রহস্যে ঘেরা সুন্দরবনের ট্যাংকার দুর্ঘটনা
সুন্দরবনে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার
ডুবির দুর্ঘটনা নিয়ে নানা রহস্য দেখা দিয়েছে। দেশব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয়ের
আশংকার পরও শনিবার রাত পর্যন্ত ট্যাংকার ডুবির সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার
করা হয়নি। তদন্ত কমিটি বলছে নদীতে সব তেল ছড়িয়ে পড়েছে। খোদ ট্যাংকারের
মালিক বলছেন ৬টি চেম্বারের মধ্যে ২টি চেম্বার অক্ষত। চেম্বার অক্ষত থাকলে
তাতে তেলও থাকার কথা। সবগুলো চেম্বারভর্তি করে তেল নিয়ে যাচ্ছিল
ট্যাংকারটি। এ ধরনের নানামুখী ঘটনায় রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। স্থানীয়রা
বলেছেন, ডুবে যাওয়া তেলবাহী ট্যাংকার ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ আগে বালু
বহনকারী কার্গো ছিল। পরবর্তী সময় কার্গোটিকে তেলবাহী ট্যাংকারে রূপান্তর
করা হয়। কার্গোর মালিক নিজেও পরিবর্তনের কথা স্বীকার করেছেন।
তবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইজাজ হোসেন যুগান্তরকে জানান, সব ধরনের তেলের ট্যাংকার দিয়ে ফার্নেস অয়েল আনা-নেয়া করা যায় না। এ ধরনের তেল আনা- নেয়া করতে হলে অপেক্ষাকৃত বড় জাহাজ প্রয়োজন। এ ধরনের ছোট তেলের ট্যাংকার দিয়ে সাড়ে ৩ লাখ ফার্নেস অয়েল বহন করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জাহাজের মালিক আমির হোসেন ফরিদের বিরুদ্ধেও স্থানীয়রা নানা অভিযোগ করেছেন। এছাড়া সাউদার্ন স্টার-৭ এবং একে আঘাতকারী এমটি টোটালেরও কোনো স্টাফকেও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ তেলডুবির ঘটনাকে স্রেফ দুর্ঘটনা বললেও কেউ বলছেন, এটি রহস্যজনক দুঘটনা। এ রহস্যের পেছনে তেল চুরি এবং ইনস্যুরেন্সের বিষয় থাকতে পারে বলে অনেকেই আশংকা প্রকাশ করেছেন।
ডুবে যাওয়া জাহাজে থাকা ৩ লাখ ৫৮ হাজার ফার্নেস অয়েল নিয়েও রহস্য দেখা দিয়েছে। আদৌ জাহাজে এ পরিমাণ ফার্নেস অয়েল ছিল কিনা সেটা নিয়েও তদন্তের দাবি উঠেছে। তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, জাহাজে থাকা সব তেল বাইরে বের হয়ে গেছে। জাহাজের ৬টি চেম্বারের সব কটি ফেটে যাওয়ায় ভেতরে কোনো তেল ছিল না। অপরদিকে খোদ জাহাজের মালিক আমির হোসেন ফরিদ বলেছেন, তিনি শুনেছেন তার জাহাজের ৬টি চেম্বারের ৪টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি ২টি চেম্বার অক্ষত থাকার কথা। চেম্বার অক্ষত থাকলে তেলও থাকার কথা। বিশেষজ্ঞরা এটিকেও রহস্যজনক বলে অভিহিত করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সাড়ে ৩ লাখ ফার্নেস অয়েল জাহাজ থেকে বেরিয়ে গেলে কমপক্ষে ৪শ’ বর্গকিলোমিটার এলাকার নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ার কথা। জোয়ার-ভাটায় এটা বেশি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ত। কিন্তু বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তা ও পরিবেশবিদদের ভাষ্য অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়েছে তেল। খোদ বন বিভাগের খুলনা সুন্দরবন সার্কেলের বন সংরক্ষক কার্তিক চন্দ্র সরকার বলেছেন, সব মিলিয়ে ৬০ কিলোমিটার এলাকায় তেল ছড়িয়েছে। তার ধারণা সাড়ে তিন লাখ ফার্নেস অয়েল বের হয়ে গেলে আরও বেশি পরিমাণ এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়ত।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এ দুর্ঘটনার সঙ্গে জ্বালানি তেল চুরি ও জাহাজের ইন্স্যুরেন্সের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে এর সঙ্গে তেল চুরির বড় ধরনের একটি সিন্ডিকেট জড়িত থাকতে পারে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি, গোপালগঞ্জের রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অসাধু কর্মকর্তা ও তেল পরিবহনে জড়িত ট্যাংকারের সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে গড়ে ওঠা ত্রিমুখী একটি সিন্ডিকেট এ ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটিয়েছে। চক্রটি তেল চুরি ও ইন্স্যুরেন্সের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে। অভিযোগ সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর চাচাতো বোনের জামাইয়ের সঙ্গে জড়িত। বরিশালের ব্রাউন কম্পাউন্ড রোডে তার অফিস আছে। তেলের ট্যাংকার ছাড়াও তার একাধিক জাহাজ রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের ঋণখেলাপি হিসেবে তার বিরুদ্ধে মামলাও আছে।
এদিকে সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে শনিবার খুলনায় পৃথক মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। এতে বক্তারা বলেছেন, তেলবাহী ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ আগে বালুবহনকারী কার্গো ছিল। পরিবর্তন করে এটিকে তেলের ট্যাংকারে রূপান্তর করা হয়।
সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের নথি অনুযায়ী ওটি সাউদার্ন স্টার-৭-এর দৈর্ঘ ৩৪.৯ মিটার, প্রস্থ ৭.৩১ মিটার, গভীরতা ২.৭৪ মিটার। জাহাজটির ধারণক্ষমতা (গ্রস টন) ২০২ টন। ১৯৯৮ সালে এটি নির্মাণ করা হলেও ২০০৩ সালে এটিকে তেলের ট্যাংকারে রূপান্তর করা হয়। জাহাজটির সার্ভে মেয়াদ আগামী ৭ জানুয়ারি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ২০২ টনের ধারণক্ষমতার একটি জাহাজে কিভাবে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৮ লিটার ফার্নেস অয়েল তেল উঠানো হল এটিও রহস্যজনক। যদিও জাহাজের মালিক আমির হোসেন ফরিদ বলেছেন, তার জাহাজের তেল ধারণক্ষসতা ৪ লাখ টন।
ট্যাংকার মালিক মন্ত্রীর আত্মীয় : আমাদের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মংলার শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্যাংকারে ফার্নেস অয়েল গোপালগঞ্জের ১০০ মে.গা. রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি পিকিং প্ল্যান্ট নেয়া হচ্ছিল। পদ্মা অয়েল কোম্পানি থেকে আমির হোসেন ফরিদের মালিকানাধীন তেলবাহী ট্যাংকার ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ নামের ট্যাংকারে করে এ ফার্নেস অয়েল নেয়া হচ্ছিল বলে জানা যায়। গোপালগঞ্জ পিকিং প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী হিমাংশু কুমার বিশ্বাস জানান, পদ্মা অয়েল কোম্পানির কাছ থেকে তারা ২০ লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল ক্রয় করে। ওই তেল থেকে ৯ ডিসেম্বর রাতে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৪ লিটার তেল নিয়ে শ্যালা নদী দিয়ে গোপালগঞ্জে যাচ্ছিল। ট্যাংকার ডুবির কারণে কোনো দায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানির নেই বলে জানান তিনি। ট্যাংকার মালিককেই এ দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রায় ২০ থেকে ৩০ দিনের ফার্নেস অয়েল মজুদ আছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১১ সালের ২০ নভেম্বও গোপালগঞ্জে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ইনিশিয়াল কমার্শিয়াল অপারেশন শুরু করে। এর আগে পিকিং প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রেটি নির্মাণ ও সরকারের কাছে হস্তান্তর করে।
তবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইজাজ হোসেন যুগান্তরকে জানান, সব ধরনের তেলের ট্যাংকার দিয়ে ফার্নেস অয়েল আনা-নেয়া করা যায় না। এ ধরনের তেল আনা- নেয়া করতে হলে অপেক্ষাকৃত বড় জাহাজ প্রয়োজন। এ ধরনের ছোট তেলের ট্যাংকার দিয়ে সাড়ে ৩ লাখ ফার্নেস অয়েল বহন করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জাহাজের মালিক আমির হোসেন ফরিদের বিরুদ্ধেও স্থানীয়রা নানা অভিযোগ করেছেন। এছাড়া সাউদার্ন স্টার-৭ এবং একে আঘাতকারী এমটি টোটালেরও কোনো স্টাফকেও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ তেলডুবির ঘটনাকে স্রেফ দুর্ঘটনা বললেও কেউ বলছেন, এটি রহস্যজনক দুঘটনা। এ রহস্যের পেছনে তেল চুরি এবং ইনস্যুরেন্সের বিষয় থাকতে পারে বলে অনেকেই আশংকা প্রকাশ করেছেন।
ডুবে যাওয়া জাহাজে থাকা ৩ লাখ ৫৮ হাজার ফার্নেস অয়েল নিয়েও রহস্য দেখা দিয়েছে। আদৌ জাহাজে এ পরিমাণ ফার্নেস অয়েল ছিল কিনা সেটা নিয়েও তদন্তের দাবি উঠেছে। তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, জাহাজে থাকা সব তেল বাইরে বের হয়ে গেছে। জাহাজের ৬টি চেম্বারের সব কটি ফেটে যাওয়ায় ভেতরে কোনো তেল ছিল না। অপরদিকে খোদ জাহাজের মালিক আমির হোসেন ফরিদ বলেছেন, তিনি শুনেছেন তার জাহাজের ৬টি চেম্বারের ৪টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি ২টি চেম্বার অক্ষত থাকার কথা। চেম্বার অক্ষত থাকলে তেলও থাকার কথা। বিশেষজ্ঞরা এটিকেও রহস্যজনক বলে অভিহিত করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সাড়ে ৩ লাখ ফার্নেস অয়েল জাহাজ থেকে বেরিয়ে গেলে কমপক্ষে ৪শ’ বর্গকিলোমিটার এলাকার নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ার কথা। জোয়ার-ভাটায় এটা বেশি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ত। কিন্তু বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তা ও পরিবেশবিদদের ভাষ্য অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়েছে তেল। খোদ বন বিভাগের খুলনা সুন্দরবন সার্কেলের বন সংরক্ষক কার্তিক চন্দ্র সরকার বলেছেন, সব মিলিয়ে ৬০ কিলোমিটার এলাকায় তেল ছড়িয়েছে। তার ধারণা সাড়ে তিন লাখ ফার্নেস অয়েল বের হয়ে গেলে আরও বেশি পরিমাণ এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়ত।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এ দুর্ঘটনার সঙ্গে জ্বালানি তেল চুরি ও জাহাজের ইন্স্যুরেন্সের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে এর সঙ্গে তেল চুরির বড় ধরনের একটি সিন্ডিকেট জড়িত থাকতে পারে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি, গোপালগঞ্জের রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অসাধু কর্মকর্তা ও তেল পরিবহনে জড়িত ট্যাংকারের সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে গড়ে ওঠা ত্রিমুখী একটি সিন্ডিকেট এ ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটিয়েছে। চক্রটি তেল চুরি ও ইন্স্যুরেন্সের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে। অভিযোগ সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর চাচাতো বোনের জামাইয়ের সঙ্গে জড়িত। বরিশালের ব্রাউন কম্পাউন্ড রোডে তার অফিস আছে। তেলের ট্যাংকার ছাড়াও তার একাধিক জাহাজ রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের ঋণখেলাপি হিসেবে তার বিরুদ্ধে মামলাও আছে।
এদিকে সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে শনিবার খুলনায় পৃথক মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। এতে বক্তারা বলেছেন, তেলবাহী ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ আগে বালুবহনকারী কার্গো ছিল। পরিবর্তন করে এটিকে তেলের ট্যাংকারে রূপান্তর করা হয়।
সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের নথি অনুযায়ী ওটি সাউদার্ন স্টার-৭-এর দৈর্ঘ ৩৪.৯ মিটার, প্রস্থ ৭.৩১ মিটার, গভীরতা ২.৭৪ মিটার। জাহাজটির ধারণক্ষমতা (গ্রস টন) ২০২ টন। ১৯৯৮ সালে এটি নির্মাণ করা হলেও ২০০৩ সালে এটিকে তেলের ট্যাংকারে রূপান্তর করা হয়। জাহাজটির সার্ভে মেয়াদ আগামী ৭ জানুয়ারি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ২০২ টনের ধারণক্ষমতার একটি জাহাজে কিভাবে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৮ লিটার ফার্নেস অয়েল তেল উঠানো হল এটিও রহস্যজনক। যদিও জাহাজের মালিক আমির হোসেন ফরিদ বলেছেন, তার জাহাজের তেল ধারণক্ষসতা ৪ লাখ টন।
ট্যাংকার মালিক মন্ত্রীর আত্মীয় : আমাদের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মংলার শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্যাংকারে ফার্নেস অয়েল গোপালগঞ্জের ১০০ মে.গা. রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি পিকিং প্ল্যান্ট নেয়া হচ্ছিল। পদ্মা অয়েল কোম্পানি থেকে আমির হোসেন ফরিদের মালিকানাধীন তেলবাহী ট্যাংকার ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ নামের ট্যাংকারে করে এ ফার্নেস অয়েল নেয়া হচ্ছিল বলে জানা যায়। গোপালগঞ্জ পিকিং প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী হিমাংশু কুমার বিশ্বাস জানান, পদ্মা অয়েল কোম্পানির কাছ থেকে তারা ২০ লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল ক্রয় করে। ওই তেল থেকে ৯ ডিসেম্বর রাতে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৪ লিটার তেল নিয়ে শ্যালা নদী দিয়ে গোপালগঞ্জে যাচ্ছিল। ট্যাংকার ডুবির কারণে কোনো দায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানির নেই বলে জানান তিনি। ট্যাংকার মালিককেই এ দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রায় ২০ থেকে ৩০ দিনের ফার্নেস অয়েল মজুদ আছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১১ সালের ২০ নভেম্বও গোপালগঞ্জে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ইনিশিয়াল কমার্শিয়াল অপারেশন শুরু করে। এর আগে পিকিং প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রেটি নির্মাণ ও সরকারের কাছে হস্তান্তর করে।
No comments