পদ্মা সেতুর সুফল মিলবে, তবে... by খাজা মাঈন উদ্দিন
মূল সেতুর পরীক্ষামূলক পাইলিংয়ের কাজ চলছে। মাওয়া চৌরাস্তার এই দিক দিয়েই হবে পদ্মা সেতু। গত শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন জাহিদুল করিম |
পদ্মা
সেতু নতুন কী সুযোগের সৃষ্টি করবে। অর্থনৈতিক অবস্থারই বা কী উন্নতি
হবে—সে সম্পর্কে পদ্মাপারের অনেকেই নিশ্চিত নন। সেতুর ব্যবহার শুরু হলেই
হয়তো এর প্রভাব দৃষ্টিগোচর হবে।
পদ্মা সেতুর প্রভাব নিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডুবা এলাকার কৃষক বান্দু শেখের (৮০)। বক্তব্য, ‘এ সেতুটি থেকে মানুষ অনেক কিছু আশা করছে। কিন্তু আমি জানি না, আমার গ্রাম সেতুটির মাধ্যমে কীভাবে লাভবান হবে।’ অনেকের আশা, জমির দাবি বাড়বে। আবার আবাসন কোম্পানি জমি নিয়ে যেতে পারে, সে শঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গাজন মাতুব্বরের সরল উক্তি, এই ব্রিজ এই পাড়ের মানুষের জন্য তেমন কাজে লাগবে না। কিন্তু দক্ষিণের ২১ জেলার মানুষ এ সেতুর মাধ্যমে আসা-যাওয়া করবে। এ জন্য কিছু ক্ষতি হলেও সমস্যা নেই।
পদ্মা সেতুর প্রভাব নিয়ে সরকারের করা সম্ভাব্যতা জরিপের তথ্য, শুধু যোগাযোগেই নয়, জাতীয় ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে সেতুটি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে করা এ মহাপ্রকল্পের যৌক্তিকতা নিয়ে ওই গবেষণায় দাবি করা হয়, সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ওই অঞ্চলের মানুষের আয় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। আর ৭ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান হবে।
পদ্মা সেতু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও জাতীয় অর্থনীতি কীভাবে লাভবান হবে, এ প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়ন ও স্থানীয় লোকজনের উন্নতির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ না নেওয়ার আগ পর্যন্ত সেতুটি অর্থনৈতিক উন্নতিতে তেমন ভূমিকা রাখবে না। যমুনা সেতুর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আগে থেকেই বগুড়া শিল্পাঞ্চল ছিল। উত্তরবঙ্গ কৃষিসমৃদ্ধ ছিল। এ কারণে সেতু হওয়ার পরপরই কিছু সুফল পাওয়া গিয়েছিল। এরপরও অবকাঠামোর অভাবে সেখানে শিল্পায়ন স্থবির হয়েছে। আর পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে চিত্রটি ঠিক উল্টো। দক্ষিণাঞ্চল শিল্প বা কৃষি—কোনোটিতেই সমৃদ্ধ নয়।
সেতু পারাপারে উচ্চ হারে টোল আদায় করা হলে স্থানীয় লোকজন তেমন সুফল পাবেন না বলেও মনে করেন জিল্লুর। তাঁর মতে, পদ্মা সেতু থেকে আরও সুফল পেতে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে আরও উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এর চেয়ে বরং উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুভিত্তিক মহাপ্রকল্প হলে মানুষ অনেকভাবে উপকৃত হতো। তবে আন্তসীমান্ত বাণিজ্যে ও জমির দাম বৃদ্ধিতে এ সেতুটি তাৎক্ষণিক ভূমিকা রাখবে।
হোসেন জিল্লুরের কথার সমর্থন মিলল মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাখরেরকান্দি পদ্মা সেতু পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা আবদুল আজিজ হাওলাদারের কথায়। তিনি বলেন, সেতুর জন্য সরকার জমি অধিগ্রহণ শুরু করার পরই জমির দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।
নাওডুবি এলাকায় পদ্মা সেতুর কাজের তত্ত্বাবধান করছেন মাসুদুল করিম। তিনি বলেন, এলাকায় শাকসবজি ও মাছ বিক্রি বেড়েছে। বিশাল এ নির্মাণকাজের জন্য এখানে নানা ধরনের কাজের সুযোগ হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো আরও আয়ের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
পদ্মা সেতুর প্রভাব নিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডুবা এলাকার কৃষক বান্দু শেখের (৮০)। বক্তব্য, ‘এ সেতুটি থেকে মানুষ অনেক কিছু আশা করছে। কিন্তু আমি জানি না, আমার গ্রাম সেতুটির মাধ্যমে কীভাবে লাভবান হবে।’ অনেকের আশা, জমির দাবি বাড়বে। আবার আবাসন কোম্পানি জমি নিয়ে যেতে পারে, সে শঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গাজন মাতুব্বরের সরল উক্তি, এই ব্রিজ এই পাড়ের মানুষের জন্য তেমন কাজে লাগবে না। কিন্তু দক্ষিণের ২১ জেলার মানুষ এ সেতুর মাধ্যমে আসা-যাওয়া করবে। এ জন্য কিছু ক্ষতি হলেও সমস্যা নেই।
পদ্মা সেতুর প্রভাব নিয়ে সরকারের করা সম্ভাব্যতা জরিপের তথ্য, শুধু যোগাযোগেই নয়, জাতীয় ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে সেতুটি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে করা এ মহাপ্রকল্পের যৌক্তিকতা নিয়ে ওই গবেষণায় দাবি করা হয়, সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ওই অঞ্চলের মানুষের আয় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। আর ৭ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান হবে।
পদ্মা সেতু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও জাতীয় অর্থনীতি কীভাবে লাভবান হবে, এ প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়ন ও স্থানীয় লোকজনের উন্নতির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ না নেওয়ার আগ পর্যন্ত সেতুটি অর্থনৈতিক উন্নতিতে তেমন ভূমিকা রাখবে না। যমুনা সেতুর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আগে থেকেই বগুড়া শিল্পাঞ্চল ছিল। উত্তরবঙ্গ কৃষিসমৃদ্ধ ছিল। এ কারণে সেতু হওয়ার পরপরই কিছু সুফল পাওয়া গিয়েছিল। এরপরও অবকাঠামোর অভাবে সেখানে শিল্পায়ন স্থবির হয়েছে। আর পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে চিত্রটি ঠিক উল্টো। দক্ষিণাঞ্চল শিল্প বা কৃষি—কোনোটিতেই সমৃদ্ধ নয়।
সেতু পারাপারে উচ্চ হারে টোল আদায় করা হলে স্থানীয় লোকজন তেমন সুফল পাবেন না বলেও মনে করেন জিল্লুর। তাঁর মতে, পদ্মা সেতু থেকে আরও সুফল পেতে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে আরও উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এর চেয়ে বরং উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুভিত্তিক মহাপ্রকল্প হলে মানুষ অনেকভাবে উপকৃত হতো। তবে আন্তসীমান্ত বাণিজ্যে ও জমির দাম বৃদ্ধিতে এ সেতুটি তাৎক্ষণিক ভূমিকা রাখবে।
হোসেন জিল্লুরের কথার সমর্থন মিলল মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাখরেরকান্দি পদ্মা সেতু পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা আবদুল আজিজ হাওলাদারের কথায়। তিনি বলেন, সেতুর জন্য সরকার জমি অধিগ্রহণ শুরু করার পরই জমির দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।
নাওডুবি এলাকায় পদ্মা সেতুর কাজের তত্ত্বাবধান করছেন মাসুদুল করিম। তিনি বলেন, এলাকায় শাকসবজি ও মাছ বিক্রি বেড়েছে। বিশাল এ নির্মাণকাজের জন্য এখানে নানা ধরনের কাজের সুযোগ হয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো আরও আয়ের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
No comments