রোহিঙ্গা সঙ্কট বিচ্ছিন্ন কোন ট্র্যাজেডি নয় by তাহমিমা আনাম
১৯৭১
সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে সহায়তার প্রচেষ্টায় তহবিল গঠনে প-িত রবি
শঙ্কর ও বাংলাদেশের দরদী জর্জ হ্যারিসন নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার
গার্ডেনসে একটি কনসার্টের আয়োজন করেছিলেন। অ্যালবামের কভারে ক্ষুধায় পীড়িত
একটি শিশুর ছবি ছিল। যুদ্ধের ধংসস্তূপ থেকে উঠে আসা দারিদ্র্যপীড়িত একটি
দেশের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায় ওই ছবি। ৪৪ বছর পর আরেকটি চিত্র এখন বাংলাদেশের
সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সেটা হলো, আন্দামান সাগরে ভাসমান শরণার্থীদের চিত্র,
যাদের উদ্ধারের কোন আশা নেই। এদেরকে পরিত্যাগ করা হয়েছে।
আমরা সবাই এসব শরণার্থীর ছবি দেখেছি। নৌকাগুলোতে তাদের কঙ্কালসার শরীরের চিত্র দেখেছি। তাদের শরীরের ক্ষতচিহ্ন আমরা দেখেছি, যেগুলো তারা খাবার পানির সঙ্কট নিয়ে লড়াইয়ে জড়িয়ে অর্জন করেছে। সাগরে তাদের পরিত্যাগ করা আর একের পর এক দেশ তাদের প্রত্যাখ্যান করার হৃদয়বিদারক গল্প আমরা পড়েছি।
ধারণা করা হয় ৮ হাজারের মতো শরণার্থী বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্রে ভেসে বেড়াচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের। সেখানে তারা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়েরর সদস্য হিসেবে নাগরিকত্বের মৌলিক অধিকার প্রত্যাখ্যাত। বাকিরা অর্থনৈতিক কারণে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অভিবাসী।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা প্রথম যখন বাংলাদেশে আসা শুরু করে সে সময়ের কথা আমার মনে আছে। এটা ছিল ১৯৮২ সাল। মিয়ানমারে একটি আইনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অধিকার হরণ নেয়ার পরের ঘটনা। ওই আইন দেশটির ১৩৫টি ‘জাতীয় জনগোষ্ঠীর’ একটি হিসেবে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। রাষ্ট্র আরোপিত দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়ে তারা পালিয়ে সীমান্ত পেরুনো শুরু করে।
এর পরের বছরগুলোতে, তাদেরকে নিজেদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারা একচেটিয়া কর এবং জোরপূর্বক শ্রমের শিকার হয়েছে। এছাড়া অনুমোদন ছাড়া সফর বা বিয়ে করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি দু’সন্তানের বেশি হওয়াটাও তাদের জন্য অবৈধ। নির্মম বিড়ম্বনার বিষয় হলো মিয়ানমার সরকার এখন রোহিঙ্গাদের ‘অবৈধ বাংলাদেশী’ বলা শুরু করেছে, যদিও তাদের কয়েক প্রজন্ম দেশটিতে বাস করে আসছে।
বাংলাদেশে এখন নিবন্ধিত ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। কিন্তু ইউএনএইচসিআর-এর অনুমান, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে আরও ২ লাখের মতো বসবাস করছে। বাংলাদেশ সম্পদের সীমাবদ্ধতার অজুহাত/যুক্তি দেখিয়েছে। বলেছে, দরিদ্র দেশ হিসেবে আমাদের শরণার্থীদের ঢল মোকাবিলা করার মতো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের সহায়তা করতে অনেক কিছু করতে পারি।
সবচেয়ে ন্যক্কারজনক হলো, পশ্চিমা দেশগুলো অং সান সু চির প্রতি এতটাই অনুগত হয়ে পড়েছেন যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এমন পরিণতির সময়ে তার লজ্জাজনক অবস্থান পর্যন্ত তারা অবজ্ঞা করে যাচ্ছে। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ এমন কোন অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না, যেখানে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি থাকবে। মালয়েশিয়া ও থাই কর্তৃপক্ষ আর কোন শরণার্থী গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মানুষের যে অভিন্ন একটি পরিচয় আছে তার প্রতি কোন তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না।
কিন্তু বাংলাদেশ বা বার্মা, অথবা উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠাতে অস্বীকৃতি জানানো দেশগুলোকে দায় চাপানোর মাধ্যমে আমরা এতটুকুই যেতে পারি। রোহিঙ্গাদের অবস্থার উন্নতির একমাত্র উপায় হচ্ছে, এ অঞ্চলের সকল দেশের ওপর সমন্বিত আন্তর্জাতিক ও বহুপাক্ষিক চাপ দেয়া। অভিবাসীদের বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর দৃষ্টিপাতের সময় এসেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বর্তমানে বিশ্বে যে কোন সময়ের চেয়েও বাস্তুহীনদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। নিপীড়ন, দারিদ্র্যতা ও সংঘর্ষের ফলে মানুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আশ্রয়ের খোঁজে নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে তারা। রোহিঙ্গারা বলছে, বার্মায় নিশ্চিত মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকার বদলে, তারা বরং মানব পাচারকারীদের সঙ্গে গিয়ে সুযোগ নেবে। প্রায় ২৫ হাজার রোহিঙ্গা এ বছর সাগর পাড়ি দিয়েছে।
সত্য হচ্ছেÑ আমরা অভিবাসনের যুগে প্রবেশ করছি। তাই আমাদের অবশ্যই সমতা ও নৈতিকতার বোধ ঠিক করতে হবে। সে অনুযায়ী ঠিক করতে হবে আমাদের জাতীয় সীমান্তের ধারণাকেও। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের ওপর শরণার্থী সঙ্কট সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। যেটি মানব-ইতিহাসে অভূতপূর্ব। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী শহরে প্রতিমাসে ৫০ হাজার মানুষ প্রবেশ করে। কেননা, বৃদ্ধি পেতে থাকা সাগরের উচ্চতা তাদের গ্রামগুলোকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। তাদের চাষের জমিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আমাদের সমষ্টিগত ভবিষ্যতের হালকা ঝলক দেখার সুযোগ করে দিয়েছে ভাসমান শরণার্থীরা। ভবিষ্যতে, বাংলাদেশের মতো দুর্ভাগা দেশগুলো হবে হয়তো প্রথম ভিকটিম। কিন্তু দ্রুতই ধনবান দেশগুলোও চরম আবহাওয়াগত অবস্থা ও ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার কারণে ভুগতে শুরু করবে। আমরা এখনও জানি না, ঠিক কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের প্রতিটি দেশকে আঘাত করবে। এ অনিশ্চয়তা বিবেচনায়, পার¯পরিক স¤পদ নিয়ে আমাদের উচিত আগ্রাসী প্রচেষ্টা নেয়া।
আমি হয়তো এমন একটি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারি। কিন্তু আমি জানি এটা সহজে আসবে না। আমরা হয়তো অভিবাসীদের প্রতি আচরণে সুদূরপ্রসারী ও বহুজাতিক পরিবর্তন আনবো। কিন্তু তার আগেই নৌকায় ভাসমান হাজার হাজার মানুষকে নিজেদের প্রাণ হারাতে হবে।
আমাদের ওপর যা আঘাত হানতে যাচ্ছে, তার ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি অত্যন্ত কম। আমাদের কোন রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা নেই। নেই নৈতিক সাহস। ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় একটি সামগ্রিক বোধও নেই আমাদের। ওই মানুষদের ছবিগুলোকে আমাদের প্রতি যুদ্ধে যাওয়ার আহ্বান হতে দিন।
(তাহমিমা আনাম বাংলাদেশী লেখিকা, উপন্যাসিক ও কলামনিস্ট। তার প্রথম উপন্যাস ‘এ গোল্ডেন এইজ’ প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে)
(১৯শে মে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত লেখার অনুবাদ)
আমরা সবাই এসব শরণার্থীর ছবি দেখেছি। নৌকাগুলোতে তাদের কঙ্কালসার শরীরের চিত্র দেখেছি। তাদের শরীরের ক্ষতচিহ্ন আমরা দেখেছি, যেগুলো তারা খাবার পানির সঙ্কট নিয়ে লড়াইয়ে জড়িয়ে অর্জন করেছে। সাগরে তাদের পরিত্যাগ করা আর একের পর এক দেশ তাদের প্রত্যাখ্যান করার হৃদয়বিদারক গল্প আমরা পড়েছি।
ধারণা করা হয় ৮ হাজারের মতো শরণার্থী বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্রে ভেসে বেড়াচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের। সেখানে তারা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়েরর সদস্য হিসেবে নাগরিকত্বের মৌলিক অধিকার প্রত্যাখ্যাত। বাকিরা অর্থনৈতিক কারণে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অভিবাসী।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা প্রথম যখন বাংলাদেশে আসা শুরু করে সে সময়ের কথা আমার মনে আছে। এটা ছিল ১৯৮২ সাল। মিয়ানমারে একটি আইনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অধিকার হরণ নেয়ার পরের ঘটনা। ওই আইন দেশটির ১৩৫টি ‘জাতীয় জনগোষ্ঠীর’ একটি হিসেবে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। রাষ্ট্র আরোপিত দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়ে তারা পালিয়ে সীমান্ত পেরুনো শুরু করে।
এর পরের বছরগুলোতে, তাদেরকে নিজেদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারা একচেটিয়া কর এবং জোরপূর্বক শ্রমের শিকার হয়েছে। এছাড়া অনুমোদন ছাড়া সফর বা বিয়ে করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি দু’সন্তানের বেশি হওয়াটাও তাদের জন্য অবৈধ। নির্মম বিড়ম্বনার বিষয় হলো মিয়ানমার সরকার এখন রোহিঙ্গাদের ‘অবৈধ বাংলাদেশী’ বলা শুরু করেছে, যদিও তাদের কয়েক প্রজন্ম দেশটিতে বাস করে আসছে।
বাংলাদেশে এখন নিবন্ধিত ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। কিন্তু ইউএনএইচসিআর-এর অনুমান, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে আরও ২ লাখের মতো বসবাস করছে। বাংলাদেশ সম্পদের সীমাবদ্ধতার অজুহাত/যুক্তি দেখিয়েছে। বলেছে, দরিদ্র দেশ হিসেবে আমাদের শরণার্থীদের ঢল মোকাবিলা করার মতো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের সহায়তা করতে অনেক কিছু করতে পারি।
সবচেয়ে ন্যক্কারজনক হলো, পশ্চিমা দেশগুলো অং সান সু চির প্রতি এতটাই অনুগত হয়ে পড়েছেন যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এমন পরিণতির সময়ে তার লজ্জাজনক অবস্থান পর্যন্ত তারা অবজ্ঞা করে যাচ্ছে। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ এমন কোন অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না, যেখানে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি থাকবে। মালয়েশিয়া ও থাই কর্তৃপক্ষ আর কোন শরণার্থী গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মানুষের যে অভিন্ন একটি পরিচয় আছে তার প্রতি কোন তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না।
কিন্তু বাংলাদেশ বা বার্মা, অথবা উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠাতে অস্বীকৃতি জানানো দেশগুলোকে দায় চাপানোর মাধ্যমে আমরা এতটুকুই যেতে পারি। রোহিঙ্গাদের অবস্থার উন্নতির একমাত্র উপায় হচ্ছে, এ অঞ্চলের সকল দেশের ওপর সমন্বিত আন্তর্জাতিক ও বহুপাক্ষিক চাপ দেয়া। অভিবাসীদের বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর দৃষ্টিপাতের সময় এসেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বর্তমানে বিশ্বে যে কোন সময়ের চেয়েও বাস্তুহীনদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। নিপীড়ন, দারিদ্র্যতা ও সংঘর্ষের ফলে মানুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আশ্রয়ের খোঁজে নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে তারা। রোহিঙ্গারা বলছে, বার্মায় নিশ্চিত মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকার বদলে, তারা বরং মানব পাচারকারীদের সঙ্গে গিয়ে সুযোগ নেবে। প্রায় ২৫ হাজার রোহিঙ্গা এ বছর সাগর পাড়ি দিয়েছে।
সত্য হচ্ছেÑ আমরা অভিবাসনের যুগে প্রবেশ করছি। তাই আমাদের অবশ্যই সমতা ও নৈতিকতার বোধ ঠিক করতে হবে। সে অনুযায়ী ঠিক করতে হবে আমাদের জাতীয় সীমান্তের ধারণাকেও। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের ওপর শরণার্থী সঙ্কট সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। যেটি মানব-ইতিহাসে অভূতপূর্ব। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী শহরে প্রতিমাসে ৫০ হাজার মানুষ প্রবেশ করে। কেননা, বৃদ্ধি পেতে থাকা সাগরের উচ্চতা তাদের গ্রামগুলোকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। তাদের চাষের জমিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আমাদের সমষ্টিগত ভবিষ্যতের হালকা ঝলক দেখার সুযোগ করে দিয়েছে ভাসমান শরণার্থীরা। ভবিষ্যতে, বাংলাদেশের মতো দুর্ভাগা দেশগুলো হবে হয়তো প্রথম ভিকটিম। কিন্তু দ্রুতই ধনবান দেশগুলোও চরম আবহাওয়াগত অবস্থা ও ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার কারণে ভুগতে শুরু করবে। আমরা এখনও জানি না, ঠিক কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের প্রতিটি দেশকে আঘাত করবে। এ অনিশ্চয়তা বিবেচনায়, পার¯পরিক স¤পদ নিয়ে আমাদের উচিত আগ্রাসী প্রচেষ্টা নেয়া।
আমি হয়তো এমন একটি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারি। কিন্তু আমি জানি এটা সহজে আসবে না। আমরা হয়তো অভিবাসীদের প্রতি আচরণে সুদূরপ্রসারী ও বহুজাতিক পরিবর্তন আনবো। কিন্তু তার আগেই নৌকায় ভাসমান হাজার হাজার মানুষকে নিজেদের প্রাণ হারাতে হবে।
আমাদের ওপর যা আঘাত হানতে যাচ্ছে, তার ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি অত্যন্ত কম। আমাদের কোন রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা নেই। নেই নৈতিক সাহস। ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় একটি সামগ্রিক বোধও নেই আমাদের। ওই মানুষদের ছবিগুলোকে আমাদের প্রতি যুদ্ধে যাওয়ার আহ্বান হতে দিন।
(তাহমিমা আনাম বাংলাদেশী লেখিকা, উপন্যাসিক ও কলামনিস্ট। তার প্রথম উপন্যাস ‘এ গোল্ডেন এইজ’ প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে)
(১৯শে মে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত লেখার অনুবাদ)
No comments