বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি, তোলপাড়- সিসিটিভির ফুটেজ গোয়েন্দাদের হাতে
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারীদের শ্লীলতাহানির
ঘটনায় তোলপাড় চলছে সর্বত্র। ন্যক্কারজনক এই ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও
কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে
শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা সিসি
ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ দেখে বখাটেদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে ঢাকা মহানগর
গোয়েন্দা পুলিশ। যে কোনভাবে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়া
হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ
কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে পুলিশের অবহেলার
বিষয়, কাউকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ও তদন্তে সহযোগিতার
জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলামকে প্রধান করে
একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও টিএসসিতে পুলিশের বিপুল উপস্থিতি ছিলো। ঘটনাস্থল রাজু ভাস্কর্য ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন এলাকা। সেখানে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করছিল পুলিশ। ঘটনাস্থলের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী পুলিশ কমিশনার শামসুল আরেফিন। ঘটনাস্থল থেকে ২৫ গজ দূরে দায়িত্ব পালন করছিলেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইদুল হক ভূঁইয়া, মিলন চত্বরে ছিলেন আরও এক দল পুলিশ। এ ছাড়াও সহকারী পুলিশ কমিশনার মেহেদি হাসানও ছিলেন টিএসসি এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে শুরু থেকেই দুইজন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেলেও কোন কর্মকর্তার দেখা মেলেনি। তবে ঘটনাস্থলের পাশে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথের কাছে এবং মিলন চত্বরে পুলিশ কর্মকর্তারা অবস্থান করলেও তাদের ভূমিকা ছিলো নিষ্ক্রিয়। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তুহিন কান্তি দাশ জানান, নির্যাতিতা নারীদের উদ্ধার করার জন্য বারবার ওই দুই পুলিশ সদস্যকে অনুরোধ করা হলেও শুরুতে তারা কোন ভূমিকা পালন করেননি। তবে ঘটনার একপর্যায়ে ওই দুই পুলিশ সদস্য লাঠিচার্জ করে বখাটেদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে থেমে থাকেনি বখাটেরা। এ অবস্থায় নির্যাতিতা নারীদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দী, অমিত দে ও তুহিন। পরে তাদের অন্যান্য সহকর্মীরাও নির্যাতিতাদের উদ্ধারে সহযোগিতা করেন। এ সময় ‘পুলিশকে ডাকেন’ বলে বারবার চিৎকার করছিলেন লিটন নন্দী। তখন মিলন চত্বরে থাকা কয়েক পুলিশ সদস্যকে সাহায্য করার অনুরোধ করেছিলেন তুহিন। তুহিন জানান, ওই পুলিশ সদস্যরা তাকে জানিয়েছিলেন, এটি তাদের দায়িত্ব না। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা শুধু এখানেই থেমে থাকেনি। লিটন নন্দী, অমিত ও তুহিন জানান, তারা পাঁচ বখাটেকে ধরে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফের কাছে সোপর্দ করেছিলেন। কিন্তু কিছু সময় পরে এ বিষয়ে আশরাফকে জিজ্ঞাসা করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে এসআই আশরাফের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তার বক্তব্যের জন্য শাহবাগ থানায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে পুলিশের উপস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষের সামনে এ ঘটনায় সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। নিন্দার ঝড় বইছে সারা দেশে। প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকে।
গতকাল ডিএমপি সদর দপ্তরে এক বৈঠকে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ঘটনাস্থলের বিভিন্ন দৃশ্য নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় যে কোনও মূল্যে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী ও টিএসসি এলাকা ১৯টি সিসি ক্যামেরা ধারা নিয়ন্ত্রিত ছিলো। উদ্যানের ভেতরে পুলিশ কন্ট্রোলরুমে ছিলো মনিটর। ঘটনার সময় বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এসব ক্যামেরায় ধারণকৃত দৃশ্যে যৌন হয়রানির কয়েকটি দৃশ্য দেখা গেছে। একটি দৃশ্যে দেখা গেছে, একজন তরুণীকে চার পাশে ঘিরে যৌন হয়রানি করছিলো এক দল বখাটে। এরমধ্যে এক যুবক ওই তরুণীকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। এ ছাড়াও পেছন থেকে কয়েক যুবককে তরুণীর শরীরে হাত দিয়ে নির্যাতন করতে দেখা গেছে। ধারণকৃত ফুটেজে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি লিটন নন্দীকে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজে বস্ত্র হরণের কোন দৃশ্য নেই বলে জানান রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইব্রাহিম খান। গতকাল দুপুরে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার আবদুল বাতেন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইব্রাহিম খান, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। লিটন নন্দীসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। লিটন নন্দী অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাস্থলে দুই পুলিশ সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি স্থানে আরও পুলিশ থাকলেও তারা কেউ এগিয়ে যাননি। এমনকি বখাটেদের ধরে দেয়ার পর তাদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তাদের তিনি জানান, প্রথমে তিনি যে তরুণীকে উদ্ধার করেন তার বস্ত্র হরণ করেছিল বখাটেরা। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিজের পাঞ্জাবি খুলে পড়তে দেন তিনি। বর্বর বখাটেদের অসভ্য আচরণের বর্ণনা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা। এ সময় পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত দৃশ্য দেখে বখাটেদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে। কারও কাছে এ ঘটনার কোন আলোকচিত্র, ভিডিও এবং তথ্য থাকলেও তা দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি। যৌন হয়রানির এ ঘটনার পর বুধবার রাতে শাহবাগ থানায় অপারেশন অফিসার এ কে আজাদ বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেছেন। এ কে আজাদ জানান, নির্যাতিতাদের খোঁজ না পেয়েই পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করা হয়েছে। এদিকে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করবে ছাত্র ইউনিয়ন।
সূত্র জানায়, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও টিএসসিতে পুলিশের বিপুল উপস্থিতি ছিলো। ঘটনাস্থল রাজু ভাস্কর্য ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন এলাকা। সেখানে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করছিল পুলিশ। ঘটনাস্থলের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী পুলিশ কমিশনার শামসুল আরেফিন। ঘটনাস্থল থেকে ২৫ গজ দূরে দায়িত্ব পালন করছিলেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইদুল হক ভূঁইয়া, মিলন চত্বরে ছিলেন আরও এক দল পুলিশ। এ ছাড়াও সহকারী পুলিশ কমিশনার মেহেদি হাসানও ছিলেন টিএসসি এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে শুরু থেকেই দুইজন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেলেও কোন কর্মকর্তার দেখা মেলেনি। তবে ঘটনাস্থলের পাশে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথের কাছে এবং মিলন চত্বরে পুলিশ কর্মকর্তারা অবস্থান করলেও তাদের ভূমিকা ছিলো নিষ্ক্রিয়। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তুহিন কান্তি দাশ জানান, নির্যাতিতা নারীদের উদ্ধার করার জন্য বারবার ওই দুই পুলিশ সদস্যকে অনুরোধ করা হলেও শুরুতে তারা কোন ভূমিকা পালন করেননি। তবে ঘটনার একপর্যায়ে ওই দুই পুলিশ সদস্য লাঠিচার্জ করে বখাটেদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে থেমে থাকেনি বখাটেরা। এ অবস্থায় নির্যাতিতা নারীদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দী, অমিত দে ও তুহিন। পরে তাদের অন্যান্য সহকর্মীরাও নির্যাতিতাদের উদ্ধারে সহযোগিতা করেন। এ সময় ‘পুলিশকে ডাকেন’ বলে বারবার চিৎকার করছিলেন লিটন নন্দী। তখন মিলন চত্বরে থাকা কয়েক পুলিশ সদস্যকে সাহায্য করার অনুরোধ করেছিলেন তুহিন। তুহিন জানান, ওই পুলিশ সদস্যরা তাকে জানিয়েছিলেন, এটি তাদের দায়িত্ব না। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা শুধু এখানেই থেমে থাকেনি। লিটন নন্দী, অমিত ও তুহিন জানান, তারা পাঁচ বখাটেকে ধরে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফের কাছে সোপর্দ করেছিলেন। কিন্তু কিছু সময় পরে এ বিষয়ে আশরাফকে জিজ্ঞাসা করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে এসআই আশরাফের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তার বক্তব্যের জন্য শাহবাগ থানায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে পুলিশের উপস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষের সামনে এ ঘটনায় সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। নিন্দার ঝড় বইছে সারা দেশে। প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকে।
গতকাল ডিএমপি সদর দপ্তরে এক বৈঠকে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ঘটনাস্থলের বিভিন্ন দৃশ্য নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় যে কোনও মূল্যে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী ও টিএসসি এলাকা ১৯টি সিসি ক্যামেরা ধারা নিয়ন্ত্রিত ছিলো। উদ্যানের ভেতরে পুলিশ কন্ট্রোলরুমে ছিলো মনিটর। ঘটনার সময় বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এসব ক্যামেরায় ধারণকৃত দৃশ্যে যৌন হয়রানির কয়েকটি দৃশ্য দেখা গেছে। একটি দৃশ্যে দেখা গেছে, একজন তরুণীকে চার পাশে ঘিরে যৌন হয়রানি করছিলো এক দল বখাটে। এরমধ্যে এক যুবক ওই তরুণীকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। এ ছাড়াও পেছন থেকে কয়েক যুবককে তরুণীর শরীরে হাত দিয়ে নির্যাতন করতে দেখা গেছে। ধারণকৃত ফুটেজে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি লিটন নন্দীকে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজে বস্ত্র হরণের কোন দৃশ্য নেই বলে জানান রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইব্রাহিম খান। গতকাল দুপুরে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার আবদুল বাতেন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইব্রাহিম খান, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। লিটন নন্দীসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। লিটন নন্দী অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাস্থলে দুই পুলিশ সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি স্থানে আরও পুলিশ থাকলেও তারা কেউ এগিয়ে যাননি। এমনকি বখাটেদের ধরে দেয়ার পর তাদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তাদের তিনি জানান, প্রথমে তিনি যে তরুণীকে উদ্ধার করেন তার বস্ত্র হরণ করেছিল বখাটেরা। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিজের পাঞ্জাবি খুলে পড়তে দেন তিনি। বর্বর বখাটেদের অসভ্য আচরণের বর্ণনা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা। এ সময় পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত দৃশ্য দেখে বখাটেদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে। কারও কাছে এ ঘটনার কোন আলোকচিত্র, ভিডিও এবং তথ্য থাকলেও তা দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি। যৌন হয়রানির এ ঘটনার পর বুধবার রাতে শাহবাগ থানায় অপারেশন অফিসার এ কে আজাদ বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেছেন। এ কে আজাদ জানান, নির্যাতিতাদের খোঁজ না পেয়েই পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করা হয়েছে। এদিকে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করবে ছাত্র ইউনিয়ন।
No comments