বিচ্ছেদের ভয় থেকে খুন, অতঃপর
দীর্ঘদিনের
প্রেম। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিয়ে হয়েছিল তাদের। সংসার চলছিল
সুন্দরভাবেই। কিন্তু অর্থনৈতিক টানটান অবস্থা মেনে নিতে পারছিলেন না ধনাঢ্য
পরিবারের মেয়ে ইফাত আরা। বিষিয়ে ওঠে সংসার জীবন। ভাঙনের সুর যখন প্রকট ঠিক
তখনই ঘটে হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনাটি। প্রতিবেশী ও পুলিশের ধারণা, স্বামী
আব্দুর রাসেলকে ডিভোর্স দিতে পারেন ইফাত এই সংবাদ জানার পরই পরিকল্পিতভাবে
স্ত্রীকে হত্যা করেন রাসেল। পরে নিজে আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে
মঙ্গলবার আবদুর রাসেল ও ইফাত আরার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সরজমিন রাজধানীর হাজারীবাগের ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে হৃদয়বিদারক দৃশ্য। গজমহল আবাসিক এলাকার ৩৮ ও ৩৯ নম্বর বাড়ির সামনে শত শত মানুষের ভিড়। বাড়ির মালিক সিরাজুল ইসলাম বাবুল নিহত ইফাত আরার পিতা। ইফাতকে শেষ বারের মতো দেখার জন্য প্রতিবেশী, স্বজনরা ভিড় করেছেন সেখানে। পাঁচ তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন ইফাতের মা শাহিদা বেগম। ‘আমার ইফাতকে এনে দাও, আমার মাকে এনে দাও...’ বলে চিৎকার করছিলেন তিনি। আশেপাশের লোকজনের মুখে প্রায় একই কথা ভালোবেসেই তো বিয়ে করেছিলো দুজন। তারপরও এমন পরিণতি হলো কেন?
জানা গেছে, ইফাতের বড় বোন সিফাতের স্বামী রুমেলের বন্ধু হিসেবেই ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাসেলের। কিন্তু শুরুতে এই সম্পর্ক ইফাতের পরিবারের কেউ মেনে নেননি। প্রায় দেড় বছর আগে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন রাসেল ও ইফাত। বিয়ের পর থেকেই ইফাতের পিতার বাড়ি সংলগ্ন গজমহল শিকারীটোলার ৪৭ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন তারা। নিচ তলায় আগে থেকেই ভাড়া থাকতেন রাসেলের বাবা-মা ও ভাইয়ের পরিবার। রাসেল ট্যানারিতে কাজ করতেন। স্বামীর অল্প আয়ে স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপন করতে পারতেন না ইফাত। এরমধ্যেই পিতা সিরাজুল ইসলাম বাবুলের কাছ থেকে রাসেলকে তিন লাখ টাকা এনে দেন তিনি। তিন লাখ টাকা থেকে বাসার জন্য ফার্নিচার ক্রয় করে এবং বাকি টাকা দিয়ে ট্যানারি সংক্রান্ত স্পিরিটের ব্যবসা করতেন রাসেল। এতেও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়নি তাদের সংসার। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। ইফাতের বড় বোন সিফাত আরা জানান, প্রায় তিন মাস আগে ব্যবসার জন্য ইফাতকে তার পিতার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা এনে দিতে বলে রাসেল। ইফাত এতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হলে তিন মাস আগে রাসেলের বাসা ছেড়ে পিতার বাড়িতে চলে যান ইফাত। এমনকি রাসেলকে ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত তিন মাস ধরেই পিতার বাড়িতে ছিলেন ইফাত। ইফাতের বড় বোন সিফাতকে তিনি অনেকবার জানিয়েছেন রাসেলের সঙ্গে সংসার করবেন না। কেন সংসার করবেন না জানতে চাইলে সিফাতকে এ বিষয়ে কিছু বলতেন না তিনি।
রাসেলের ভাড়া বাসার প্রতিবেশীরা জানান, কি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো তা তারা জানেন না। কোনদিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে বলেও তারা শুনেননি। রাসেল ও ইফাতের মধ্যে বিচ্ছেদ হচ্ছে বলে শুনেছেন তারা। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, ধনী বাবার মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করেছেন নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রাসেলকে। বিয়ের পর এই পরিবেশ, টানাপড়েন মেনে নিতে পারেননি ইফাত। এ জন্যই তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় বলে প্রতিবেশীদের ধারণা। এ বিষয়ে রাসেলের বড় ভাই খোকন বলেন, অভাব ছিলো না। তবে বিলাসী জীবনযাপন করার মতো আর্থিক অবস্থা ছিলো না রাসেলের। যে কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এছাড়া, তাদের মধ্যে কোন সমস্যা ছিলো না বলে জানান তিনি। তিন লাখ টাকা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইফাতের পিতা তার বড় মেয়ের বিয়েতে তিন লাখ টাকার ফার্নিচার দিয়েছিলেন। সেই হিসাবে ইফাত ফার্নিচারের জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেছিল। টাকা পেয়ে তা দিয়ে ফার্নিচার ক্রয় এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে বলে জানান তিনি।
সূত্রমতে, দূরত্ব সৃষ্টির পর ইফাত ওই তিন লাখ টাকা ফেরত চান স্বামী রাসেলের কাছে। এমনকি কোনদিন স্ত্রী হিসেবে তার কাছে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন রাসেলকে। এ বিষয়ে ঘনিষ্ঠদের রাসেল জানিয়েছিলেন, ইফাতকে ছাড়া তিনি থাকতে পারবেন না। তাকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। বারবার ইফাতকে ফিরে আসার অনুরোধ করেও ব্যর্থ হন রাসেল। এর মধ্যেই মা-বোনদের সঙ্গে নিয়ে রাসেলের বাসা থেকে কাপড়সহ নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যান ইফাত। সিফাত জানান, ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যার পর ইফাতের মোবাইলফোনে কল দিয়ে তাকে তিন লাখ টাকা ফেরত নিতে বাসায় যেতে বলেন রাসেল। তখন রাত প্রায় ৮টা। আত্মীয় হান্নান নামের যুবক ও মা শাহিদা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে যান ইফাত। কিছুক্ষণ পরে ওই বাসায় যান সিফাত। ইফাত তখন তৃতীয় তলার বাসায় রাসেলের সঙ্গে কথা বলছিলেন। নিচ তলায় রাসেলের মায়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন ইফাতের মা শাহিদা বেগম ও বোন সিফাত। এর মধ্যেই হান্নান তৃতীয় তলায় ওঠে রাসেলের কক্ষ বন্ধ দেখতে পান। রাসেলের এক কক্ষের বাসায় তখন টেলিভিশন চলছিলো অতিরিক্ত ভলিয়মে। নিচে গিয়ে সিফাতকে তা জানানোর পর তিনি উপরে উঠে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া পাননি। পরে জানালা খুলে দেখতে পান ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছে রাসেল। পরে দরজা ভেঙে বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় ইফাতের লাশ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকালে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরেই প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। পরে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তাদের মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
নিহত রাসেলের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রতনপুরে। তার পিতার নাম আব্দুল বারেক। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। অন্যদিকে হাজারীবাগের গজমহল এলাকার সিরাজুল ইসলাম বাবুলের এক পুত্র ও তিন কন্যার মধ্যে ইফাত আরা ছিলেন তৃতীয়।
সরজমিন রাজধানীর হাজারীবাগের ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে হৃদয়বিদারক দৃশ্য। গজমহল আবাসিক এলাকার ৩৮ ও ৩৯ নম্বর বাড়ির সামনে শত শত মানুষের ভিড়। বাড়ির মালিক সিরাজুল ইসলাম বাবুল নিহত ইফাত আরার পিতা। ইফাতকে শেষ বারের মতো দেখার জন্য প্রতিবেশী, স্বজনরা ভিড় করেছেন সেখানে। পাঁচ তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন ইফাতের মা শাহিদা বেগম। ‘আমার ইফাতকে এনে দাও, আমার মাকে এনে দাও...’ বলে চিৎকার করছিলেন তিনি। আশেপাশের লোকজনের মুখে প্রায় একই কথা ভালোবেসেই তো বিয়ে করেছিলো দুজন। তারপরও এমন পরিণতি হলো কেন?
জানা গেছে, ইফাতের বড় বোন সিফাতের স্বামী রুমেলের বন্ধু হিসেবেই ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাসেলের। কিন্তু শুরুতে এই সম্পর্ক ইফাতের পরিবারের কেউ মেনে নেননি। প্রায় দেড় বছর আগে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন রাসেল ও ইফাত। বিয়ের পর থেকেই ইফাতের পিতার বাড়ি সংলগ্ন গজমহল শিকারীটোলার ৪৭ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন তারা। নিচ তলায় আগে থেকেই ভাড়া থাকতেন রাসেলের বাবা-মা ও ভাইয়ের পরিবার। রাসেল ট্যানারিতে কাজ করতেন। স্বামীর অল্প আয়ে স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপন করতে পারতেন না ইফাত। এরমধ্যেই পিতা সিরাজুল ইসলাম বাবুলের কাছ থেকে রাসেলকে তিন লাখ টাকা এনে দেন তিনি। তিন লাখ টাকা থেকে বাসার জন্য ফার্নিচার ক্রয় করে এবং বাকি টাকা দিয়ে ট্যানারি সংক্রান্ত স্পিরিটের ব্যবসা করতেন রাসেল। এতেও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়নি তাদের সংসার। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। ইফাতের বড় বোন সিফাত আরা জানান, প্রায় তিন মাস আগে ব্যবসার জন্য ইফাতকে তার পিতার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা এনে দিতে বলে রাসেল। ইফাত এতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হলে তিন মাস আগে রাসেলের বাসা ছেড়ে পিতার বাড়িতে চলে যান ইফাত। এমনকি রাসেলকে ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত তিন মাস ধরেই পিতার বাড়িতে ছিলেন ইফাত। ইফাতের বড় বোন সিফাতকে তিনি অনেকবার জানিয়েছেন রাসেলের সঙ্গে সংসার করবেন না। কেন সংসার করবেন না জানতে চাইলে সিফাতকে এ বিষয়ে কিছু বলতেন না তিনি।
রাসেলের ভাড়া বাসার প্রতিবেশীরা জানান, কি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো তা তারা জানেন না। কোনদিন তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে বলেও তারা শুনেননি। রাসেল ও ইফাতের মধ্যে বিচ্ছেদ হচ্ছে বলে শুনেছেন তারা। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, ধনী বাবার মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করেছেন নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রাসেলকে। বিয়ের পর এই পরিবেশ, টানাপড়েন মেনে নিতে পারেননি ইফাত। এ জন্যই তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় বলে প্রতিবেশীদের ধারণা। এ বিষয়ে রাসেলের বড় ভাই খোকন বলেন, অভাব ছিলো না। তবে বিলাসী জীবনযাপন করার মতো আর্থিক অবস্থা ছিলো না রাসেলের। যে কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এছাড়া, তাদের মধ্যে কোন সমস্যা ছিলো না বলে জানান তিনি। তিন লাখ টাকা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইফাতের পিতা তার বড় মেয়ের বিয়েতে তিন লাখ টাকার ফার্নিচার দিয়েছিলেন। সেই হিসাবে ইফাত ফার্নিচারের জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেছিল। টাকা পেয়ে তা দিয়ে ফার্নিচার ক্রয় এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে বলে জানান তিনি।
সূত্রমতে, দূরত্ব সৃষ্টির পর ইফাত ওই তিন লাখ টাকা ফেরত চান স্বামী রাসেলের কাছে। এমনকি কোনদিন স্ত্রী হিসেবে তার কাছে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন রাসেলকে। এ বিষয়ে ঘনিষ্ঠদের রাসেল জানিয়েছিলেন, ইফাতকে ছাড়া তিনি থাকতে পারবেন না। তাকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। বারবার ইফাতকে ফিরে আসার অনুরোধ করেও ব্যর্থ হন রাসেল। এর মধ্যেই মা-বোনদের সঙ্গে নিয়ে রাসেলের বাসা থেকে কাপড়সহ নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যান ইফাত। সিফাত জানান, ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যার পর ইফাতের মোবাইলফোনে কল দিয়ে তাকে তিন লাখ টাকা ফেরত নিতে বাসায় যেতে বলেন রাসেল। তখন রাত প্রায় ৮টা। আত্মীয় হান্নান নামের যুবক ও মা শাহিদা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে যান ইফাত। কিছুক্ষণ পরে ওই বাসায় যান সিফাত। ইফাত তখন তৃতীয় তলার বাসায় রাসেলের সঙ্গে কথা বলছিলেন। নিচ তলায় রাসেলের মায়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন ইফাতের মা শাহিদা বেগম ও বোন সিফাত। এর মধ্যেই হান্নান তৃতীয় তলায় ওঠে রাসেলের কক্ষ বন্ধ দেখতে পান। রাসেলের এক কক্ষের বাসায় তখন টেলিভিশন চলছিলো অতিরিক্ত ভলিয়মে। নিচে গিয়ে সিফাতকে তা জানানোর পর তিনি উপরে উঠে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া পাননি। পরে জানালা খুলে দেখতে পান ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছে রাসেল। পরে দরজা ভেঙে বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় ইফাতের লাশ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকালে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরেই প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। পরে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তাদের মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
নিহত রাসেলের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রতনপুরে। তার পিতার নাম আব্দুল বারেক। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। অন্যদিকে হাজারীবাগের গজমহল এলাকার সিরাজুল ইসলাম বাবুলের এক পুত্র ও তিন কন্যার মধ্যে ইফাত আরা ছিলেন তৃতীয়।
No comments