কাউন্সিল ঘিরে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে ছাত্রলীগ
দুই
মাস পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। দীর্ঘ ৪ বছর পর কাউন্সিলের ঘোষণাকে
ঘিরে সংগঠনটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে বেড়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। জমে
উঠেছে ছাত্র রাজনীতির সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন।
সর্বত্রই চলছে আলোচনা। কারা হচ্ছেন সংগঠনের আগামী দিনের কাণ্ডারী?
পদপ্রত্যাশীরা ভিড় জমাচ্ছেন মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের
গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে। নীতি-নির্ধারকদের মন জয়ে চলছে নানা আয়োজন।
কর্মীদের নিয়ে শোডাউন দিয়ে চলছে শক্তির প্রদর্শনী। এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের
দমিয়ে রাখতে রাজনীতির ‘নোংরা খেলায়’ মেতে উঠেছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
চলেছে ‘ব্লেইম’ রাজনীতি। বাড়ছে প্রতিপক্ষের উপর হামলার ঘটনাও।
সর্বশেষ ১৬ই মে গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশে হল থেকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বের করে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুজ্জামান রোহানকে। রোহান আসন্ন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্ভাবনাময়ী প্রার্থী। সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি লিয়াকত শিকদারের অনুসারী রোহান হলের ২১০ নম্বর কক্ষে থাকতেন। সূত্র জানায়, ওই রাতে হল সভাপতি মাহমুদুল হাসান রাকিবের অনুসারীরা আকস্মিক হামলা চালায় ২১০ নম্বর কক্ষে। সে সময় কক্ষে অবস্থানকারী রোহানকে টেনে-হিঁচড়ে অতিথি কক্ষে নিয়ে আসে কর্মীরা। পরে রাকিব রোহানকে বেশ কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিয়ে হল থেকে বের করে দেন। পরদিন ১৭ই মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রধানমন্ত্রীর ৩৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সমাবেশে সহ-সভাপতি রোহান অংশ নিতে এলে আরেক দফা হামলা চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন শহীদুল্লাহ হল শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম, একুশের হলের সভাপতি রাকিব, মুহসীন হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান। হামলায় রোহানের মাথা ও নাক ফেটে যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এলিফ্যান্ট রোডের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন রোহান। হামলাকারীরা বর্তমান কমিটির সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামানের অনুসারী। হামলার বিষয়ে আরিফুজ্জামান রোহান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশীভূত হয়ে তারা হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে একুশে হলের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের দাবি কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় কর্মীরা তাকে মারধর করে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রোহান। শহীদ মিনারের সমাবেশেও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেলা ৩টায় সমাবেশ শুরুর পর গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও দনিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে হাতাহাতি হলেও পরে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডের লাঠি নিয়ে একে-অপরের উপর হামলা করে নেতাকর্মীরা। এতে রিমন, তুহিন, রনিসহ মোট চার জন আহত হন। রনি তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান গ্রুপের কর্মী। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা মেডিক্যালে গিয়ে চিকিৎসারত রনিকে পুনরায় পিটুনি দেয় প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীরা। বিকাল ৫টায় সমাবেশ স্থলে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের একটি মিছিল এলে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে সমাবেশস্থলে উপস্থিতির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসব বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা বলেন, ছাত্রলীগ বহুদিন ধরে সিন্ডিকেটে আবদ্ধ। সিন্ডিকেটে বিভক্তির কারণেই এসব হামলার ঘটনা ঘটছে। এদিকে অনেক প্রার্থী দলের প্রতি নিজেদের আনুগত্য দেখাতে গিয়ে হামলা চালাচ্ছেন প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর। গত ১৪ই মে মুহসীন হলে আইডি কার্ড নবায়ন করতে গিয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ছাত্রদলের এক কর্মী। ২৫-২৬শে জুলাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। এর আগে ১১ই জুন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কাউন্সিল। কাউন্সিল ঘিরে পদ প্রত্যাশীরা ক্যাম্পাসে শক্তির প্রদর্শনীতে ব্যস্ত রয়েছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নেতারা অবস্থান নেন। মিলন চত্বর, রোকেয়া হলের সামনে, টিএসসি, মুহসীন হলের মাঠ, ডাস-এ দিন-রাত নেতারা অনুগত কর্মীদের নিয়ে শোডাউন দেন। এসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগে শুধু একটিই সিন্ডিকেট। শেখ হাসিনার সিন্ডিকেট। দ্বন্দ্বের বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। এলে ব্যবস্থা নেবো।
সর্বশেষ ১৬ই মে গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশে হল থেকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বের করে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুজ্জামান রোহানকে। রোহান আসন্ন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্ভাবনাময়ী প্রার্থী। সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি লিয়াকত শিকদারের অনুসারী রোহান হলের ২১০ নম্বর কক্ষে থাকতেন। সূত্র জানায়, ওই রাতে হল সভাপতি মাহমুদুল হাসান রাকিবের অনুসারীরা আকস্মিক হামলা চালায় ২১০ নম্বর কক্ষে। সে সময় কক্ষে অবস্থানকারী রোহানকে টেনে-হিঁচড়ে অতিথি কক্ষে নিয়ে আসে কর্মীরা। পরে রাকিব রোহানকে বেশ কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিয়ে হল থেকে বের করে দেন। পরদিন ১৭ই মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রধানমন্ত্রীর ৩৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সমাবেশে সহ-সভাপতি রোহান অংশ নিতে এলে আরেক দফা হামলা চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন শহীদুল্লাহ হল শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম, একুশের হলের সভাপতি রাকিব, মুহসীন হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান। হামলায় রোহানের মাথা ও নাক ফেটে যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এলিফ্যান্ট রোডের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন রোহান। হামলাকারীরা বর্তমান কমিটির সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামানের অনুসারী। হামলার বিষয়ে আরিফুজ্জামান রোহান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশীভূত হয়ে তারা হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে একুশে হলের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের দাবি কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় কর্মীরা তাকে মারধর করে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রোহান। শহীদ মিনারের সমাবেশেও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেলা ৩টায় সমাবেশ শুরুর পর গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও দনিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে হাতাহাতি হলেও পরে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডের লাঠি নিয়ে একে-অপরের উপর হামলা করে নেতাকর্মীরা। এতে রিমন, তুহিন, রনিসহ মোট চার জন আহত হন। রনি তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান গ্রুপের কর্মী। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা মেডিক্যালে গিয়ে চিকিৎসারত রনিকে পুনরায় পিটুনি দেয় প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীরা। বিকাল ৫টায় সমাবেশ স্থলে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের একটি মিছিল এলে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে সমাবেশস্থলে উপস্থিতির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসব বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা বলেন, ছাত্রলীগ বহুদিন ধরে সিন্ডিকেটে আবদ্ধ। সিন্ডিকেটে বিভক্তির কারণেই এসব হামলার ঘটনা ঘটছে। এদিকে অনেক প্রার্থী দলের প্রতি নিজেদের আনুগত্য দেখাতে গিয়ে হামলা চালাচ্ছেন প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর। গত ১৪ই মে মুহসীন হলে আইডি কার্ড নবায়ন করতে গিয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ছাত্রদলের এক কর্মী। ২৫-২৬শে জুলাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। এর আগে ১১ই জুন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কাউন্সিল। কাউন্সিল ঘিরে পদ প্রত্যাশীরা ক্যাম্পাসে শক্তির প্রদর্শনীতে ব্যস্ত রয়েছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নেতারা অবস্থান নেন। মিলন চত্বর, রোকেয়া হলের সামনে, টিএসসি, মুহসীন হলের মাঠ, ডাস-এ দিন-রাত নেতারা অনুগত কর্মীদের নিয়ে শোডাউন দেন। এসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগে শুধু একটিই সিন্ডিকেট। শেখ হাসিনার সিন্ডিকেট। দ্বন্দ্বের বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। এলে ব্যবস্থা নেবো।
No comments