সিলেটে তাবলিগের আমীরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার, আদালতে স্ত্রী ফাতেহার স্বীকারোক্তি
সিলেটে
খুন হয়েছেন তাবলিগ জামায়াতের স্থানীয় এক আমীর। সোমবার নগরীর চারাদিঘীর পাড়
এলাকার ১নং বাসা থেকে তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে
পুলিশ। নিহত ইব্রাহিম আবু খলিল ওই বাসার সাদ উদ্দিন আল হাবীবের ছেলে। নিহত
খলিলের গলায় এবং পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রোববার রাতের কোনো এক সময় এ
হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে
গ্রেফতার ও তার ছেলে সাদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে কোতোয়ালি
পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। পরে সিআইডির ক্রাইমসিন টিমের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে
এসে আলামত সংগ্রহ করে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) রহমত
উল্লাহ জানান, নিহত খলিলের গলায় এবং পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার হাত-পা
বাঁধা ছিল। দাম্পত্য কলহের জের ধরে নিহতের প্রথম স্ত্রী ফাতেমা বেগম তাকে
হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে নিহত ইব্রাহিম আবু খলিল দুটি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী ফাতেমা বেগমের তিন ছেলে নিয়ে নগরীর চারাদিঘীর পাড় এলাকায় বসবাস করেন। ছোট স্ত্রী এক ছেলে নিয়ে নগরীর খাদিমপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
ইব্রাহীম খলিলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাবলিগ জামায়াতের শত শত কর্মী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে স্থানীয় ধোপাদিঘীরপাড় জামে মসজিদে তার মাগফিরাত কামনা করে তাৎক্ষণিক এক খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল হয়। নিহত ইব্রাহিম ধোপাদিঘীরপার এলাকার তাবলিগ জামায়াতের আমীর ছিলেন।
নিহতের ছেলে সাজিদ উদ্দিন জানান, রোববার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন ইব্রাহিম খলিল। সোমবার সকালে তার কক্ষের দরজা খোলা পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের খাটের নিচে হাত বাঁধা ও গলাকাটা অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার মুখের ওপর একটি বালিশ চাপা দেয়া ছিল। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সাজিদ মিয়া আরও জানান, নিহত ইব্রাহিম তাবলিগ করতেন। দুই দিন আগে তিনি তাবলিগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরেন। ঘাতকরা ঘরে থাকা ল্যাপটপ ও স্বর্ণ নিয়ে গেছে বলে জানান সাজিদ।
ব্যক্তিগত জীবনে নিহত ইব্রাহিম আবু খলিল দুটি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী ফাতেমা বেগমের তিন ছেলে নিয়ে নগরীর চারাদিঘীর পাড় এলাকায় বসবাস করেন। ছোট স্ত্রী এক ছেলে নিয়ে নগরীর খাদিমপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
ইব্রাহীম খলিলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাবলিগ জামায়াতের শত শত কর্মী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে স্থানীয় ধোপাদিঘীরপাড় জামে মসজিদে তার মাগফিরাত কামনা করে তাৎক্ষণিক এক খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল হয়। নিহত ইব্রাহিম ধোপাদিঘীরপার এলাকার তাবলিগ জামায়াতের আমীর ছিলেন।
নিহতের ছেলে সাজিদ উদ্দিন জানান, রোববার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন ইব্রাহিম খলিল। সোমবার সকালে তার কক্ষের দরজা খোলা পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের খাটের নিচে হাত বাঁধা ও গলাকাটা অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার মুখের ওপর একটি বালিশ চাপা দেয়া ছিল। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সাজিদ মিয়া আরও জানান, নিহত ইব্রাহিম তাবলিগ করতেন। দুই দিন আগে তিনি তাবলিগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরেন। ঘাতকরা ঘরে থাকা ল্যাপটপ ও স্বর্ণ নিয়ে গেছে বলে জানান সাজিদ।
আদালতে স্ত্রী ফাতেহার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী
পাটের
রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে বুকের উপর বসে স্বামী ইবরাহিম খলিলের গলায় ছুরি
দিয়ে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করি। এর আগে ঘুমন্ত স্বামীর মাথায় রেলওয়ের
পাত দিয়ে আঘাত করি। এভাবেই হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন নিহত ইবরাহিম
খলিলের স্ত্রী ফাতেহা মাশরুকা।
মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদুল করিমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন নিহতের স্ত্রী ফাতেহা। দুপুর থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘন্টা তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
সোমবার সিলেট নগরীর চারাদিঘিরপাড়ে তাবলীগ জামায়াতের আমীর ধনাঢ্য ইবরাহিম খলিল খুন হন। পরে পুলিশ তার নিজ বাসা থেকে ইবরাহিমের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে। তিনি সওদারগরটুলার ১নং বাসার মৃত সাদ উদ্দিন আল হাবীবের পুত্র। তার গ্রামের বাড়ী মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগরে। নিহত ইবরাহিম নগরীর ধোপাদিঘীরপার এলাকার তাবলীগ জামায়াতের আমীর ছিলেন।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে ফাতেহা মাশরুকা বলেন, আমার স্বামী একাধিক বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে এক স্ত্রী দিনাজপুরে ও আরেক স্ত্রী গ্রামের বাড়ী সুজানগরে থাকেন। মূলত এসব নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এছাড়া তাবলীগ জামায়াতে বেশী সময় কাটানো, একাধিক বিয়েসহ নানা কারণে আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। এ অবস্থায় আমি সম্পত্তির ভাগ ভাটোয়ারা করে সন্তানদের ভবিষ্যত ঝামেলা থেকে মুক্ত করার জন্যে বার বার বললেও এতে ইবরাহিম কর্ণপাত করেননি।
নির্যাতনের কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি আদালতে বলেন, তার আরো তিন সতিন রয়েছেন। পরবর্তী বিয়ে করার সময় তার কাছ থেকে জোরপূর্বক অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নিতেন। না দিলে শুরু হতো নির্যাতন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি হার্টের রোগী হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে আমাকে দেখার জন্য আত্মীয় স্বজনকে আসতে দেয়া হতো না।
আদালতে তিনি আরো বলেন, রোববার বাসায় ফেরার পর স্বামীকে গ্রামের বাড়ির ঘরদোর ঠিক করার তাগিদ দেন তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ কারণে রাগ করে রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে আলাদা কক্ষে ঘুমাতে চান তার স্বামী। রাত প্রায় ৩ টার দিকে রেলওয়ের পাত হাতে নিয়ে আমি স্বামীর কক্ষে যাই। তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন স্বামীর মাথায় আঘাত করি। এতে তিনি প্রাণরক্ষায় ধস্তাধস্তির করলে পেটে ছোরা দিয়ে ৩টি ঘাই মারি।
মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদুল করিমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন নিহতের স্ত্রী ফাতেহা। দুপুর থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘন্টা তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
সোমবার সিলেট নগরীর চারাদিঘিরপাড়ে তাবলীগ জামায়াতের আমীর ধনাঢ্য ইবরাহিম খলিল খুন হন। পরে পুলিশ তার নিজ বাসা থেকে ইবরাহিমের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে। তিনি সওদারগরটুলার ১নং বাসার মৃত সাদ উদ্দিন আল হাবীবের পুত্র। তার গ্রামের বাড়ী মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগরে। নিহত ইবরাহিম নগরীর ধোপাদিঘীরপার এলাকার তাবলীগ জামায়াতের আমীর ছিলেন।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে ফাতেহা মাশরুকা বলেন, আমার স্বামী একাধিক বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে এক স্ত্রী দিনাজপুরে ও আরেক স্ত্রী গ্রামের বাড়ী সুজানগরে থাকেন। মূলত এসব নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এছাড়া তাবলীগ জামায়াতে বেশী সময় কাটানো, একাধিক বিয়েসহ নানা কারণে আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। এ অবস্থায় আমি সম্পত্তির ভাগ ভাটোয়ারা করে সন্তানদের ভবিষ্যত ঝামেলা থেকে মুক্ত করার জন্যে বার বার বললেও এতে ইবরাহিম কর্ণপাত করেননি।
নির্যাতনের কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি আদালতে বলেন, তার আরো তিন সতিন রয়েছেন। পরবর্তী বিয়ে করার সময় তার কাছ থেকে জোরপূর্বক অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নিতেন। না দিলে শুরু হতো নির্যাতন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি হার্টের রোগী হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে আমাকে দেখার জন্য আত্মীয় স্বজনকে আসতে দেয়া হতো না।
আদালতে তিনি আরো বলেন, রোববার বাসায় ফেরার পর স্বামীকে গ্রামের বাড়ির ঘরদোর ঠিক করার তাগিদ দেন তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ কারণে রাগ করে রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে আলাদা কক্ষে ঘুমাতে চান তার স্বামী। রাত প্রায় ৩ টার দিকে রেলওয়ের পাত হাতে নিয়ে আমি স্বামীর কক্ষে যাই। তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন স্বামীর মাথায় আঘাত করি। এতে তিনি প্রাণরক্ষায় ধস্তাধস্তির করলে পেটে ছোরা দিয়ে ৩টি ঘাই মারি।
No comments