পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র
আসন্ন
ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওই ৩ সিটি নির্বাচনের ফল
বিশ্লেষণও করবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে নিয়মিত
প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মেরি হার্ফ। বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও
গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে নতুন বছরের শুরু থেকে আন্দোলন
করছে ৫ই জানুয়ারির এক তরফা নির্বাচন বর্জনকারী ২০ দলীয় জোট। তারা রাজপথে
টানা ৯২ দিনের আন্দোলন-কর্মসূচি পালন করেছে। ওয়াশিটনের প্রেস ব্রিফিংয়ে সেই
প্রসঙ্গ ওঠে। তখনকার রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র
বরাবরের মতো উদ্বেগ প্রকাশ করে। তবে সেই অচলাবস্থার পর সিটি নির্বাচনের
আয়োজন এবং সেখানে রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে
ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ২৮শে এপ্রিলের নির্বাচনকে ঘিরে
এখানকার রাজনীতিতে যে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের
এখনও কয়েক (দুই) সপ্তাহ বাকি আছে। তাই আমি খুশি যে, ‘আমার দলকে নিয়ে সেখানে
পর্যবেক্ষণ করতে পারবো এবং কিছু বিশ্লেষণও করতে পারবো।’
এখানে প্রশ্নোত্তর আকারে মেরি হার্ফের ব্রিফিং তুলে ধরা হলো
প্রশ্ন: আপনাকে ধন্যবাদ। আমার নাম শরাফত হুসেইন। আমি উইকলি বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি।
উত্তর: খুবই ভাল। এখানে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনাকে কিছু জানাতে পারবো বলে আশা করি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ ইস্যুতে?
প্রশ্ন: প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ নিয়ে আমার একটি প্রশ্ন আছে।
উত্তর: আমাদের সামনে আরও অনেক কিছু পড়ে আছে। কিন্তু আপনি বাংলাদেশ নিয়ে আরও প্রশ্ন করবেন!
উত্তর: সপ্তাহান্তে আপনি একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে...
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: তাতে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর না করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আমি জানি না যে, এটা তার এক ঘণ্টার মধ্যে নাকি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে...
উত্তর: আমার মনে হয় কয়েক ঘণ্টা।
প্রশ্ন: সরকার রায় কার্যকর করেছে এবং তাকে ফাঁসি দিয়েছে। এক. এ বিষয়ে আপনি কি ভাবছেন? দুই. বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের বিষয়টি এতে কতটা ফুটে উঠেছে?
উত্তর: ওই বিবৃতির বাইরে আমার কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে আমরা যে নীতি পোষণ করি তা বলা হয়েছে। আমরা অবশ্যই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে নৃশংসতা হয়েছিল তার সুবিচারের প্রতি সমর্থন পোষণ করি। আমরা বুঝতে পারি, এমন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে আপনি দেখেছেন, আমরা বলেছি বিচার হওয়া উচিত সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানদ- অনুসারে, যেসব মানদ-ের প্রতি বাংলাশে নিজেও একটি অংশ। আমরা এসব বিষয়ে অগ্রগতি দেখতে পেয়েছি। আমি মনে করি, এটা একটা ভাল কাজ। কিন্তু আমরা এখনও বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কর্মকা-ের মান আরও উন্নত করতে হবে, যাতে এ রকম বিচার প্রক্রিয়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে। আমরা বাংলাদেশ নিয়ে এটাই বলতে চাই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলবো। যা ঘটেছে তার বাইরে আমার কাছে আর কোন ব্যাখ্যা নেই।
প্রশ্ন: কিন্তু আপনারা তাদেরকে যা করতে বলেছেন তারা তা করে নি বলে আমার মনে হয়। এর কি কোন পরিণতি আছে অথবা আরও কোন কঠোর প্রতিবাদ আছে?
উত্তর: আমরা অব্যাহত রাখবো। আমরা মনে করি এটা একটি জটিল ইস্যু। এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাব।
প্রশ্ন: মৃত্যুদন্ড যেহেতু পরিবর্তনযোগ্য নয় তাই কিভাবে তা রহিত করা যেতে পারে তা নিয়ে আপনার বিবৃতি আছে।
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: হয়তো হতে পারে তারা এটা পড়েনি অথবা এটা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় নি, অথবা বাংলাদেশ সরকার কি করলে প্রশাসন সন্তুষ্ট হবে সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলা হয় নি। তাই তারা ফাঁসি কার্যকর করেছে।
উত্তর: আমার তা মনে হয় না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমরা পরিষ্কার করেছি। যেসব দেশে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে এবং কিভাবে তা কার্যকর করা উচিত রাষ্ট্রদূত র্যাপ সরাসরি প্রকাশ্যে তা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু দেখুন, বাংলাদেশ তার নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খোলাসা করেছি। এর চেয়ে বেশি আমার কাছে নেই।
প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় যে, কামারুজ্জামানের সুষ্ঠু বিচার হয়েছে?
উত্তর: আমরা যেমনটি বলেছিÑ আমি হয়তো বিশেষ করে এই বিচার নিয়ে কথা বলবো না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, বিচারও হওয়া উচিত সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে। বাংলাদেশ কিছু অগ্রগতি করেছে। তবে তাদেরকে এখনও অনেক কিছু করতে হবে। আমরা এটা নিয়েই তাদের সঙ্গে কথা বলছি।
একই দিন ব্রিফিং করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। এখানে তা প্রশ্নোত্তর আকারে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: আমার দুটি প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের ঢাকায় মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ কি মনে করছে বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে দ-াদেশ (অস্পষ্ট)? জাতিসংঘ কর্মকর্তারা কি এ ফাঁসি ঠেকাতে চেষ্টা করেছিল?
উত্তর: আমি মনে করি, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, নীতগতভাবে মহাসচিব ও জাতিসংঘ মৃত্যুদ-ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে কথা বলেছি।
প্রশ্ন: মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী এক সদস্য নিহত ও ১২ সদস্য আহত হওয়ার খবর রয়েছে। এরা বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী। আপনারা কি এমন কোন খবর পেয়েছেন?
উ: না। আমি পাইনি।
এখানে প্রশ্নোত্তর আকারে মেরি হার্ফের ব্রিফিং তুলে ধরা হলো
প্রশ্ন: আপনাকে ধন্যবাদ। আমার নাম শরাফত হুসেইন। আমি উইকলি বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি।
উত্তর: খুবই ভাল। এখানে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনাকে কিছু জানাতে পারবো বলে আশা করি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ ইস্যুতে?
প্রশ্ন: প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ নিয়ে আমার একটি প্রশ্ন আছে।
উত্তর: আমাদের সামনে আরও অনেক কিছু পড়ে আছে। কিন্তু আপনি বাংলাদেশ নিয়ে আরও প্রশ্ন করবেন!
উত্তর: সপ্তাহান্তে আপনি একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে...
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: তাতে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর না করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আমি জানি না যে, এটা তার এক ঘণ্টার মধ্যে নাকি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে...
উত্তর: আমার মনে হয় কয়েক ঘণ্টা।
প্রশ্ন: সরকার রায় কার্যকর করেছে এবং তাকে ফাঁসি দিয়েছে। এক. এ বিষয়ে আপনি কি ভাবছেন? দুই. বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের বিষয়টি এতে কতটা ফুটে উঠেছে?
উত্তর: ওই বিবৃতির বাইরে আমার কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে আমরা যে নীতি পোষণ করি তা বলা হয়েছে। আমরা অবশ্যই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে নৃশংসতা হয়েছিল তার সুবিচারের প্রতি সমর্থন পোষণ করি। আমরা বুঝতে পারি, এমন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে আপনি দেখেছেন, আমরা বলেছি বিচার হওয়া উচিত সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানদ- অনুসারে, যেসব মানদ-ের প্রতি বাংলাশে নিজেও একটি অংশ। আমরা এসব বিষয়ে অগ্রগতি দেখতে পেয়েছি। আমি মনে করি, এটা একটা ভাল কাজ। কিন্তু আমরা এখনও বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কর্মকা-ের মান আরও উন্নত করতে হবে, যাতে এ রকম বিচার প্রক্রিয়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে। আমরা বাংলাদেশ নিয়ে এটাই বলতে চাই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলবো। যা ঘটেছে তার বাইরে আমার কাছে আর কোন ব্যাখ্যা নেই।
প্রশ্ন: কিন্তু আপনারা তাদেরকে যা করতে বলেছেন তারা তা করে নি বলে আমার মনে হয়। এর কি কোন পরিণতি আছে অথবা আরও কোন কঠোর প্রতিবাদ আছে?
উত্তর: আমরা অব্যাহত রাখবো। আমরা মনে করি এটা একটি জটিল ইস্যু। এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাব।
প্রশ্ন: মৃত্যুদন্ড যেহেতু পরিবর্তনযোগ্য নয় তাই কিভাবে তা রহিত করা যেতে পারে তা নিয়ে আপনার বিবৃতি আছে।
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: হয়তো হতে পারে তারা এটা পড়েনি অথবা এটা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় নি, অথবা বাংলাদেশ সরকার কি করলে প্রশাসন সন্তুষ্ট হবে সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলা হয় নি। তাই তারা ফাঁসি কার্যকর করেছে।
উত্তর: আমার তা মনে হয় না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমরা পরিষ্কার করেছি। যেসব দেশে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে এবং কিভাবে তা কার্যকর করা উচিত রাষ্ট্রদূত র্যাপ সরাসরি প্রকাশ্যে তা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু দেখুন, বাংলাদেশ তার নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খোলাসা করেছি। এর চেয়ে বেশি আমার কাছে নেই।
প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় যে, কামারুজ্জামানের সুষ্ঠু বিচার হয়েছে?
উত্তর: আমরা যেমনটি বলেছিÑ আমি হয়তো বিশেষ করে এই বিচার নিয়ে কথা বলবো না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, বিচারও হওয়া উচিত সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে। বাংলাদেশ কিছু অগ্রগতি করেছে। তবে তাদেরকে এখনও অনেক কিছু করতে হবে। আমরা এটা নিয়েই তাদের সঙ্গে কথা বলছি।
একই দিন ব্রিফিং করেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। এখানে তা প্রশ্নোত্তর আকারে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: আমার দুটি প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের ঢাকায় মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘ কি মনে করছে বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে দ-াদেশ (অস্পষ্ট)? জাতিসংঘ কর্মকর্তারা কি এ ফাঁসি ঠেকাতে চেষ্টা করেছিল?
উত্তর: আমি মনে করি, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, নীতগতভাবে মহাসচিব ও জাতিসংঘ মৃত্যুদ-ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে কথা বলেছি।
প্রশ্ন: মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী এক সদস্য নিহত ও ১২ সদস্য আহত হওয়ার খবর রয়েছে। এরা বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী। আপনারা কি এমন কোন খবর পেয়েছেন?
উ: না। আমি পাইনি।
No comments