চোখের সামনে অজ্ঞান পার্টির ছলাকলা by সামছুর রহমান
হাতেনাতে আটক অজ্ঞান পার্টির এক সদস্য |
বিকেল
তখন সাড়ে তিনটা। শাহবাগ থেকে কারওয়ান বাজার যেতে বিআরটিসির দ্বিতল বাসের
দোতলায় উঠলাম। পেছনের দিকে তিনজন লোক দাঁড়ানো, অথচ সামনের অনেক আসনই
ফাঁকা। কাছেই নামব আর প্রচণ্ড গরম বলে পেছনেই দাঁড়ালাম। লোক তিনজন বলছে,
‘ভাই, সামনে সিট ফাঁকা’।
যেখানে ছিলাম সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকলাম। হঠাৎ চোখ পড়ল শেষ সারির তিনজনের বসার আসনে। কোনায় বসা যাত্রী ঘুমে আসন থেকে পড়েই যাচ্ছেন। ঘুম ঘুম চোখেই সে তার দামি মোবাইল ফোনটি অনেক কষ্টে সঙ্গের হাতব্যাগে ঢুকাচ্ছেন। আর আমার পাশে দাঁড়ানো তিন যাত্রী তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তা লক্ষ্য করছেন। তাঁরা আমাকে বারবার সামনে পাঠাতে চাইছেন। এ সময় এক ধাপ সামনের একটি আসন ফাঁকা হলে বসলাম। সঙ্গে সঙ্গে পেছনে দাঁড়ানোদের মধ্যে দুজন আমাকে এমনভাবে আড়াল করে দাঁড়াল যাতে প্রায় ঘুমন্ত যাত্রীকে দেখা না যায়।
সন্দেহ জাগল। পেছনের একজন খুবই অস্পষ্ট স্বরে বলল ‘এখনো সময় আসে নাই।’ শোনামাত্র দাঁড়িয়ে পড়লাম। এমন জায়গায় দাঁড়ালাম যেখান থেকে ঘুমন্ত যাত্রীকে দেখা যায়। তখন খেয়াল করে দেখলাম, ঘুমন্ত যাত্রীর পাশে বসা দুজনের আচরণও সন্দেহজনক। বাস ততক্ষণে বাংলামোটর পার হচ্ছে। আমি একা, ওরা পাঁচজন। কী করব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।
বাস কারওয়ান বাজারের পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে সিগন্যালে আটকা পড়েছে। নেমে যাব? দ্বিধান্বিত মন। তবে দ্রুতগতিতে গিয়ে লোকটাকে ঝাঁকাতে শুরু করলাম। বললাম, ‘কই নামবেন’, ‘কী হইছে’? লোকটা অস্পষ্ট স্বরে বলল, ‘কারওয়ান বাজার নামব, আমাকে হালুয়া খাওয়াইছে’।
লোকটাকে কোনো রকমে দোতলা থেকে নামিয়ে পাশের সড়কের ফুটপাতে দাঁড় করালাম। লোকজন উৎসুক হয়ে জানতে চাচ্ছেন, কী হয়েছে? বললাম ‘ভাই, এঁরে অজ্ঞান পার্টি ধরছিল।’ কলেজপড়ুয়া টাইপ দুজন ছেলে হেঁটে যাচ্ছিল, তারা আমার সঙ্গে এসে লোকটাকে ধরল। লোকটাকে আবার ঝাঁকিয়ে জানতে চাইলাম ‘আপনি যাবেন কই’। জানালেন, তাঁর দোকান আছে বসুন্ধরা সিটিতে। তিনজন মিলে লোকটাকে নিয়ে বসুন্ধরার দিকে হাঁটা শুরু করলাম।
হঠাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখি অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্য আমাদের পিছু নিয়েছে। কিছু দুর আসতেই একজন সরে পড়েছে। আর বাকিজন দূর দিয়ে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে এগুচ্ছে। হঠাৎ করেই চিৎকার দিয়ে ওই লোকটাকে বললাম, ‘তোর কিন্তু খবর আছে’। শুনেই দৌড় লাগাল। বুঝতে বাকি থাকল না লোকটি অজ্ঞান পার্টির সদস্য। ‘ধরেন, ধরেন’ চিৎকার করতে করতে দৌড়ালাম। লোকজনও দৌঁড়াল। অবশেষে লোকটি ধরা পড়ল।
অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া ব্যক্তি আর অজ্ঞান পার্টির সদস্য—দুজনকেই নেওয়া হলো পান্থপথ ট্রাফিক পুলিশ বক্সে। ওই ব্যক্তির মোবাইল থেকে তাঁর ভাইয়ের নম্বরে ফোন দেওয়া হলে তিনি এসে অসুস্থ হয়ে পড়া ভাইকে নিয়ে যান। ফোন দিলাম অফিসের এক সহকর্মীকে। তিনি এলেন, পুলিশও এল। অপরাধীকে নেওয়া হলো তেজগাঁও থানায়।
যেখানে ছিলাম সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকলাম। হঠাৎ চোখ পড়ল শেষ সারির তিনজনের বসার আসনে। কোনায় বসা যাত্রী ঘুমে আসন থেকে পড়েই যাচ্ছেন। ঘুম ঘুম চোখেই সে তার দামি মোবাইল ফোনটি অনেক কষ্টে সঙ্গের হাতব্যাগে ঢুকাচ্ছেন। আর আমার পাশে দাঁড়ানো তিন যাত্রী তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তা লক্ষ্য করছেন। তাঁরা আমাকে বারবার সামনে পাঠাতে চাইছেন। এ সময় এক ধাপ সামনের একটি আসন ফাঁকা হলে বসলাম। সঙ্গে সঙ্গে পেছনে দাঁড়ানোদের মধ্যে দুজন আমাকে এমনভাবে আড়াল করে দাঁড়াল যাতে প্রায় ঘুমন্ত যাত্রীকে দেখা না যায়।
সন্দেহ জাগল। পেছনের একজন খুবই অস্পষ্ট স্বরে বলল ‘এখনো সময় আসে নাই।’ শোনামাত্র দাঁড়িয়ে পড়লাম। এমন জায়গায় দাঁড়ালাম যেখান থেকে ঘুমন্ত যাত্রীকে দেখা যায়। তখন খেয়াল করে দেখলাম, ঘুমন্ত যাত্রীর পাশে বসা দুজনের আচরণও সন্দেহজনক। বাস ততক্ষণে বাংলামোটর পার হচ্ছে। আমি একা, ওরা পাঁচজন। কী করব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।
বাস কারওয়ান বাজারের পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে সিগন্যালে আটকা পড়েছে। নেমে যাব? দ্বিধান্বিত মন। তবে দ্রুতগতিতে গিয়ে লোকটাকে ঝাঁকাতে শুরু করলাম। বললাম, ‘কই নামবেন’, ‘কী হইছে’? লোকটা অস্পষ্ট স্বরে বলল, ‘কারওয়ান বাজার নামব, আমাকে হালুয়া খাওয়াইছে’।
লোকটাকে কোনো রকমে দোতলা থেকে নামিয়ে পাশের সড়কের ফুটপাতে দাঁড় করালাম। লোকজন উৎসুক হয়ে জানতে চাচ্ছেন, কী হয়েছে? বললাম ‘ভাই, এঁরে অজ্ঞান পার্টি ধরছিল।’ কলেজপড়ুয়া টাইপ দুজন ছেলে হেঁটে যাচ্ছিল, তারা আমার সঙ্গে এসে লোকটাকে ধরল। লোকটাকে আবার ঝাঁকিয়ে জানতে চাইলাম ‘আপনি যাবেন কই’। জানালেন, তাঁর দোকান আছে বসুন্ধরা সিটিতে। তিনজন মিলে লোকটাকে নিয়ে বসুন্ধরার দিকে হাঁটা শুরু করলাম।
হঠাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখি অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্য আমাদের পিছু নিয়েছে। কিছু দুর আসতেই একজন সরে পড়েছে। আর বাকিজন দূর দিয়ে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে এগুচ্ছে। হঠাৎ করেই চিৎকার দিয়ে ওই লোকটাকে বললাম, ‘তোর কিন্তু খবর আছে’। শুনেই দৌড় লাগাল। বুঝতে বাকি থাকল না লোকটি অজ্ঞান পার্টির সদস্য। ‘ধরেন, ধরেন’ চিৎকার করতে করতে দৌড়ালাম। লোকজনও দৌঁড়াল। অবশেষে লোকটি ধরা পড়ল।
অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া ব্যক্তি আর অজ্ঞান পার্টির সদস্য—দুজনকেই নেওয়া হলো পান্থপথ ট্রাফিক পুলিশ বক্সে। ওই ব্যক্তির মোবাইল থেকে তাঁর ভাইয়ের নম্বরে ফোন দেওয়া হলে তিনি এসে অসুস্থ হয়ে পড়া ভাইকে নিয়ে যান। ফোন দিলাম অফিসের এক সহকর্মীকে। তিনি এলেন, পুলিশও এল। অপরাধীকে নেওয়া হলো তেজগাঁও থানায়।
No comments