মন্ত্রীকে রাস্তা ঠিক করতে বললেন যাত্রী
গতকাল
দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে যান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি ময়মনসিংহগামী এক যাত্রীর কাছে জানতে চান, তিনি
টিকিট পেয়েছেন কিনা। মহিলা যাত্রী অবশ্য টিকিটের প্রসঙ্গ এড়িয়ে ক্ষোভ
প্রকাশ করে বলেন, আগে রাস্তা ঠিক করে দিন। রাস্তা তো খুব খারাপ।
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের অবস্থা খারাপ। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসা কষ্টকর।
সরজমিন বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে এ ভাবে অনেক যাত্রীর প্রশ্নবাণে
জর্জরিত হন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া মহাসড়কে যানজট,
গরুর হাট, ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে যানজট, পরিবহন সার্ভিসগুলোর অতিরিক্ত
ভাড়া আদায়ের বিষয়েও অভিযোগ করেন তারা। সড়ক সংস্কারের বিষয়ে মন্ত্রী ওবায়দুল
কাদের বলেন, মার্চের পর রাস্তা ঠিক হয়ে যাবে। এ জন্য একটু অপেক্ষা করতে
হবে। আস্তে আস্তে দেশের সড়ক সমস্যার সমাধান হবে।
এদিকে
রাস্তার দুরবস্থার জন্য দুর্ভোগ আর যানজটের ভোগান্তি সঙ্গী করে বাড়ি
ফিরছে মানুষ। ঈদকে সামনে রেখে গতকাল বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও লঞ্চ
টার্মিনালে ছিল ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। এবার ঈদ ও পূজা প্রায় একই
সময়ে হওয়ার কারণে ঘরমুখো মানুষের ভিড় শুরু হয়েছে গত এক সপ্তাহ আগ থেকেই।
সাধারণত প্রতিদিন রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ১৪০০ থেকে ১৫০০ যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়। ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ যাত্রীবাহী বাস এই বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গতকাল গাবতলী, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীরা চাহিদামতো বাসের টিকিট পাচ্ছেন না। কারণ হিসেবে জানা গেছে, গত ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে অগ্রিম বাসের টিকিট দেয়া শুরু হয়। গত বুধবার থেকে তা বন্ধ রয়েছে। গতকাল দুপুরে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সোহাগের কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। ওই কাউন্টারের টিকিট বুকিংম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, যাত্রীরা ফিরে যাচ্ছেন কারণ সোহাগের এসি বাসের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তবে গতকাল পর্যন্ত ওই পরিবহনের সাধারণ বাসের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। অন্যান্য পরিবহন বাসের টিকিটেরও একই অবস্থা। সোনার তরী নামক পরিবহন সার্ভিসের কাউন্টার ইনচার্জ মুহাম্মদ শাহিন বলেন, আজকের (বৃহস্পতিবারের) টিকিট নেই। আগামীকালের (আজ শুক্রবার) টিকিট বিক্রি করছি। অনেকে ফোনে টিকিট নিশ্চিত করেছেন, এখন কাউন্টারে এসে টিকিট নিয়ে যাচ্ছেন। গত ঈদের চেয়ে এবার যাত্রীদের চাপ বেশি বলে জানান পরিবহন সার্ভিসে কর্মরতরা। ঈদ ও পূজার কারণেই এই ভিড় বলে জানান তারা। তবে নিম্ন মানের বিভিন্ন বাসের টিকিট ডেকে ডেকে বিক্রি করতে দেখা গেছে গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে। এক্ষেত্রে যার কাছ থেকে যত পারা যায় ভাড়া বেশি রাখা হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীদের কোন অভিযোগ নেই। টিকিট পেয়েই তারা সন্তুষ্ট। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদ উপলক্ষে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সাতক্ষীরাগামী সোহাগ পরিবহনের যাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ফরিদা ইয়াসমিন জানান, আগে ভাড়া ছিল ৫৫০ টাকা, এখন নেয়া হচ্ছে ৬৭০ টাকা। এ বিষয়ে সোহাগের কর্মকর্তারা জানান, তারা আগে কম নিতেন। এখন সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছেন। একই কথা বলেন অন্যান্য পরিবহন সার্ভিসের কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য ও অফিস কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন বলেন, কিলোমিটার প্রতি ১ টাকা ৪৫ পয়সা সরকার নির্ধারিত ভাড়া। ঈদের আগে অনেকে এর চেয়ে কম ভাড়া নিতেন, এখন তারা সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছেন। ঈদ ও পূজা উপলক্ষে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। তিনি জানান, অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। অনিয়ম প্রতিরোধ ও যাত্রীদের সুবিধার জন্য বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। পরিবহন শ্রমিকরা জানান, সড়ক সংস্কার না হওয়ার কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। সড়কে সংস্কার ও মহাসড়কে গরুর হাটের কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সময় বেশি ব্যয় হচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ঢাকা ত্যাগের অন্যতম মাধ্যম সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। বৃহস্পতিবার পূজা-ঈদ উপলক্ষে সদরঘাটে শুরু হয়েছে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস। স্পেশাল সার্ভিস চালু হলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিতে নির্দেশনা অমান্য করে লঞ্চের ছাদে যাত্রী বহন করছেন লঞ্চ মালিকরা। ফলে ঝুঁকি নিয়েই ঢাকা ছাড়ছেন লঞ্চ যাত্রীরা। এ ছাড়া সময়মতো লঞ্চ না ছাড়া, পন্টুনে হকারদের উৎপাতসহ নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা।
গতকাল কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল ট্রেনে। যারা স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেছেন তাদের কেউ কেউ ভিড়ের দুর্ভোগ সহ্য করতে না পেরে পরে বাসে যাত্রা করেছেন। প্রতিটি ট্রেনেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। এমনকি ট্রেনের ছাদেও ছিল উল্লেখযোগ্য যাত্রী। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে গতকালও। অতিরিক্ত যাত্রী, শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেনের যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামের মীরসরাই এলাকায় মহানগর প্রভাতী ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হলে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
সাধারণত প্রতিদিন রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ১৪০০ থেকে ১৫০০ যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়। ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ যাত্রীবাহী বাস এই বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গতকাল গাবতলী, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীরা চাহিদামতো বাসের টিকিট পাচ্ছেন না। কারণ হিসেবে জানা গেছে, গত ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে অগ্রিম বাসের টিকিট দেয়া শুরু হয়। গত বুধবার থেকে তা বন্ধ রয়েছে। গতকাল দুপুরে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সোহাগের কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন যাত্রীরা। ওই কাউন্টারের টিকিট বুকিংম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, যাত্রীরা ফিরে যাচ্ছেন কারণ সোহাগের এসি বাসের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তবে গতকাল পর্যন্ত ওই পরিবহনের সাধারণ বাসের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। অন্যান্য পরিবহন বাসের টিকিটেরও একই অবস্থা। সোনার তরী নামক পরিবহন সার্ভিসের কাউন্টার ইনচার্জ মুহাম্মদ শাহিন বলেন, আজকের (বৃহস্পতিবারের) টিকিট নেই। আগামীকালের (আজ শুক্রবার) টিকিট বিক্রি করছি। অনেকে ফোনে টিকিট নিশ্চিত করেছেন, এখন কাউন্টারে এসে টিকিট নিয়ে যাচ্ছেন। গত ঈদের চেয়ে এবার যাত্রীদের চাপ বেশি বলে জানান পরিবহন সার্ভিসে কর্মরতরা। ঈদ ও পূজার কারণেই এই ভিড় বলে জানান তারা। তবে নিম্ন মানের বিভিন্ন বাসের টিকিট ডেকে ডেকে বিক্রি করতে দেখা গেছে গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে। এক্ষেত্রে যার কাছ থেকে যত পারা যায় ভাড়া বেশি রাখা হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীদের কোন অভিযোগ নেই। টিকিট পেয়েই তারা সন্তুষ্ট। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদ উপলক্ষে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সাতক্ষীরাগামী সোহাগ পরিবহনের যাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ফরিদা ইয়াসমিন জানান, আগে ভাড়া ছিল ৫৫০ টাকা, এখন নেয়া হচ্ছে ৬৭০ টাকা। এ বিষয়ে সোহাগের কর্মকর্তারা জানান, তারা আগে কম নিতেন। এখন সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছেন। একই কথা বলেন অন্যান্য পরিবহন সার্ভিসের কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য ও অফিস কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন বলেন, কিলোমিটার প্রতি ১ টাকা ৪৫ পয়সা সরকার নির্ধারিত ভাড়া। ঈদের আগে অনেকে এর চেয়ে কম ভাড়া নিতেন, এখন তারা সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছেন। ঈদ ও পূজা উপলক্ষে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। তিনি জানান, অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। অনিয়ম প্রতিরোধ ও যাত্রীদের সুবিধার জন্য বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। পরিবহন শ্রমিকরা জানান, সড়ক সংস্কার না হওয়ার কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। সড়কে সংস্কার ও মহাসড়কে গরুর হাটের কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সময় বেশি ব্যয় হচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ঢাকা ত্যাগের অন্যতম মাধ্যম সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। বৃহস্পতিবার পূজা-ঈদ উপলক্ষে সদরঘাটে শুরু হয়েছে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস। স্পেশাল সার্ভিস চালু হলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিতে নির্দেশনা অমান্য করে লঞ্চের ছাদে যাত্রী বহন করছেন লঞ্চ মালিকরা। ফলে ঝুঁকি নিয়েই ঢাকা ছাড়ছেন লঞ্চ যাত্রীরা। এ ছাড়া সময়মতো লঞ্চ না ছাড়া, পন্টুনে হকারদের উৎপাতসহ নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা।
গতকাল কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল ট্রেনে। যারা স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেছেন তাদের কেউ কেউ ভিড়ের দুর্ভোগ সহ্য করতে না পেরে পরে বাসে যাত্রা করেছেন। প্রতিটি ট্রেনেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। এমনকি ট্রেনের ছাদেও ছিল উল্লেখযোগ্য যাত্রী। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে গতকালও। অতিরিক্ত যাত্রী, শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেনের যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামের মীরসরাই এলাকায় মহানগর প্রভাতী ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হলে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
No comments