মুক্তিপণ না দিলে তাঁর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করা হতো! by পুষ্পেন চৌধুরী
ভাগ্য
বদলের আশায় মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার
ছিদ্দিক আহমদ। তাঁর অভিযোগ, বেশি বেতনে চাকরির কথা বলে তাঁকে বিক্রি করে
দেওয়া হয় থাইল্যান্ড সীমান্তে। মুক্তিপণ না দিলে কিডনিসহ তাঁর
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে তাঁকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়
পাচারকারীরা। পরে এক লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তিনি ফিরে আসেন।
ছিদ্দিক দেশে ফিরে ১২ মে চট্টগ্রাম জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে এসব অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁরা হলেন মো. ইলিয়াছ, মো. তারেক ও শাহমীম আক্তার। আদালত শুনানি শেষে লোহাগাড়া থানাকে অভিযোগটি তদন্ত করে মামলা তালিকাভুক্ত করতে নির্দেশ দেন।
ছিদ্দিকের বাড়ি লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের চাকফিরানী গ্রামে। তাঁর ভাষ্য, ধার দেনা করে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচে ১৬ এপ্রিল মালয়েশিয়া যান তিনি। সেখানে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেতন মেলেনি। তাই দেশে ফিরতে চান। ছিদ্দিকের অভিযোগ, দালাল তারেক তখন তাঁকে আরও বেশি বেতনে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁকে থাইল্যান্ড সীমান্তে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এরপর তাঁর ওপর চলতে থাকে অমানবিক নির্যাতন। দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তাদের হাতে-পায়ে ধরে মুক্তিপণের টাকার পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হন।
ছিদ্দিক আহমদের ভাষ্য, টাকা না দিলে তাঁর কিডনিসহ শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। তখন তিনি তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা লোহাগাড়ার ব্যাংক এশিয়া শাখায় শাহমীম আক্তারের হিসাব নম্বরে (হিসাব নম্বর-০৪৬৩৪০০৫৮৫০) জমা দিতে বলেন। তাঁর স্ত্রী মিনা আক্তার মানুষের কাছে ধার দেনা করে এবং স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ওই টাকা জোগাড় করেন। টাকাটা ওই হিসাব নম্বরে জমা দেন। এর পর ২৫ এপ্রিল দেশে ফেরেন।
মো. ইলিয়াছের ভাষ্যমতে, তাঁর ছেলে মো. তারেক মালয়েশিয়ায় থাকেন। ছিদ্দিককে মালয়েশিয়া যেতে সহায়তা করেন তারেক। ওখানে কী ঘটেছে, তা তিনি জানেন না।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহানের ভাষ্য, আদালতের কপি পুলিশ হাতে পেয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছিদ্দিক দেশে ফিরে ১২ মে চট্টগ্রাম জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতে এসব অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁরা হলেন মো. ইলিয়াছ, মো. তারেক ও শাহমীম আক্তার। আদালত শুনানি শেষে লোহাগাড়া থানাকে অভিযোগটি তদন্ত করে মামলা তালিকাভুক্ত করতে নির্দেশ দেন।
ছিদ্দিকের বাড়ি লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের চাকফিরানী গ্রামে। তাঁর ভাষ্য, ধার দেনা করে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচে ১৬ এপ্রিল মালয়েশিয়া যান তিনি। সেখানে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেতন মেলেনি। তাই দেশে ফিরতে চান। ছিদ্দিকের অভিযোগ, দালাল তারেক তখন তাঁকে আরও বেশি বেতনে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁকে থাইল্যান্ড সীমান্তে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এরপর তাঁর ওপর চলতে থাকে অমানবিক নির্যাতন। দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তাদের হাতে-পায়ে ধরে মুক্তিপণের টাকার পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হন।
ছিদ্দিক আহমদের ভাষ্য, টাকা না দিলে তাঁর কিডনিসহ শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। তখন তিনি তাঁর স্ত্রীকে ফোন করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা লোহাগাড়ার ব্যাংক এশিয়া শাখায় শাহমীম আক্তারের হিসাব নম্বরে (হিসাব নম্বর-০৪৬৩৪০০৫৮৫০) জমা দিতে বলেন। তাঁর স্ত্রী মিনা আক্তার মানুষের কাছে ধার দেনা করে এবং স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ওই টাকা জোগাড় করেন। টাকাটা ওই হিসাব নম্বরে জমা দেন। এর পর ২৫ এপ্রিল দেশে ফেরেন।
মো. ইলিয়াছের ভাষ্যমতে, তাঁর ছেলে মো. তারেক মালয়েশিয়ায় থাকেন। ছিদ্দিককে মালয়েশিয়া যেতে সহায়তা করেন তারেক। ওখানে কী ঘটেছে, তা তিনি জানেন না।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহানের ভাষ্য, আদালতের কপি পুলিশ হাতে পেয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments