৪২ বছর কোমায় থেকে সেই ধর্ষিত নার্সের মৃত্যু
অবশেষে
চিরমুক্তি মিলল ধর্ষণ আর নির্যাতনের বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে থাকা অরুণা
শানবাগের। যে হাসপাতালে চাকরি করতেন মুম্বাইয়ের সেই কেইএম হাসপাতালেই কোমায়
ছিলেন ৪২ বছর ধরে। তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। খবর বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া,
জিনিউজ ও আনন্দবাজারের।
কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল (কেইএম) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এতদিন শানবাগকে নাকের ভেতর দিয়ে খাওয়ানোর মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে ৬ দিন আগে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন আর এতে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
কয়েক বছর আগে সুপ্রিমকোর্টে শানবাগের হয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু বা ইউথেনেশিয়ার আবেদন জানান সাংবাদিক পিঙ্কি বিরানি। কেইএম হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট স্টাফ ও নার্সরা এ আবেদনের বিরোধিতা করেন। ২০১১ সালের মার্চে শীর্ষ আদালত এ পিটিশন খারিজ করে দেন। আদালতের যুক্তি ছিল, হাসপাতালের কর্মীরা শানবাগকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছেন, তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
গত বছর, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে এক সপ্তাহ থাকার পর আবার শানবাগকে মিউনিশিপাল কর্পোরেশনের কেইএম হাসপাতালের জেনারেল বেডে ফিরিয়ে আনা হয়।
শানবাগের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে পিঙ্কি মন্তব্য করেছেন, ১৯৭৩ সালেই আসলে মারা গিয়েছিলেন শানবাগ। আজ হয়তো তার আইনি মৃত্যু হল। তার মৃত্যু হয়তো এ দেশকে ইউথেনেশিয়া নিয়ে আরও একবার ভাবাবে।
১৯৭৩ সালের কথা। কর্নাটকের হলদিপুরের বাসিন্দা অরুণা শানবাগের বয়স ২৫। জুনিয়র নার্স হিসেবে কাজ করতেন কেইএম হাসপাতালে।
ওই বছরের ২৭ নভেম্বর রাতে হাসপাতালের খাবার চুরির অভিযোগে তিনি বকাবকি করেন ওয়ার্ডবয় ও ক্লিনার সোহনলাল ভর্ত বাল্মীকিকে। এরপর তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় সোহনলাল। একদিন ডিউটি শেষ করে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শানবাগ। বেসমেন্টে পোশাক বদলানোর সময় তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় সোহনলাল। পরে তাকে কুকুরের শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা চেষ্টা চালায়। নির্যাতনের মাত্রা এতই কঠিন ছিল যে শানবাগের মস্তিষ্কের ক্ষতি হয় এবং তিনি অন্ধ হয়ে যান। ছিলেন প্যারালাইজডও। ১১ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। একই হাসপাতালের নার্স শানবাগ হয়ে যান স্থায়ী রোগী। এরপর হাসপাতালেই কোমায় ছিলেন ৪২ বছর।
ডাকাতি ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে সোহনলালকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তার সাত বছরের সাজা হয়। শানবাগের ওপর পাশবিক অত্যাচারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। একই কারণে প্রতিবাদমুখর হন মুম্বাইয়ের নার্সরাও। ১৯৯৮ সালে অরুণা শানবাগকে নিয়ে ‘অরুণাস স্টোরি’ নামে একটি নন ফিকশন বই লেখেন।
কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল (কেইএম) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এতদিন শানবাগকে নাকের ভেতর দিয়ে খাওয়ানোর মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে ৬ দিন আগে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন আর এতে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
কয়েক বছর আগে সুপ্রিমকোর্টে শানবাগের হয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু বা ইউথেনেশিয়ার আবেদন জানান সাংবাদিক পিঙ্কি বিরানি। কেইএম হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট স্টাফ ও নার্সরা এ আবেদনের বিরোধিতা করেন। ২০১১ সালের মার্চে শীর্ষ আদালত এ পিটিশন খারিজ করে দেন। আদালতের যুক্তি ছিল, হাসপাতালের কর্মীরা শানবাগকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছেন, তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
গত বছর, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে এক সপ্তাহ থাকার পর আবার শানবাগকে মিউনিশিপাল কর্পোরেশনের কেইএম হাসপাতালের জেনারেল বেডে ফিরিয়ে আনা হয়।
শানবাগের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে পিঙ্কি মন্তব্য করেছেন, ১৯৭৩ সালেই আসলে মারা গিয়েছিলেন শানবাগ। আজ হয়তো তার আইনি মৃত্যু হল। তার মৃত্যু হয়তো এ দেশকে ইউথেনেশিয়া নিয়ে আরও একবার ভাবাবে।
১৯৭৩ সালের কথা। কর্নাটকের হলদিপুরের বাসিন্দা অরুণা শানবাগের বয়স ২৫। জুনিয়র নার্স হিসেবে কাজ করতেন কেইএম হাসপাতালে।
ওই বছরের ২৭ নভেম্বর রাতে হাসপাতালের খাবার চুরির অভিযোগে তিনি বকাবকি করেন ওয়ার্ডবয় ও ক্লিনার সোহনলাল ভর্ত বাল্মীকিকে। এরপর তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় সোহনলাল। একদিন ডিউটি শেষ করে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শানবাগ। বেসমেন্টে পোশাক বদলানোর সময় তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় সোহনলাল। পরে তাকে কুকুরের শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা চেষ্টা চালায়। নির্যাতনের মাত্রা এতই কঠিন ছিল যে শানবাগের মস্তিষ্কের ক্ষতি হয় এবং তিনি অন্ধ হয়ে যান। ছিলেন প্যারালাইজডও। ১১ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। একই হাসপাতালের নার্স শানবাগ হয়ে যান স্থায়ী রোগী। এরপর হাসপাতালেই কোমায় ছিলেন ৪২ বছর।
ডাকাতি ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে সোহনলালকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তার সাত বছরের সাজা হয়। শানবাগের ওপর পাশবিক অত্যাচারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। একই কারণে প্রতিবাদমুখর হন মুম্বাইয়ের নার্সরাও। ১৯৯৮ সালে অরুণা শানবাগকে নিয়ে ‘অরুণাস স্টোরি’ নামে একটি নন ফিকশন বই লেখেন।
No comments