ভিআইপিদের কাশিমপুর জীবন by ইকবাল আহমদ সরকার
একসময়
তাদের ছিল দৌর্দণ্ড প্রতাপ। পৌঁছে গিয়েছিলেন ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে। সময়ের
পরিক্রমায় আজ তারা বন্দি। ঠাঁই হয়েছে কাশিমপুর কারাগারে। ভাল নেই এ ভিআইপি
বন্দিরা। বেশির ভাগই ভুগছেন নানা রোগ-শোকে। কেউ কেউ গুরুতর অসুস্থ। রাজশাহী
কারাগারে সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যু তাদের মধ্যে
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে। বন্দি নেতারা এখন অনেকটাই বিপর্যস্ত। ভেঙে
পড়েছেন। দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দেয়ার দাবি রয়েছে তাদের পরিবারের সদস্য ও
স্বজনদের। তবে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রয়োজন হলেই কারাচিকিৎসকের
মাধ্যমে এমনকি গাজীপুর ও ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কাশিমপুর কারাগারে বন্দি বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টু। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং লুৎফুজ্জামান বাবর ডিভিশন সুবিধা হারিয়েছেন। কাশিমপুর কারাগারেই বন্দি আছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখনও তিনি অসুস্থ বলে জানা গেছে। আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনও রয়েছেন কাশিমপুর কারাগারে।
জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মাওলানা আবদুস সুবহান, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, এ টি এম আজহারুল ইসলাম এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী রয়েছেন কারাগারে। তারা রয়েছেন কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-১, পার্ট-২ এবং হাইসিকিউরিটি কারাগারে। কেউ আছেন ভিআইপি সেলে, কেউ আছেন সাধারণ সেলে। মৃত্যুদণ্ডের রায়প্রাপ্তরা আছেন কারাগারের কনডেম সেলে।
কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-২-এ থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে আবারও আনা হয় কাশিমপুর কারাগারে। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এক বছরের বেশি সময় ধরে কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-১-এ থাকা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্প্রতি মাথা ঘুরে পড়ে যান। হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বেশ কয়েকটি রোগে আক্রান্ত তিনি। তার ছেলে ড. খন্দকার মারুফ মানবজমিনকে বলেন, মাথা ঘুরে পড়ে গেলেও তার কোন ধরনের জখম বা ক্ষতি হয়নি। তার অসুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে ওষুধপত্র নিয়মিত সরবরাহ করা হয়। তবে অন্যসব জটিল রোগের জন্য হাসপাতালে রেখে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান কাশিমপুর কারাগারে আছেন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায়। তার পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। কারাগারে শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হলে গত মাসে তাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসা দিয়ে আবারও আনা হয় কাশিমপুরে। আবার অসুস্থ অবস্থায়ই নেয়া হয় রিমান্ডে। তার স্বজনদের দাবি, কারাগারে খাওয়া-দাওয়া ও ওষুধ সেবনের অনিয়মের কারণে তিনি আরও মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাকে প্রতিদিন চারবার ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়। ফুলে গেছে তার দুই পা। চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা-মামলার আসামি হয়ে ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বন্দি আছেন কাশিমপুর কারাগারে। দীর্ঘদিন থেকে নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত তিনি। কাশিমপুর পার্ট-১-এ বন্দি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে আক্রান্ত। কয়েক দফা রিমান্ডের পর কাশিমপুর কারাগারে থাকা সাবেক ছাত্রনেতা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয় কারা হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থা ভাল নেই মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর। তাকেও একাধিকবার হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় কারাগারে আটক থাকা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টুও শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে জানা গেছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এবং পরে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টিরও বেশি মামলার আসামি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনও নানা রোগে আক্রান্ত।
কাশিমপুর কারাগারে বন্দি বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টু। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং লুৎফুজ্জামান বাবর ডিভিশন সুবিধা হারিয়েছেন। কাশিমপুর কারাগারেই বন্দি আছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখনও তিনি অসুস্থ বলে জানা গেছে। আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনও রয়েছেন কাশিমপুর কারাগারে।
জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মাওলানা আবদুস সুবহান, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, এ টি এম আজহারুল ইসলাম এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী রয়েছেন কারাগারে। তারা রয়েছেন কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-১, পার্ট-২ এবং হাইসিকিউরিটি কারাগারে। কেউ আছেন ভিআইপি সেলে, কেউ আছেন সাধারণ সেলে। মৃত্যুদণ্ডের রায়প্রাপ্তরা আছেন কারাগারের কনডেম সেলে।
কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-২-এ থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গত সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে আবারও আনা হয় কাশিমপুর কারাগারে। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এক বছরের বেশি সময় ধরে কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-১-এ থাকা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্প্রতি মাথা ঘুরে পড়ে যান। হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বেশ কয়েকটি রোগে আক্রান্ত তিনি। তার ছেলে ড. খন্দকার মারুফ মানবজমিনকে বলেন, মাথা ঘুরে পড়ে গেলেও তার কোন ধরনের জখম বা ক্ষতি হয়নি। তার অসুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে ওষুধপত্র নিয়মিত সরবরাহ করা হয়। তবে অন্যসব জটিল রোগের জন্য হাসপাতালে রেখে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান কাশিমপুর কারাগারে আছেন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায়। তার পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। কারাগারে শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হলে গত মাসে তাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসা দিয়ে আবারও আনা হয় কাশিমপুরে। আবার অসুস্থ অবস্থায়ই নেয়া হয় রিমান্ডে। তার স্বজনদের দাবি, কারাগারে খাওয়া-দাওয়া ও ওষুধ সেবনের অনিয়মের কারণে তিনি আরও মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাকে প্রতিদিন চারবার ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়। ফুলে গেছে তার দুই পা। চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা-মামলার আসামি হয়ে ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বন্দি আছেন কাশিমপুর কারাগারে। দীর্ঘদিন থেকে নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত তিনি। কাশিমপুর পার্ট-১-এ বন্দি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে আক্রান্ত। কয়েক দফা রিমান্ডের পর কাশিমপুর কারাগারে থাকা সাবেক ছাত্রনেতা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয় কারা হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থা ভাল নেই মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর। তাকেও একাধিকবার হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় কারাগারে আটক থাকা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টুও শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে জানা গেছে। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এবং পরে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টিরও বেশি মামলার আসামি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনও নানা রোগে আক্রান্ত।
No comments