সিআইএকে শাস্তি দিতে পারবেন না ওবামা
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র বর্বর
নির্যাতনের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ
গ্রহণের দাবি উঠেছে সারা বিশ্বে। কিন্তু বর্তমান ওবামা-প্রশাসন এ ব্যাপারে
কিছুই করতে পারবে না বলে ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন,
বুশ-প্রশাসনের অধীনে যেসব কর্মকর্তা এই অমানবিক নির্যাতনের জন্য দায়ী,
তাদের শাস্তি দেয়া না হলে এ নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটার দরজাই খোলা রাখা
হবে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ওবামা বাস্তবতার আলোকেই বলছেন, এ ব্যাপারে আইনি
প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়। জাতীয় নিরাপত্তা নীতির কারণেই দোহাই দিয়ে
বেআইনি কাজ করলেও তাদের রেহাই দিতে হবে, কারণ তারা ব্যক্তিস্বার্থে এটা
করেনি।
এখানে আইন দেখতে গেলে জল গড়িয়ে বহুদূর যাবে। কারণ, সিনেট রিপোর্টে এটা স্পষ্ট হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের নামে নিষ্ঠুর নির্যাতন করে নির্যাতনকারীসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এমনকি সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ স্বয়ং আইন লংঘন করেছেন। টেলিগ্রাফ।
আমেরিকার ফেডারেল আইন সব ধরনের নির্যাতন নিষিদ্ধ করেছে। তথ্য আদায় হোক আর যে কারণেই হোক, বন্দিদের ওপর শারীরিক নিপীড়নকে অবৈধ করে অনেক আইন করা হয়েছে। নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্র আমেরিকা। এত কিছু সত্ত্বেও বারাক ওবামা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের ঝুঁকি নেবেন না। আর এটা না করার এখতিয়ারও তার রয়েছে। কয়েকদিন আগে অভিবাসীদের বৈধতা সংক্রান্ত বিল পাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার ব্যবহার দেখা গেছে। প্রেসিডেন্টকে অনেক ক্ষমতাই দেয়া হয়েছে। অভিবাসী আইন লংঘন করে বিদেশীরা আমেরিকায় যেমনভাবে সুবিধা পেয়ে গেল, তেমনভাবেই যেসব আমেরিকান নির্যাতন আইন লংঘন করে বর্বরতা দেখালেন, তারাও দায়মুক্তি পেয়ে যাবে। তাছাড়া সরকার এই মামলায় জিততে পারবে তাও নিশ্চিত নয়। নির্যাতনের যুক্তি হচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ন্যূনতম সম্পদ ব্যয় করে তথ্য আদায়ের ‘কার্যকর’ পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ওবামার যুক্তি হবে, নির্যাতনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন করা হয়েছে এবং রিপোর্টে বলা হয়েছে, তথ্য আদায়ে নির্যাতন খুব একটা কাজে আসেনি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত অপরাধীরা পার পেয়েই যাবে। কারণ কিছুদিন আগেই নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রাউনকে গুলি করে হত্যাকারী ও এরিখ গার্নারকে শ্বাসরোধে হত্যাকারী পুলিশও দায়মুক্তি পেয়ে গেছে। অর্থাৎ পুলিশকে ‘হত্যার লাইসেন্স’ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সিআইএ তো বলছেই, যা কিছু ঘটেছে সরকারের অনুমোদনক্রমেই হয়েছে। পানি-নির্যাতন সম্পর্কে বুশ ব্যক্তিগতভাবে জানতেন। অতএব, আইনশৃংখলা রক্ষা কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা অজুহাতে মানবাধিকার আইন পিষে ফেলাটাই আইনের স্বার্থ!
এখানে আইন দেখতে গেলে জল গড়িয়ে বহুদূর যাবে। কারণ, সিনেট রিপোর্টে এটা স্পষ্ট হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের নামে নিষ্ঠুর নির্যাতন করে নির্যাতনকারীসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এমনকি সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ স্বয়ং আইন লংঘন করেছেন। টেলিগ্রাফ।
আমেরিকার ফেডারেল আইন সব ধরনের নির্যাতন নিষিদ্ধ করেছে। তথ্য আদায় হোক আর যে কারণেই হোক, বন্দিদের ওপর শারীরিক নিপীড়নকে অবৈধ করে অনেক আইন করা হয়েছে। নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্র আমেরিকা। এত কিছু সত্ত্বেও বারাক ওবামা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের ঝুঁকি নেবেন না। আর এটা না করার এখতিয়ারও তার রয়েছে। কয়েকদিন আগে অভিবাসীদের বৈধতা সংক্রান্ত বিল পাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার ব্যবহার দেখা গেছে। প্রেসিডেন্টকে অনেক ক্ষমতাই দেয়া হয়েছে। অভিবাসী আইন লংঘন করে বিদেশীরা আমেরিকায় যেমনভাবে সুবিধা পেয়ে গেল, তেমনভাবেই যেসব আমেরিকান নির্যাতন আইন লংঘন করে বর্বরতা দেখালেন, তারাও দায়মুক্তি পেয়ে যাবে। তাছাড়া সরকার এই মামলায় জিততে পারবে তাও নিশ্চিত নয়। নির্যাতনের যুক্তি হচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ন্যূনতম সম্পদ ব্যয় করে তথ্য আদায়ের ‘কার্যকর’ পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ওবামার যুক্তি হবে, নির্যাতনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন করা হয়েছে এবং রিপোর্টে বলা হয়েছে, তথ্য আদায়ে নির্যাতন খুব একটা কাজে আসেনি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত অপরাধীরা পার পেয়েই যাবে। কারণ কিছুদিন আগেই নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রাউনকে গুলি করে হত্যাকারী ও এরিখ গার্নারকে শ্বাসরোধে হত্যাকারী পুলিশও দায়মুক্তি পেয়ে গেছে। অর্থাৎ পুলিশকে ‘হত্যার লাইসেন্স’ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে সিআইএ তো বলছেই, যা কিছু ঘটেছে সরকারের অনুমোদনক্রমেই হয়েছে। পানি-নির্যাতন সম্পর্কে বুশ ব্যক্তিগতভাবে জানতেন। অতএব, আইনশৃংখলা রক্ষা কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা অজুহাতে মানবাধিকার আইন পিষে ফেলাটাই আইনের স্বার্থ!
No comments