আমার পায়ের কী হবে?
প্রিজন
সেলে আপাতত থাকলেও পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমার সঙ্গে স্বজনদের
দেখা-সাক্ষাতে আর কোন বাধা নেই। আমি এখন মুক্ত। পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
নয়ন বাছার যখন এ কথা বলছিলেন তখন তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, মুক্তির স্বাদ
কেমন? জবাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এই শিক্ষার্থী বলেন,
হাতে হাত কড়া নেই। স্বজন-বন্ধুরা এখন অবাধে আমার কাছে আসতে পারবেন।
সাংবাদিকরা কথা বলতে পারবেন। ছবি তুলতে পারবেন। এতে এক ধরনের স্বস্তি
পাচ্ছি। কিন্তু মনেতো শান্তি নেই। আমার পায়ের কী হবে? গরীব ঘরের সন্তান-এই
চিকিৎসা চালাবো কিভাবে? আমার পড়াশুনার যে ক্ষতি হয়েছে, সেটা পূরণ হবে কবে?
যে মামলা চলছে সেটা থেকে মুক্তি পাবো কবে? আবার কবে আমি পায়ে হেঁটে
ক্যাম্পাসে যাবো। গ্রামের বাড়ী যাবো? এসব চিন্তায় ঘুমাতে পারি না। গত ৪ঠা
ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকা এলাকায় একটি বাসে আগুনের ঘটনার পর পুলিশ নয়নের বাঁ
পায়ের হাঁটুর ওপর গুলি করে। অভিযোগ রয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়ন বাছারকে
‘নয়ন বাশার’ মনে করে পুলিশ শিবির কর্মী সন্দেহে গুলি করে। সেদিন নয়ন
বলেছিলেন, আমি হিন্দু, শিবির নই। কিন্তু তার কথায় কর্ণপাত করেনি পুলিশ।
উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করে পুলিশ। এতদিন পুলিশের কড়া নজরদারি আর
হাত কড়া নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় দুর্বিসহ সময় পার করেছেন নয়ন। রোববার তার
জামিন আবেদন করা হয় আদালতে। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের
বিচারক কামরুল ইসলাম মোল¬্যা জামিনে নয়নের মুক্তির আদেশ দেন।
No comments