ডুবলেও না বাঁচাতে জেলেদের নির্দেশ দিল ইন্দোনেশিয়া!
অথই
সাগরে ডুবে মারা গেলেও ভাসমান আর কোনো বাংলাদেশি বা মিয়ানমারের
রোহিঙ্গা অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে
জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার জেলেরা। তবে জেলেরা বলছেন, ‘তাঁরাও মানুষ, তাঁদের
বাঁচাতে হবে।’
এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া কয়েক শ অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী একটি নৌকাকে উপকূলে ভিড়তে না দিয়ে সাগরে ঠেলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে সাগরে মোতায়েন করেছে যুদ্ধজাহাজ ও টহল বিমান। খবর বিবিসি, এএফপি, গার্ডিয়ান ও দ্য মালয় মেইল অনলাইনের।
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের জেলেরা গতকাল সোমবার জানান, আন্দামান সাগরে নৌকায় ভাসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ডুবে মরতে বসলেও তাঁদের যেন আর উদ্ধার না করা হয়, সেনা কর্মকর্তারা সেই নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত সপ্তাহে আচেহ উপকূলে অন্তত ৭০০ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাকে সাগর থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।
এই প্রদেশের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে এখন দেড় হাজারের মতো অভিবাসী অবস্থান করছেন। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৩০০০ অভিবাসী।
ওই নির্দেশের ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ার এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আর কোনো অভিবাসীকে উপকূলে আসতে দেওয়াটা হবে অবৈধ।’ আচেহর লাঙ্গসা বন্দর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা মার্টিন প্যাশেন্স জানান, সরকারের সাজার ভয়ে এ নির্দেশের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। তবে একজন জেলে বলেছেন, কাউকে ডুবতে দেখলে এ হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাঁরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাবেন। ওই জেলে বলেন, ‘তাঁরাও মানুষ। তাঁদের বাঁচানো আমাদের দায়িত্ব।’
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ফুয়াদ বাসায়া বলেন, জেলেরা বিপদে পড়া নৌকার আরোহীদের খাবার, পানি ও জ্বালানি দিয়ে বা ক্ষতিগ্রস্ত নৌকা মেরামত করে সহায়তা দিতে পারবে। কিন্তু তাঁদের উপকূলে ভিড়িয়ে আনা হবে অবৈধ অনুপ্রবেশ।
আচেহর সুমাত্রা দ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে জেলেরা গত শুক্রবার নৌবাহিনীর সহায়তায় দুটি নৌকা থেকে ৭৪৭ জনকে উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে একটি নৌকায় ছিলেন ৭০০ জন। এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে জেলেদের প্রতি ওই নির্দেশ জারি করা হলো।
ইতিমধ্যে আচেহর লাঙ্গসা শহরের মেয়র বলেছেন, এত অভিবাসীকে ত্রাণসহায়তা দেওয়ার মতো বাজেট তাঁর শহরের নেই। তা ছাড়া তাঁরা জাকার্তার কাছ থেকে কোনো সহায়তাও পাননি।
খবরে বলা হয়, সাগরে ভাসমান ছয়-সাত হাজার অসহায় আশ্রয়প্রত্যাশীর জন্য এই অঞ্চলের সব দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এখন ইন্দোনেশিয়ার এ নির্দেশের ফলে তাঁদের অমানবিক অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, খাবার ও পানির অভাবে নৌকায় ভাসমান মানুষ গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছেন। তাঁদের অবিলম্বে সহায়তার প্রয়োজন। আচেহর কূলে ঠাঁই পাওয়া অভিবাসীদের অনেকে জানিয়েছেন, খাবারের জন্য নৌকায় তাঁদের কাড়াকাড়ি ও ভয়াবহ সংঘর্ষের মধ্যে পড়তে হয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ভাসমান মানুষদের নিজেদের উপকূলে ভিড়তে না দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর এ রকম কঠোর অবস্থানের কথা ভাবাও কঠিন। দেশগুলো বর্তমান সংকটের জন্য রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের নির্যাতন-নিপীড়নকে দায়ী করছে। তবে দেশটির জান্তা সরকার তা মানতে নারাজ।
নৌযান ফেরত: গত রোববার কয়েক শ অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী একটি নৌযানকে তীরে ভিড়তে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী।
ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ফুয়াদ বাসায়া বলেন, মালয়েশিয়ার দিক থেকে মালাক্কা প্রণালি হয়ে ওই নৌযানটি আসছিল। এ সময় সেটিকে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বেতারবার্তা পাঠিয়ে নৌযানটিকে ফেরত পাঠানো হয়। সেটি ধাক্কিয়ে পাঠানো হয়নি।
যুদ্ধজাহাজ ও বিমান মোতায়েন: মুখপাত্র ফুয়াদ বলেন, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকার প্রবেশ বন্ধে আচেহ উপকূলে টহলকাজে নতুন আরও তিন যুদ্ধজাহাজ ও একটি বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। টহল বৃদ্ধির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহেই মোতায়েন করা হয় একটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি বিমান।
ঢুকতে দেবে না মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-বিষয়ক মন্ত্রী শহিদান কাসিম গতকাল বলেন, স্থানীয় অভিবাসন আইনের বিধিনিষেধের কারণে তাঁর দেশ বিদেশিদের অবৈধভাবে প্রবেশ করতে দিতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে তাঁরা যা করতে পারবেন তা হলো আশ্রয়প্রার্থীদের খাবার ও জ্বালানির মতো সামগ্রী দিয়ে পাঠিয়ে দিতে।
থাইল্যান্ডের কড়াকড়ি: ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার কঠোর অবস্থানের মধ্যে থাইল্যান্ডও তার উপকূলে টহলরত নৌযানগুলোকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌযানের ওপর কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, কোনোভাবেই ওই সব নৌযান যাতে থাইল্যান্ড জলসীমায় ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া কয়েক শ অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী একটি নৌকাকে উপকূলে ভিড়তে না দিয়ে সাগরে ঠেলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে সাগরে মোতায়েন করেছে যুদ্ধজাহাজ ও টহল বিমান। খবর বিবিসি, এএফপি, গার্ডিয়ান ও দ্য মালয় মেইল অনলাইনের।
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের জেলেরা গতকাল সোমবার জানান, আন্দামান সাগরে নৌকায় ভাসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ডুবে মরতে বসলেও তাঁদের যেন আর উদ্ধার না করা হয়, সেনা কর্মকর্তারা সেই নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত সপ্তাহে আচেহ উপকূলে অন্তত ৭০০ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাকে সাগর থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।
এই প্রদেশের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে এখন দেড় হাজারের মতো অভিবাসী অবস্থান করছেন। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৩০০০ অভিবাসী।
ওই নির্দেশের ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ার এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘আর কোনো অভিবাসীকে উপকূলে আসতে দেওয়াটা হবে অবৈধ।’ আচেহর লাঙ্গসা বন্দর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা মার্টিন প্যাশেন্স জানান, সরকারের সাজার ভয়ে এ নির্দেশের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। তবে একজন জেলে বলেছেন, কাউকে ডুবতে দেখলে এ হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তাঁরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাবেন। ওই জেলে বলেন, ‘তাঁরাও মানুষ। তাঁদের বাঁচানো আমাদের দায়িত্ব।’
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ফুয়াদ বাসায়া বলেন, জেলেরা বিপদে পড়া নৌকার আরোহীদের খাবার, পানি ও জ্বালানি দিয়ে বা ক্ষতিগ্রস্ত নৌকা মেরামত করে সহায়তা দিতে পারবে। কিন্তু তাঁদের উপকূলে ভিড়িয়ে আনা হবে অবৈধ অনুপ্রবেশ।
আচেহর সুমাত্রা দ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে জেলেরা গত শুক্রবার নৌবাহিনীর সহায়তায় দুটি নৌকা থেকে ৭৪৭ জনকে উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে একটি নৌকায় ছিলেন ৭০০ জন। এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে জেলেদের প্রতি ওই নির্দেশ জারি করা হলো।
ইতিমধ্যে আচেহর লাঙ্গসা শহরের মেয়র বলেছেন, এত অভিবাসীকে ত্রাণসহায়তা দেওয়ার মতো বাজেট তাঁর শহরের নেই। তা ছাড়া তাঁরা জাকার্তার কাছ থেকে কোনো সহায়তাও পাননি।
খবরে বলা হয়, সাগরে ভাসমান ছয়-সাত হাজার অসহায় আশ্রয়প্রত্যাশীর জন্য এই অঞ্চলের সব দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এখন ইন্দোনেশিয়ার এ নির্দেশের ফলে তাঁদের অমানবিক অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, খাবার ও পানির অভাবে নৌকায় ভাসমান মানুষ গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছেন। তাঁদের অবিলম্বে সহায়তার প্রয়োজন। আচেহর কূলে ঠাঁই পাওয়া অভিবাসীদের অনেকে জানিয়েছেন, খাবারের জন্য নৌকায় তাঁদের কাড়াকাড়ি ও ভয়াবহ সংঘর্ষের মধ্যে পড়তে হয়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ভাসমান মানুষদের নিজেদের উপকূলে ভিড়তে না দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর এ রকম কঠোর অবস্থানের কথা ভাবাও কঠিন। দেশগুলো বর্তমান সংকটের জন্য রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের নির্যাতন-নিপীড়নকে দায়ী করছে। তবে দেশটির জান্তা সরকার তা মানতে নারাজ।
নৌযান ফেরত: গত রোববার কয়েক শ অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী একটি নৌযানকে তীরে ভিড়তে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী।
ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ফুয়াদ বাসায়া বলেন, মালয়েশিয়ার দিক থেকে মালাক্কা প্রণালি হয়ে ওই নৌযানটি আসছিল। এ সময় সেটিকে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বেতারবার্তা পাঠিয়ে নৌযানটিকে ফেরত পাঠানো হয়। সেটি ধাক্কিয়ে পাঠানো হয়নি।
যুদ্ধজাহাজ ও বিমান মোতায়েন: মুখপাত্র ফুয়াদ বলেন, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকার প্রবেশ বন্ধে আচেহ উপকূলে টহলকাজে নতুন আরও তিন যুদ্ধজাহাজ ও একটি বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। টহল বৃদ্ধির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহেই মোতায়েন করা হয় একটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি বিমান।
ঢুকতে দেবে না মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-বিষয়ক মন্ত্রী শহিদান কাসিম গতকাল বলেন, স্থানীয় অভিবাসন আইনের বিধিনিষেধের কারণে তাঁর দেশ বিদেশিদের অবৈধভাবে প্রবেশ করতে দিতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে তাঁরা যা করতে পারবেন তা হলো আশ্রয়প্রার্থীদের খাবার ও জ্বালানির মতো সামগ্রী দিয়ে পাঠিয়ে দিতে।
থাইল্যান্ডের কড়াকড়ি: ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার কঠোর অবস্থানের মধ্যে থাইল্যান্ডও তার উপকূলে টহলরত নৌযানগুলোকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌযানের ওপর কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, কোনোভাবেই ওই সব নৌযান যাতে থাইল্যান্ড জলসীমায় ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
No comments