সালাহ উদ্দিন যে কারণে শিলংয়ে গিয়েছিলেন by শাত শামীম
প্রচ্ছদ: মাহফুজ রহমান |
আওয়ামী লীগের ব্যাখ্যা
সালাহ উদ্দিন আহমদ ১০ মার্চ রাতে তাঁর বাল্যবন্ধুদের সঙ্গে ঢাকার রাস্তায় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। বেরিয়ে দেখেন, ঢাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তার আগে এক মাস ধরে প্রতি শনিবার রাতে প্রথম দফায় ৭২ ঘণ্টা এবং মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় দফায় আরও ৪৮ ঘণ্টা করে অবরোধের ওপর হরতালের বিবৃতি পাঠ করে আসছিলেন তিনি। তাই সালাহ উদ্দিন ভেবে দেখলেন, ওসব হরতাল–অবরোধের ডাক দিয়ে কী লাভ হলো! পরিস্থিতি তো স্বাভাবিক! তাই তিনি হতাশ হয়ে পড়লেন। বন্ধুদের বিদায় জানিয়ে চুপিচুপি রওনা হলেন সিলেটের উদ্দেশে, ঢাকার বাইরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে।
সিলেট যেতে যেতে সালাহ উদ্দিন আহমদ দীর্ঘ যানজটে পড়লেন। যানজটের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হতাশাও বাড়ছিল। সিলেটে গিয়ে তাঁর মনে পড়ল, মোবাইল ফোনে চার্জ নেই, সঙ্গে চার্জারও নেই! ততক্ষণে ভোর হয়ে গেছে। পত্রিকা খুলেই তাঁর আক্কেলগুড়ুম! পত্রিকা লিখেছে—‘সালাহ উদ্দিন আহমদ নিখোঁজ! ঘটনার আগের রাতে একদল সাদাপোশাকধারী পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।’ সালাহ উদ্দিন বুঝে ফেললেন সরকারকে বিপদে ফেলার এই সুযোগ। মোবাইল ফোন ফেলে দিয়ে তিনি ঘুরে বেড়াতে লাগলেন সিলেটের রাতারগুল, জাফলং ও বিছনাকান্দির মতো দর্শনীয় স্থানে। এদিকে নিজেদের ইমেজ রক্ষার্থে সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে বের করতে চিরুনি অভিযানে নেমে পড়ল সরকার।
অমন অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়লে নিজের ও দলের ইজ্জত পুরোপুরি পাংচার হয়ে যাবে ভেবে রাতের অন্ধকারে সালাহ উদ্দিন জাফলং থেকে সাঁতরে ভারতের সীমানায় উঠলেন! সকালে কাপড় শুকানোর পর সুন্দর দেখে একটা ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া করে বেড়াতে গেলেন শিলংয়ে। মাস দুয়েক সফরের পর তাঁর সব টাকা ফুরিয়ে গেল। অমন পরিস্থিতিতে তিনি কী করবেন, কোথায় টাকা পাবেন, কীভাবে আবার দেশে ফিরবেন—এসব চিন্তা করতে করতে হারিয়ে ফেললেন মানসিক ভারসাম্য! ভর্তি হলেন হাসপাতালে। কদিন বাদেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাপ দিতে লাগল তাদের পাওনা টাকার জন্য। উপায় না পেয়ে হাসপাতালের লোকজন যোগাযোগ করল বাংলাদেশে অবস্থানরত তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে!
এ ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি হয়ে গেল ফাটা বেলুনের মতো! আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বিশাল চাপে। দেশব্যাপী তন্ন তন্ন করে খুঁজে হাজারটা পদ্ম পাওয়া গেলেও এক সালাহ উদ্দিন ছিলেন লাপাত্তা! আর সেই লাপাত্তা মানুষটাই নাকি শিলংয়ে! এদিকে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীর ধারণাই ছিল না হাসপাতালের বিল এত টাকা উঠবে। কিন্তু কী আর করা, অবশেষে ঠিক করলেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই ওই হাসপাতালে টাকা পাঠাবেন তিনি। পরক্ষণেই মনে পড়ল, ভারতে তো এভাবে টাকা পাঠানো যায় না! তাহলে কীভাবে টাকা পাঠানো যায়? পরামর্শের জন্য তিনি ছুটলেন খালেদা জিয়ার কাছে। নেত্রী কোনো সমাধান দিতে না পারায় সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী গণমাধ্যমের কাছে সব খুলে বললেন! এটাই হলো আসল ঘটনা!
বিএনপির ব্যাখ্যা
আমরা যখন প্রায় সফল একটা আন্দোলনের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখন নিশ্চিত পরাজয় থেকে সরকার নিজেদের রক্ষা করতে রাতের আঁধারে গ্রেপ্তার করে আমাদের যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদকে। বন্দী অবস্থায় সরকার তাঁর ওপর ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক নিযার্তন চালিয়েছে। তাঁকে রাখা হয়েছিল গোপন জায়গায়, চোখ বাঁধা অবস্থায়। এই সরকার জুলুম–নির্যাতন চালিয়ে আমাদের প্রায় সফল আন্দোলন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। আর ঠিক এই সময়টাতেই তারা সালাহ উদ্দিন আহমদকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে মেঘালয়ের শিলংয়ে ফেলে আসে! দুমাস টানা নির্যাতনের কারণে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। এসবই সরকারের উচ্চমহলের সূক্ষ্ম চক্রান্ত! আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা এই বাকশালী সরকারের পতন চাই!
সালাহ উদ্দিন আহমদ ১০ মার্চ রাতে তাঁর বাল্যবন্ধুদের সঙ্গে ঢাকার রাস্তায় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। বেরিয়ে দেখেন, ঢাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তার আগে এক মাস ধরে প্রতি শনিবার রাতে প্রথম দফায় ৭২ ঘণ্টা এবং মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় দফায় আরও ৪৮ ঘণ্টা করে অবরোধের ওপর হরতালের বিবৃতি পাঠ করে আসছিলেন তিনি। তাই সালাহ উদ্দিন ভেবে দেখলেন, ওসব হরতাল–অবরোধের ডাক দিয়ে কী লাভ হলো! পরিস্থিতি তো স্বাভাবিক! তাই তিনি হতাশ হয়ে পড়লেন। বন্ধুদের বিদায় জানিয়ে চুপিচুপি রওনা হলেন সিলেটের উদ্দেশে, ঢাকার বাইরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে।
সিলেট যেতে যেতে সালাহ উদ্দিন আহমদ দীর্ঘ যানজটে পড়লেন। যানজটের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হতাশাও বাড়ছিল। সিলেটে গিয়ে তাঁর মনে পড়ল, মোবাইল ফোনে চার্জ নেই, সঙ্গে চার্জারও নেই! ততক্ষণে ভোর হয়ে গেছে। পত্রিকা খুলেই তাঁর আক্কেলগুড়ুম! পত্রিকা লিখেছে—‘সালাহ উদ্দিন আহমদ নিখোঁজ! ঘটনার আগের রাতে একদল সাদাপোশাকধারী পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।’ সালাহ উদ্দিন বুঝে ফেললেন সরকারকে বিপদে ফেলার এই সুযোগ। মোবাইল ফোন ফেলে দিয়ে তিনি ঘুরে বেড়াতে লাগলেন সিলেটের রাতারগুল, জাফলং ও বিছনাকান্দির মতো দর্শনীয় স্থানে। এদিকে নিজেদের ইমেজ রক্ষার্থে সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে বের করতে চিরুনি অভিযানে নেমে পড়ল সরকার।
অমন অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়লে নিজের ও দলের ইজ্জত পুরোপুরি পাংচার হয়ে যাবে ভেবে রাতের অন্ধকারে সালাহ উদ্দিন জাফলং থেকে সাঁতরে ভারতের সীমানায় উঠলেন! সকালে কাপড় শুকানোর পর সুন্দর দেখে একটা ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া করে বেড়াতে গেলেন শিলংয়ে। মাস দুয়েক সফরের পর তাঁর সব টাকা ফুরিয়ে গেল। অমন পরিস্থিতিতে তিনি কী করবেন, কোথায় টাকা পাবেন, কীভাবে আবার দেশে ফিরবেন—এসব চিন্তা করতে করতে হারিয়ে ফেললেন মানসিক ভারসাম্য! ভর্তি হলেন হাসপাতালে। কদিন বাদেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাপ দিতে লাগল তাদের পাওনা টাকার জন্য। উপায় না পেয়ে হাসপাতালের লোকজন যোগাযোগ করল বাংলাদেশে অবস্থানরত তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে!
এ ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি হয়ে গেল ফাটা বেলুনের মতো! আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বিশাল চাপে। দেশব্যাপী তন্ন তন্ন করে খুঁজে হাজারটা পদ্ম পাওয়া গেলেও এক সালাহ উদ্দিন ছিলেন লাপাত্তা! আর সেই লাপাত্তা মানুষটাই নাকি শিলংয়ে! এদিকে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীর ধারণাই ছিল না হাসপাতালের বিল এত টাকা উঠবে। কিন্তু কী আর করা, অবশেষে ঠিক করলেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেই ওই হাসপাতালে টাকা পাঠাবেন তিনি। পরক্ষণেই মনে পড়ল, ভারতে তো এভাবে টাকা পাঠানো যায় না! তাহলে কীভাবে টাকা পাঠানো যায়? পরামর্শের জন্য তিনি ছুটলেন খালেদা জিয়ার কাছে। নেত্রী কোনো সমাধান দিতে না পারায় সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী গণমাধ্যমের কাছে সব খুলে বললেন! এটাই হলো আসল ঘটনা!
বিএনপির ব্যাখ্যা
আমরা যখন প্রায় সফল একটা আন্দোলনের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখন নিশ্চিত পরাজয় থেকে সরকার নিজেদের রক্ষা করতে রাতের আঁধারে গ্রেপ্তার করে আমাদের যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদকে। বন্দী অবস্থায় সরকার তাঁর ওপর ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক নিযার্তন চালিয়েছে। তাঁকে রাখা হয়েছিল গোপন জায়গায়, চোখ বাঁধা অবস্থায়। এই সরকার জুলুম–নির্যাতন চালিয়ে আমাদের প্রায় সফল আন্দোলন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। আর ঠিক এই সময়টাতেই তারা সালাহ উদ্দিন আহমদকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে মেঘালয়ের শিলংয়ে ফেলে আসে! দুমাস টানা নির্যাতনের কারণে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। এসবই সরকারের উচ্চমহলের সূক্ষ্ম চক্রান্ত! আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা এই বাকশালী সরকারের পতন চাই!
No comments