হত্যার হুমকিতে আমি ভীত নই -জাফর ইকবাল
হত্যার
হুমকিতে ভীত নন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, আমি
অসংখ্যবার এই রকম চিঠি পেয়েছি, অনেকবার হয়েছে আমি কাউকে বলিনি এমনকি আমার
স্ত্রীকে না। এবার হত্যার হুমকি দিয়ে যে চিঠিটা দেয়া হয়েছে তার বানানও
শুদ্ধ না। অনেক কষ্টে আমি চিঠির ভাষা বুঝতে পেরেছি। ‘আল কায়েদা আনসারুল্লাহ
বাংলাটিম-১৩’র হত্যার হুমকির পর গতকাল বিকালে অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন,
এবার হত্যার হুমকির তালিকায় বড় বড় মানুষেরা আছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নতুন
করে বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের খুঁজে বের করবে। তবে এখানে যাদের নাম দিয়েছে
তারা সবাই সমাজে প্রতিষ্ঠিত মানুষ। তাদের ঝুঁকি নেই। কারণ, তারা পর্যাপ্ত
নিরাপত্তা পায়। আমারও গত ৭ দিন ধরে পুলিশ পাহারা রয়েছে। তাদের রাস্তার মোড়ে
চাপাতি দিয়ে মারতে পারবে- এই আশঙ্কা আমি দেখি না। যারা বিজ্ঞানের কথা বলে,
যুক্তির কথা বলে এখন তাদের নামের সঙ্গে নাস্তিক জুড়ে দেয়া হচ্ছে উল্লেখ
করে জাফর ইকবাল বলেন, অনন্তের মতো তরুণ ছেলেরা যারা প্রকৃত পক্ষে ঝুঁকিতে
আছে তাদের জন্য কিছু করা দরকার। তাদের মার্ডার করার পরে অন্যদের ফোনে
হুমকিও দিচ্ছে। ধরেই নেয়া হয়েছে যারা ব্লগার তাদের নামের সঙ্গে নাস্তিক
কথাটা জুড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মারা হবে, বিষয়টা আমার জন্য অনেক কষ্টের।
তাদের কেউ নিরাপত্তা দেয় না, সরকারও তাদের জন্য কিছু করে না। এতে আমি
বিচলিত। হেফাজতে ইসলামের হাত থেকে যে তালিকা দেয়া হয়েছিল তার থেকে গত তিন
মাসে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে।
যাকে মারবে বলে ঠিক করে তার নামের পাশে নাস্তিক ও পরে ব্লগার জুড়ে দেয়। এদের মারার পরে পুলিশও এমন একটা ভাব করে যেন নিজের দোষে তাদের মারা হয়েছে। এর থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। কারও লেখা যদি অন্যের পছন্দ না হয় তাহলে লিখে তার প্রতিবাদ করতে পারে। কারও লেখা যদি দেশের আইনের পরিপন্থি হয় তাহলে প্রচলিত আইনে তার বিচার করা উচিত। আমাদের বাংলাদেশে আগে কোমল একটা ধর্ম ছিল। এখন সেই ধর্মকে একটা বিচিত্র ধর্মে পরিণত করা হয়েছে যেখানে কোন মায়া, মমতা, ভালবাসা নেই। ওকে মারো, ওকে জবাই করো এভাবে একটা ধর্মকে নিষ্ঠুর ধর্মে পরিণত করা হচ্ছে।
যাকে মারবে বলে ঠিক করে তার নামের পাশে নাস্তিক ও পরে ব্লগার জুড়ে দেয়। এদের মারার পরে পুলিশও এমন একটা ভাব করে যেন নিজের দোষে তাদের মারা হয়েছে। এর থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। কারও লেখা যদি অন্যের পছন্দ না হয় তাহলে লিখে তার প্রতিবাদ করতে পারে। কারও লেখা যদি দেশের আইনের পরিপন্থি হয় তাহলে প্রচলিত আইনে তার বিচার করা উচিত। আমাদের বাংলাদেশে আগে কোমল একটা ধর্ম ছিল। এখন সেই ধর্মকে একটা বিচিত্র ধর্মে পরিণত করা হয়েছে যেখানে কোন মায়া, মমতা, ভালবাসা নেই। ওকে মারো, ওকে জবাই করো এভাবে একটা ধর্মকে নিষ্ঠুর ধর্মে পরিণত করা হচ্ছে।
No comments