হাজী দানেশে নিহতেরা ‘বহিষ্কৃত’, পরিস্থিতি শান্ত
দিনাজপুরের
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত দুই শিক্ষার্থীকে আগেই বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পরামর্শ বিভাগের
পরিচালক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গতকাল রাতে আধিপত্য বিস্তারকে
কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের
ছাত্র মো. জাকারিয়া ও ভেটেরিনারি অনুষদের মাস্টার্স শ্রেণির ছাত্র মিল্টন
নিহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে এই সংঘর্ষ হয়েছে। এক পক্ষে ছিলেন ইফতেখারুল ইসলাম ও অরুণ কান্তি রায়ের সমর্থকেরা। ইফতেখারুল ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অরুণ কান্তি। চার মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইফতেখারুল বিতাড়িত ও অরুণ কান্তি বহিষ্কৃত হন। অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী আসাদুজ্জামান জেমী ও নাহিদ আহমেদ নয়ন।
পরামর্শ বিভাগের পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন খানের ভাষ্য, গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর মিলনায়তনে ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের সঙ্গে মিলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত একদল সাবেক ছাত্র হামলা চালান। এতে তিনজন শিক্ষক ও ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। অনুষ্ঠান পণ্ড করে হামলাকারীরা শেখ রাসেল হল দখল নেন। এরপর সাধারণ ছাত্রদের ওপরে হামলা চালিয়ে জখম করেন। পরে ক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্ররা জোট বেঁধে রাতে শেখ রাসেল হলে প্রবেশ করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের বাধে। এতে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শাহাদাৎ হোসেন খানের তথ্যমতে, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে চার মাস আগে নিহত ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রুহুল আমিন বলেন, সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত হওয়া দুঃখজনক। উপাচার্যের অভিযোগ, একদল বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করেছিল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে অনেক আগেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এরপরও ক্যাম্পাসে রক্তপাত, শিক্ষার্থী নিহত বা শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা সমর্থন করা যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ টি এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামীকাল শনিবার কমিটিকে উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শফিকুল ইসলামের তথ্য, বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা চলছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী বলেন, হাজী দানেশের ঘটনা সহজভাবে দেখার বিষয় নয়। ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে এই সংঘর্ষ হয়েছে। এক পক্ষে ছিলেন ইফতেখারুল ইসলাম ও অরুণ কান্তি রায়ের সমর্থকেরা। ইফতেখারুল ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অরুণ কান্তি। চার মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইফতেখারুল বিতাড়িত ও অরুণ কান্তি বহিষ্কৃত হন। অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী আসাদুজ্জামান জেমী ও নাহিদ আহমেদ নয়ন।
পরামর্শ বিভাগের পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন খানের ভাষ্য, গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর মিলনায়তনে ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের সঙ্গে মিলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত একদল সাবেক ছাত্র হামলা চালান। এতে তিনজন শিক্ষক ও ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। অনুষ্ঠান পণ্ড করে হামলাকারীরা শেখ রাসেল হল দখল নেন। এরপর সাধারণ ছাত্রদের ওপরে হামলা চালিয়ে জখম করেন। পরে ক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্ররা জোট বেঁধে রাতে শেখ রাসেল হলে প্রবেশ করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের বাধে। এতে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শাহাদাৎ হোসেন খানের তথ্যমতে, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে চার মাস আগে নিহত ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রুহুল আমিন বলেন, সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত হওয়া দুঃখজনক। উপাচার্যের অভিযোগ, একদল বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করেছিল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে অনেক আগেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এরপরও ক্যাম্পাসে রক্তপাত, শিক্ষার্থী নিহত বা শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা সমর্থন করা যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ টি এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামীকাল শনিবার কমিটিকে উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শফিকুল ইসলামের তথ্য, বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা চলছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী বলেন, হাজী দানেশের ঘটনা সহজভাবে দেখার বিষয় নয়। ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
No comments