ব্রাজিলিয়ান দর্শকের বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ
বিশ্বকাপের
খেলাগুলোতে উপস্থিত ব্রাজিলিয়ানদের বেশির ভাগ দর্শকই শ্বেতাঙ্গ আর ধনবান।
একইসঙ্গে তারা বামপন্থি প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফের সরকারের প্রতি
অসন্তুষ্ট। রোববার প্রকাশিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বকাপের দ্বিতীয়
রাউন্ডের ম্যাচে ব্রাজিল ও চিলির মধ্যকার ম্যাচটি যারা মাঠে বসে দেখেছেন,
তাদের ৭৫ শতাংশ পুরুষ, ৬৭ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ ও ৯০ ভাগই মধ্যবিত্ত বা ধনী। তবে
স্টেডিয়ামে খুব কমসংখ্যক উঠতি মধ্যবিত্ত মানুষকে দেখা গেছে। ব্রাজিলের
উঠতি মধ্যবিত্ত জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের পেছনে মূলত বর্তমান প্রেসিডেন্ট
রুসেফ ও তারই সহকর্মী আগেরবারের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার
কৃতিত্ব আছে বলে স্বীকার করা হয়। মোট দর্শকের মাত্র ৯ শতাংশ হচ্ছে
নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। এই নিম্ন-মধ্যবিত্তদের মাসিক আয় ৫০০ থেকে
২০০০ ডলার। অথচ ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশই এই নিম্ন মধ্যবিত্ত
শ্রেণি। ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত
হলেও, এই বিশ্বকাপের অধিকাংশ আসন শ্বেতাঙ্গদেরই দখলে। তবে এই দর্শকদের ৫৫
শতাংশই রুসেফের সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট। জরিপে আরও মজার কিছু তথ্য উঠে
এসেছে। ৬১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
দিলমা রুসেফকে দুয়োধ্বনি দেয়া ঠিক হয়নি ব্রাজিলিয়ান দর্শকদের। আগামী
অক্টোবরে ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় অংশ নেবেন রুসেফ। তবে
এখনই তাকে দেশটিতে অর্থনৈতিক মন্দা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, দুর্নীতি ও
ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে রেকর্ড ১১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার দায়ে গণরোষের
মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে তিনি এখনও অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে ভাল
অবস্থানে আছেন। সিএনআই-আইবোপ কর্তৃক এই মাসের প্রথম দিকে আয়োজিত এক জরিপে
দেখা গেছে ৩৯ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়ে তিনি সকল সম্ভাব্য প্রার্থীদের
মধ্যে শীর্ষে আছেন। সেই জরিপে আরও দেখা গেছে, তার নিকটতম সম্ভাব্য
প্রতিদ্বন্দ্বী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের সিনেটর আয়েসিও নেভেসের আছে ২১
শতাংশ জনসমর্থন। আর সোশ্যালিস্ট সাবেক গভর্নর এডুয়ার্ডো ক্যামেপাসের আছে ১০
শতাংশ জনসমর্থন।
No comments