‘সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় কোষ্টগার্ডের ভূমিকা অপরিসীম’
নদ-নদীর নিরাপত্তায় কোষ্টগার্ডের অপরিসীম ভূমিকার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোষ্টগার্ড প্রশিক্ষণ ঘাটি ‘সিজি বেইজ অগ্রযাত্রা’ দক্ষিণাঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে। আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর রসুলপুর (দূর্গাপুর) এলাকায় এই প্রশিক্ষণ ঘাটি উদ্বোধন শেষে কোষ্টগার্ড সদস্যদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে চোরাচালন রোধ, জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণ, মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় কোষ্ট গার্ডের এ ঘাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। আর্ন্তজাতিকভাবে ভৌগলিক দিক থেকে বঙ্গোপসাগরের ভূমিকা গূরুত্বপূর্ণ। ফলে বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় এ ক্ষেত্রকে রক্ষায় কোষ্ট গার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভূ-খন্ডের প্রায় সমপরিমান সমুদ্র এলাকা এবং এর সম্পদের ওপর আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্পদ আহরণসহ সমূদ্র এলাকায় সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছি। জাতির পিতার স্বপ্নে ‘ব্লু ইকোনমি’র ধারণাকে বাস্তব রূপ দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমাদের সমূদ্র সম্পদ সঠিক ভাবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন সমুদ্র এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা। আর এ জন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালী সামদ্রিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোষ্ট গার্ডের মূল মন্ত্র হলো ‘সমুদ্রের অভিভাবক’। তাই বাংলাদেশ কোষ্টগার্ডের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছি। জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষন নদীমাতৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরণীর জলজ সম্পদ সুরক্ষা এবং নদ নদীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোষ্টগার্ডের ভূমিকা অপরিসীম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পটুয়াখালীতে নবনির্মিত পায়রা সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা প্রদানেও কোষ্টগার্ড অন্যন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। মাদক ও মানব সম্পদ পাচার রোধেও কোষ্ট গার্ডের ভূমিকা উত্তরোত্তর বাড়ছে। নতুন নতুন দায়িত্ব পালনে সক্ষম করে তুলতে আমরা কোষ্ট গার্ডকে একটি যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদের একাধিক সদস্য, রাজনৈতিক, সামরিক এবং বে-সামরিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
No comments