ভারতে সমকামী পুত্রের জন্য পাত্র চেয়ে মায়ের বিজ্ঞাপন
প্রথমবারের
মতো সমকামী পুরুষের জন্য ‘পাত্র’ চেয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হলো ভারতীয়
পত্রিকায়। নিজের পুত্রের জন্য ‘প্রতিষ্ঠিত, পশুপ্রেমী ও নিরামিষভোজী পাত্র’
চেয়ে ওই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তার মা। ভারতের শীর্ষ সমকামী অধিকার কর্মী হারিশ
আয়ারের মা পদ্মা আয়ার নিজের ছেলের জন্য বিজ্ঞাপনটি ছাপান। মঙ্গলবার
মুম্বইয়ের মিড-ডে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়। একে ভারতের ইতিহাসে
প্রথম সমকামী বিয়ের বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে দ্য
টেলিগ্রাফ। সাধারণত, ভারতীয় পাত্র-পাত্রী চেয়ে যেসব বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়
পত্রিকায়, সেটি আসলে ভারতের এক ধরনের প্রতিবিম্ব। এসব দেখেই বোঝা যায়,
ভারত আসলে বিয়ের বেলায় অর্থ-বিত্ত, সামাজিক অবস্থান ও বর্ণের প্রতিই আগ্রহী
বেশি। কিন্তু মঙ্গলবারের ওই বিজ্ঞাপনটিতে এসবের বালাই ছিল না। আবার
একেবারে ছিল না যে তা নয়। পদ্মা আয়ারের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তিনি নিজের
পুত্রের জন্য একজন ২৫-৪০ বছর বয়সী, প্রতিষ্ঠিত, পশুপ্রেমী ও নিরামিষভোজী
পাত্র চান। নিজের পুত্রের বয়স ৩৬ ও উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি বলেও উল্লেখ করেন
তিনি। তার পুত্র এনজিওর সঙ্গে জড়িত বলে বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাত্রের যোগ্যতার ক্ষেত্রে বর্ণ কোন বাধা নয়, তবে আয়ার (ব্রাহ্মণ) বংশীয়
হলে ভাল।
ভারতে এখনও সমকামিতা অবৈধ। তাই এ ধরনের বিজ্ঞাপনও এই প্রথম। তবে ২০০৯ সালে ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট সমকামিতাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ১৪৮ বছরের একটি আইন বাতিল ঘোষণা করেন। কিন্তু ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট ওই আদেশ পাল্টে দেন। তাই লাখো পাঠকের টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমস পদ্মা আয়ারের বিজ্ঞাপনটি প্রকাশে অস্বীকৃতি জানায়। পত্রিকা দুটির ভয় ছিল, এতে করে আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। কিন্তু মুম্বইভিত্তিক ট্যাবলয়েড মিড-ডের সম্পাদক শচীন কালবাগ বিজ্ঞাপনটি প্রকাশে সম্মত হন। তিনি বলেন, একটি সংগঠন হিসেবে আমরা সব সময় সবার জন্য সমান অধিকারে সমর্থন দিয়েছি। বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, গায়ের রং ও যে কোন কিছুর ঊর্ধ্বে সমতাকে সমর্থন দিয়েছি। তাই যখন সমকামী বিয়ের বিজ্ঞাপনটি আমাদের কাছে এলো, আমরা এটি প্রকাশে দ্বিতীয়বার ভাবিনি। ভারতে জীবনসঙ্গী পাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হলো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা। এ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে হারিশ আয়ারের মা তার ছেলের জন্য পাত্র খুঁজে পাবেন বলে আমার বিশ্বাস। ওদিকে হারিশের দাবি, বিজ্ঞাপনটিতে যেভাবে লেখা হয়েছে, অর্থাৎ প্রচলিত ‘পারিবারিক বিয়ে’ বা ‘ব্রাহ্মণ আয়ার বর্ণের’ কাউকে বিয়ের জন্য ওই বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়নি। এটা অনেকটা এমন যে, মা আমার জন্য ডেটিং ঠিক করে দিচ্ছেন।
ভারতে এখনও সমকামিতা অবৈধ। তাই এ ধরনের বিজ্ঞাপনও এই প্রথম। তবে ২০০৯ সালে ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট সমকামিতাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ১৪৮ বছরের একটি আইন বাতিল ঘোষণা করেন। কিন্তু ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট ওই আদেশ পাল্টে দেন। তাই লাখো পাঠকের টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমস পদ্মা আয়ারের বিজ্ঞাপনটি প্রকাশে অস্বীকৃতি জানায়। পত্রিকা দুটির ভয় ছিল, এতে করে আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। কিন্তু মুম্বইভিত্তিক ট্যাবলয়েড মিড-ডের সম্পাদক শচীন কালবাগ বিজ্ঞাপনটি প্রকাশে সম্মত হন। তিনি বলেন, একটি সংগঠন হিসেবে আমরা সব সময় সবার জন্য সমান অধিকারে সমর্থন দিয়েছি। বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, গায়ের রং ও যে কোন কিছুর ঊর্ধ্বে সমতাকে সমর্থন দিয়েছি। তাই যখন সমকামী বিয়ের বিজ্ঞাপনটি আমাদের কাছে এলো, আমরা এটি প্রকাশে দ্বিতীয়বার ভাবিনি। ভারতে জীবনসঙ্গী পাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হলো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা। এ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে হারিশ আয়ারের মা তার ছেলের জন্য পাত্র খুঁজে পাবেন বলে আমার বিশ্বাস। ওদিকে হারিশের দাবি, বিজ্ঞাপনটিতে যেভাবে লেখা হয়েছে, অর্থাৎ প্রচলিত ‘পারিবারিক বিয়ে’ বা ‘ব্রাহ্মণ আয়ার বর্ণের’ কাউকে বিয়ের জন্য ওই বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়নি। এটা অনেকটা এমন যে, মা আমার জন্য ডেটিং ঠিক করে দিচ্ছেন।
No comments