যে সড়ক নিজেই সরব by এ কে এম ফয়সাল
পিরোজপুর জেলার চরখালী–মঠবািড়য়া–পাথরঘাটা সড়কের তুষখালী গুচ্ছগ্রাম এলাকার চিত্র l ছবি: প্রথম আলো |
এমনিতে
সড়কটি অপ্রশস্ত, তার ওপর পিচ-খোয়া হাওয়া হয়ে প্রায় উদোম অবস্থা। এর যে
সংস্কার প্রয়োজন, সে কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। অবয়বই
প্রয়োজনীয়তার জানান দিচ্ছে।
খানাখন্দে বেহাল এই সড়ক দিয়েই চলছে দূরপাল্লার বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ ছোট-বড় সব যানবাহন। একমাত্র সড়ক হওয়ায় সীমাহীন ভোগান্তি সহ্য করে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনাও।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও বরগুনার পাথরঘাটার সঙ্গে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। চরখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা নামের এই সড়কটির দৈর্ঘ্য ৫৯ কিলোমিটার। কিন্তু প্রশস্ত মাত্র ১২ ফুট। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার চরখালী থেকে মঠবাড়িয়া হয়ে পাথরঘাটা পর্যন্ত সড়কটিকে আরও প্রশস্ত করে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করার দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের।
সে দাবি পূরণ হয়নি। উল্টো সংস্কার না হওয়ায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সড়কের অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে শঙ্কায় তাঁরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুদিঘাটা থেকে ঝাউতলা বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশে পিচ-খোয়া উঠে গেছে, পদে পদে খানাখন্দ। তুষখালীর গুচ্ছগ্রাম অংশে দেখা গেল সড়কের কেবল মাঝখানে পিচের একটি ধারা অবশিষ্ট আছে। সেই অংশ দিয়ে কোনোমতে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা হোঁচট খেয়ে খেয়ে চলছে।
নথিপত্রের হিসাবে, সড়কটির পিরোজপুর অংশের ২৯ কিলোমিটার ও পাথরঘাটা অংশের ৩০ কিলোমিটার গত এক যুগে কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কারের পর কয়েক মাস যানবাহন চলাচলের উপযোগী থাকে। কিন্তু বর্ষা এলেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে এটি।
ঢাকা থেকে পাথরঘাটাগামী রুমিন পরিবহনের বাসচালক আসাদুজ্জামান জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের দূরপাল্লার বাস, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের (বিএফডিসি) মাছবাহী ট্রাক, সবজিবাহী ট্রাকসহ স্থানীয় কয়েক শ যানবাহন চলে। গর্তে পড়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। দুর্ঘটনাও ঘটে।
সওজের পিরোজপুর কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মতিউর রহমান বলেন, মঠবাড়িয়ার সিঅ্যান্ডবি থেকে ঝাউতলা পর্যন্ত¯২৮ কিলোমিটার সড়ক মাত্র ১২ ফুট চওড়া হওয়ায় একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গেলে সড়কের ঢালে নেমে যেতে হয়। এ কারণে সড়কের দুই পাশ ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া গাড়ি পাশ কাটানোর সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, চরখালী থেকে মাদার্শী পর্যন্ত¯সড়কে ইটের খোয়া ফেলা হয়েছে। সেই খোয়াও যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে চুরমার। সড়ক দিয়ে বাস ও মোটরসাইকেল চলার সময় ওড়া ধুলা যাত্রী ও পথচারীদের জন্য বাড়তি দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।
পিরোজপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, সড়কটির চরখালী থেকে মাদার্শী পর্যন্ত সাত কিলোমিটার অংশ সংস্কারের জন্য গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ডন রেবিস জেবী ও মাসুদ খান নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রায়োরিটি মেইনটেন্যান্স প্রোগ্রামের (পিএমপি) আওতায় এই সাত কিলোমিটারসহ জেলার বিভিন্ন সড়কের মোট ৩২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য প্রতিষ্ঠান দুটিকে ১৩ কোটি টাকার এ কাজ দেওয়া হয়। ছয় মাসে (জুন) কাজ শেষ করার কথা।
স্থানীয় লোকজন জানান, ঠিকাদার কয়েক মাস আগে কিছু খোয়া ফেলেছেন। যানবাহনের চাপে সেই খোয়া ভেঙে যাচ্ছে। বর্ষার আগে সংস্কারকাজ শেষ না হলে সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
দেখা গেল, সড়কের ঝাউতলা থেকে গুদিঘাটা পর্যন্ত অসংখ্য গর্ত। ঝাউতলা থেকে গুলিসাখালী পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার অংশের বেশির ভাগে সড়কের দুই পাশে (শোল্ডার) মাটি নেই। সড়কের সিঅ্যান্ডবি, দক্ষিণ গুলিসাখালী, বহেড়াতলা ও গুদিঘাটা সেতুও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব সেতুর ভেঙে যাওয়া পাটাতনের প্লেটগুলো জোড়াতালি দেওয়া রয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, মঠবাড়িয়া থেকে চরখালী পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার সড়ক দুই বছর ধরেই বেহাল। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
চলতি বছরের এপ্রিলে শাহজাহান আলী কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গুদিঘাটা থেকে ঝাউতলা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার ৭০০ মিটার অংশ চার মাসের মধ্যে সংস্কারের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এটিও পিএমপির আওতায়। এটি আড়াই কোটি টাকার কাজ। তবে কাজ এখনো শুরু হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাহান আলী কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
সওজের পিরোজপুরের কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বে বলেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের মৌখিক তাগাদাও দেওয়া হচ্ছে।
মঠবাড়িয়া পৌর বাজারের ব্যবসায়ী এম এ আউয়াল বলেন, পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ীরা এ সড়কের ওপর নির্ভরশীল। সড়ক বেহাল হওয়ায় পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। মঠবাড়িয়া কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মো. জামাল বলেন, তাঁরা প্রতিদিন যশোর, খুলনা থেকে সবজি এনে বিক্রি করেন। সড়কের কারণে ট্রাকভাড়া বেশি বলে সবজির দামও বেশি রাখতে হয়।
মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজ নগর গ্রামের বাসিন্দা ও আইনজীবী সোহেল খান, শিক্ষার্থী সানজিদা জেবিনসহ কয়েকজন বললেন, তাঁদের কাছে এটি ‘প্রতিশ্রুতির সড়ক’। কারণ, ২০০১ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারপ্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এলাকার সাংসদেরাও বিষয়টি সংসদে তুলেছেন। মঠবাড়িয়ায় ২০০৭ সালে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালিত হয়েছে। তবে দাবি পূরণ হয়নি।
নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বে প্রথম আলোকে জানান, সড়কটিকে ১৮ ফুট প্রশস্ত ও আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করার একটি প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো সাড়া মেলেনি।
খানাখন্দে বেহাল এই সড়ক দিয়েই চলছে দূরপাল্লার বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ ছোট-বড় সব যানবাহন। একমাত্র সড়ক হওয়ায় সীমাহীন ভোগান্তি সহ্য করে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনাও।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও বরগুনার পাথরঘাটার সঙ্গে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। চরখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা নামের এই সড়কটির দৈর্ঘ্য ৫৯ কিলোমিটার। কিন্তু প্রশস্ত মাত্র ১২ ফুট। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার চরখালী থেকে মঠবাড়িয়া হয়ে পাথরঘাটা পর্যন্ত সড়কটিকে আরও প্রশস্ত করে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করার দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের।
সে দাবি পূরণ হয়নি। উল্টো সংস্কার না হওয়ায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে সড়কের অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে শঙ্কায় তাঁরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুদিঘাটা থেকে ঝাউতলা বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশে পিচ-খোয়া উঠে গেছে, পদে পদে খানাখন্দ। তুষখালীর গুচ্ছগ্রাম অংশে দেখা গেল সড়কের কেবল মাঝখানে পিচের একটি ধারা অবশিষ্ট আছে। সেই অংশ দিয়ে কোনোমতে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা হোঁচট খেয়ে খেয়ে চলছে।
নথিপত্রের হিসাবে, সড়কটির পিরোজপুর অংশের ২৯ কিলোমিটার ও পাথরঘাটা অংশের ৩০ কিলোমিটার গত এক যুগে কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কারের পর কয়েক মাস যানবাহন চলাচলের উপযোগী থাকে। কিন্তু বর্ষা এলেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে এটি।
ঢাকা থেকে পাথরঘাটাগামী রুমিন পরিবহনের বাসচালক আসাদুজ্জামান জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের দূরপাল্লার বাস, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের (বিএফডিসি) মাছবাহী ট্রাক, সবজিবাহী ট্রাকসহ স্থানীয় কয়েক শ যানবাহন চলে। গর্তে পড়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। দুর্ঘটনাও ঘটে।
সওজের পিরোজপুর কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মতিউর রহমান বলেন, মঠবাড়িয়ার সিঅ্যান্ডবি থেকে ঝাউতলা পর্যন্ত¯২৮ কিলোমিটার সড়ক মাত্র ১২ ফুট চওড়া হওয়ায় একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গেলে সড়কের ঢালে নেমে যেতে হয়। এ কারণে সড়কের দুই পাশ ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া গাড়ি পাশ কাটানোর সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, চরখালী থেকে মাদার্শী পর্যন্ত¯সড়কে ইটের খোয়া ফেলা হয়েছে। সেই খোয়াও যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে চুরমার। সড়ক দিয়ে বাস ও মোটরসাইকেল চলার সময় ওড়া ধুলা যাত্রী ও পথচারীদের জন্য বাড়তি দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।
পিরোজপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, সড়কটির চরখালী থেকে মাদার্শী পর্যন্ত সাত কিলোমিটার অংশ সংস্কারের জন্য গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ডন রেবিস জেবী ও মাসুদ খান নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রায়োরিটি মেইনটেন্যান্স প্রোগ্রামের (পিএমপি) আওতায় এই সাত কিলোমিটারসহ জেলার বিভিন্ন সড়কের মোট ৩২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য প্রতিষ্ঠান দুটিকে ১৩ কোটি টাকার এ কাজ দেওয়া হয়। ছয় মাসে (জুন) কাজ শেষ করার কথা।
স্থানীয় লোকজন জানান, ঠিকাদার কয়েক মাস আগে কিছু খোয়া ফেলেছেন। যানবাহনের চাপে সেই খোয়া ভেঙে যাচ্ছে। বর্ষার আগে সংস্কারকাজ শেষ না হলে সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
দেখা গেল, সড়কের ঝাউতলা থেকে গুদিঘাটা পর্যন্ত অসংখ্য গর্ত। ঝাউতলা থেকে গুলিসাখালী পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার অংশের বেশির ভাগে সড়কের দুই পাশে (শোল্ডার) মাটি নেই। সড়কের সিঅ্যান্ডবি, দক্ষিণ গুলিসাখালী, বহেড়াতলা ও গুদিঘাটা সেতুও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব সেতুর ভেঙে যাওয়া পাটাতনের প্লেটগুলো জোড়াতালি দেওয়া রয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, মঠবাড়িয়া থেকে চরখালী পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার সড়ক দুই বছর ধরেই বেহাল। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
চলতি বছরের এপ্রিলে শাহজাহান আলী কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গুদিঘাটা থেকে ঝাউতলা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার ৭০০ মিটার অংশ চার মাসের মধ্যে সংস্কারের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এটিও পিএমপির আওতায়। এটি আড়াই কোটি টাকার কাজ। তবে কাজ এখনো শুরু হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাহান আলী কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
সওজের পিরোজপুরের কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বে বলেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের মৌখিক তাগাদাও দেওয়া হচ্ছে।
মঠবাড়িয়া পৌর বাজারের ব্যবসায়ী এম এ আউয়াল বলেন, পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ীরা এ সড়কের ওপর নির্ভরশীল। সড়ক বেহাল হওয়ায় পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। মঠবাড়িয়া কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মো. জামাল বলেন, তাঁরা প্রতিদিন যশোর, খুলনা থেকে সবজি এনে বিক্রি করেন। সড়কের কারণে ট্রাকভাড়া বেশি বলে সবজির দামও বেশি রাখতে হয়।
মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজ নগর গ্রামের বাসিন্দা ও আইনজীবী সোহেল খান, শিক্ষার্থী সানজিদা জেবিনসহ কয়েকজন বললেন, তাঁদের কাছে এটি ‘প্রতিশ্রুতির সড়ক’। কারণ, ২০০১ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারপ্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এলাকার সাংসদেরাও বিষয়টি সংসদে তুলেছেন। মঠবাড়িয়ায় ২০০৭ সালে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালিত হয়েছে। তবে দাবি পূরণ হয়নি।
নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বে প্রথম আলোকে জানান, সড়কটিকে ১৮ ফুট প্রশস্ত ও আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করার একটি প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো সাড়া মেলেনি।
No comments