদ্ধে পিকেকে প্রথম অস্ত্র হাতে তুলে নেয় ১৯৮৪ সালে। তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার ইতি ঘটাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ২০১২ সালে যে সংলাপ শুরু করেন, তাতে আঙ্কারার প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন এই ওচালানই।
কিন্তু বর্তমানে তুর্কি যুদ্ধবিমানের পিকেকের শিবিরগুলোতে উপর্যুপরি বোমাবর্ষণ ও তুর্কি সেনাদের ওপর কুর্দি বিদ্রোহীদের হামলা জোরদার হওয়ার প্রেক্ষাপটে ওচালান গত মার্চ মাসে যে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন, তা এখন আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। মর্মর সাগরে অবস্থিত ইমরালি দ্বীপের নির্জন কারাগারে থাকা ওচালানের কণ্ঠস্বরও এখন আর শোনা যাচ্ছে না।
যে কুর্দিপন্থীবিরোধী রাজনীতিকেরা ওই শান্তিপ্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করছিলেন, তাঁদের পিকেকে নেতা ওচালানের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গত মঙ্গলবার সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমাদের দেশে একজন সন্ত্রাসীও অবশিষ্ট থাকা এবং (তাদের অস্ত্রগুলো) কংক্রিটের নিচে চাপা দেওয়া পর্যন্ত আমাদের যুদ্ধ চলবে।’ তাঁর এই অবস্থান তিনি শান্তিপ্রক্রিয়ার শুরুর দিনগুলোতে যে অবস্থান নিয়েছিলেন, তার সম্পূর্ণ বিপরীত। শান্তিপ্রক্রিয়ার সময় এরদোয়ান নানা স্লোগান তুলেছিলেন। এর মধ্যে ছিল ‘রক্তপাত থামাও, আমরা মায়েদের কান্না দেখতে চাই না।’
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তুরস্কে সহিংসতা ক্রমেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। গত ২০ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীরই অন্তত ২৬ সদস্যকে এই সহিংসতায় প্রাণ দিতে হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দায় স্বীকার করেছে পিকেকে। ইস্তাম্বুলের লেখক ও কুর্দি গবেষক গারিথ জেনকিন্স বলেন, ‘সহিংসতা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে রাষ্ট্র তুরস্ক বা পিকেকে কেউই আর সেটাকে বোতলে ভরতে সক্ষম হবে না।’
পিকেকের রাজনৈতিক গ্রুপগুলোর জোট অবশ্য অতি সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তুরস্ক সরকার ও ওচালানের মধ্যে সংলাপ অবিলম্বে শুরুর আহ্বান জানিয়েছে। তবে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি ও একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে তারা পূর্বশর্ত হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।
আঙ্কারা এই আহ্বানকে এখন পাত্তা দেবে না বলেই মনে হচ্ছে। শান্তিপ্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শান্তিপ্রক্রিয়ায় ওচালান একজন খেলোয়াড়, এটা ঠিক। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, তাঁকে এতে ভূমিকা রাখতে হলে পিকেকে এবং এইচডিবিকে (কুর্দিপন্থীবিরোধী রাজনৈতিক দল) তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। বাস্তবতা হচ্ছে—ওচালান যা চান, গ্রুপটি তা করেনি।’
পিকেকের মাঠপর্যায়ের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে ওচালান এখনো জনপ্রিয়। তবে দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে তিনি এখন তরুণ গ্রুপগুলোর মধ্যে অতটা শ্রদ্ধাভাজন নন। এসব গ্রুপই সাম্প্রতিক সহিংসতাগুলোর পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে বলে মনে করা হয়। তারপরও ওচালানের পক্ষ থেকে কোনো আহ্বান এলে পিকেকে যোদ্ধারা মানতে বাধ্য।
আবদুল্লাহ ওচালান নামের এই ব্যক্তি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে (পারতিয়া কারকেরেন কুর্দিস্তান) প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। রাষ্ট্র তুরস্কের বিরুদ্ধে পিকেকে প্রথম অস্ত্র হাতে তুলে নেয় ১৯৮৪ সালে। তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার ইতি ঘটাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ২০১২ সালে যে সংলাপ শুরু করেন, তাতে আঙ্কারার প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন এই ওচালানই।
কিন্তু বর্তমানে তুর্কি যুদ্ধবিমানের পিকেকের শিবিরগুলোতে উপর্যুপরি বোমাবর্ষণ ও তুর্কি সেনাদের ওপর কুর্দি বিদ্রোহীদের হামলা জোরদার হওয়ার প্রেক্ষাপটে ওচালান গত মার্চ মাসে যে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন, তা এখন আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। মর্মর সাগরে অবস্থিত ইমরালি দ্বীপের নির্জন কারাগারে থাকা ওচালানের কণ্ঠস্বরও এখন আর শোনা যাচ্ছে না।
যে কুর্দিপন্থীবিরোধী রাজনীতিকেরা ওই শান্তিপ্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করছিলেন, তাঁদের পিকেকে নেতা ওচালানের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গত মঙ্গলবার সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমাদের দেশে একজন সন্ত্রাসীও অবশিষ্ট থাকা এবং (তাদের অস্ত্রগুলো) কংক্রিটের নিচে চাপা দেওয়া পর্যন্ত আমাদের যুদ্ধ চলবে।’ তাঁর এই অবস্থান তিনি শান্তিপ্রক্রিয়ার শুরুর দিনগুলোতে যে অবস্থান নিয়েছিলেন, তার সম্পূর্ণ বিপরীত। শান্তিপ্রক্রিয়ার সময় এরদোয়ান নানা স্লোগান তুলেছিলেন। এর মধ্যে ছিল ‘রক্তপাত থামাও, আমরা মায়েদের কান্না দেখতে চাই না।’
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তুরস্কে সহিংসতা ক্রমেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। গত ২০ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীরই অন্তত ২৬ সদস্যকে এই সহিংসতায় প্রাণ দিতে হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দায় স্বীকার করেছে পিকেকে। ইস্তাম্বুলের লেখক ও কুর্দি গবেষক গারিথ জেনকিন্স বলেন, ‘সহিংসতা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে রাষ্ট্র তুরস্ক বা পিকেকে কেউই আর সেটাকে বোতলে ভরতে সক্ষম হবে না।’
পিকেকের রাজনৈতিক গ্রুপগুলোর জোট অবশ্য অতি সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তুরস্ক সরকার ও ওচালানের মধ্যে সংলাপ অবিলম্বে শুরুর আহ্বান জানিয়েছে। তবে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি ও একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে তারা পূর্বশর্ত হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।
আঙ্কারা এই আহ্বানকে এখন পাত্তা দেবে না বলেই মনে হচ্ছে। শান্তিপ্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শান্তিপ্রক্রিয়ায় ওচালান একজন খেলোয়াড়, এটা ঠিক। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, তাঁকে এতে ভূমিকা রাখতে হলে পিকেকে এবং এইচডিবিকে (কুর্দিপন্থীবিরোধী রাজনৈতিক দল) তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। বাস্তবতা হচ্ছে—ওচালান যা চান, গ্রুপটি তা করেনি।’
পিকেকের মাঠপর্যায়ের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে ওচালান এখনো জনপ্রিয়। তবে দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে তিনি এখন তরুণ গ্রুপগুলোর মধ্যে অতটা শ্রদ্ধাভাজন নন। এসব গ্রুপই সাম্প্রতিক সহিংসতাগুলোর পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে বলে মনে করা হয়। তারপরও ওচালানের পক্ষ থেকে কোনো আহ্বান এলে পিকেকে যোদ্ধারা মানতে বাধ্য।
No comments