তুর্কি সীমান্তের কাছে জঙ্গিরা -তুরস্কের সেনা মোতায়েন ,মার্কিন হামলায় দমেনি আইএস
অব্যাহত মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলা
সত্ত্বেও সিরিয়ার এক তুর্কি সীমান্তবর্তী শহরের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে ট্যাংকসহ
সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে তুরস্ক। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট
ন্যাটোর সদস্য হলেও দৃশ্যত কৌশলগত কারণে দেশটির ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থী
সরকার আইএসবিরোধী জোটে যোগ দেওয়া নিয়ে এখন পর্যন্ত দ্বিধাগ্রস্ত।
সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের অবস্থার লক্ষ্য করে গত মঙ্গলবারও ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই দিনে ইরাকে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান প্রথমবারের মতো আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। খবর এএফপি, রয়টার্স ও সিএএনের।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, আইএসের জঙ্গিরা তুর্কি সীমান্তসংলগ্ন সিরিয়ার শহর কোবানি (আরেক নাম আইন আল-আরব) থেকে দু-তিন কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে তুরস্ক।
পেন্টাগন জানায়, মঙ্গলবার সিরিয়ায় আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে ১২ বারের বেশি হামলা চালানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও জঙ্গিরা তুর্কি সীমান্তসংলগ্ন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর কোবানির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে পেন্টাগন বলেছে, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে না। শিগগিরই এ লড়াই শেষ হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। এর কারণ হিসেবে পেন্টাগনের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জন কারবি বলেন, ‘আমরা আইএসের লক্ষ্যবস্তুর বিষয়ে অস্পষ্ট ধারণার ওপর ভিত্তি করে ঢালাওভাবে বিমান হামলা চালাতে পারি না।’ তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্যে আরও দুই হাজার ৩০০ সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জরুরি প্রয়োজন পড়লে দ্রুত তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হবে। যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত বলে আসছে, ইরাক বা সিরিয়ায় কোনো স্থলসেনা পাঠানো হবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত মঙ্গলবার তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে আইএস নির্মূলের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
সিরিয়া ছাড়াও ইরাকে আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে মঙ্গলবার ১১ বার হামলা চালানো হয়। মসুল, কিরকুক ও রাবিয়া শহরে এসব হামলা হয়। এ ছাড়া স্থলযুদ্ধে কুর্দি যোদ্ধাদের হাতে একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে আইএস। গত মাসে ওই এলাকা দখল করে নিয়েছিল আইএসের জঙ্গিরা। যুক্তরাজ্য বলেছে, ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান গত মঙ্গলবার ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে প্রথমবার হামলা চালিয়ে বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাঁজোয়া যান, মেশিনগানসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র।
আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেবে কি না, এই প্রশ্নে তুরস্ক এ পর্যন্ত বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে যুদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য গত মঙ্গলবার সরকার পার্লামেন্টের মত জানতে চেয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা হওয়ার কথা।
No comments