ক্ষমতার তোরণ থাকবে, আইন থাকবে না?- সাংসদ কামাল মজুমদার
সাংসদ যা করবেন, তা-ই কি আইন? মিরপুরের সরকারদলীয় সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের আচরণে সেটাই প্রতীয়মান হয়। সড়কে অবৈধভাবে নির্মিত কিছু তোরণ পুলিশ সরিয়ে ফেলায় তিনি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি করেছেন। এমনকি মিরপুরের একটি সড়ক অবরোধও করে রেখেছিল তাঁর লোকজন। সড়কে তোরণ নির্মাণ এবং তা অপসারণের মধ্যে যে কাজটি অবৈধ হয়েছে, আমরা তার শাস্তি দাবি করি।
একজন আইনপ্রণেতা যদি আইন ভঙ্গ করে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির তোরণ নির্মাণ করেন, তাহলে সেই আইনপ্রণেতাকে কি আইন ছাড় দেবে? তিনি শুধু অবৈধ তোরণ নির্মাণের নির্দেশই দেননি, পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন।জনগণের ভোগান্তি রোধে তিনটি তোরণ অপসারণের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে জনগণের আরও ভোগান্তি ঘটিয়েছেন।আইনে এ ব্যাপারে অস্পষ্টতা ও রহস্য নেই। সুস্পষ্টভাবেই সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার দুই দফায় আইন লঙ্ঘন করেছেন।একবার তোরণ নির্মাণ করে, দ্বিতীয়বার সড়ক অবরোধ করে।তিনি যদি সঠিক হন, তাহলে পুলিশ ভুল।আর পুলিশ যদি সঠিক কাজ করে থাকে, তাহলে অবশ্যই কামাল আহমেদ মজুমদার আইনের চোখে দোষী।এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করবে?
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে হাজার হাজার তোরণ, ফেস্টুন, ব্যানার, বিলবোর্ড, পতাকা ইত্যাদি তৈরি করা হয়। প্রায় সব সড়ক ও সড়কের মোড়ে এগুলো স্থাপনও করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হওয়ার পাঁচ-ছয় দিন পরও এগুলো রাখার কোনো প্রয়োজন ছিল না। চোখের যন্ত্রণার কথা বাদই থাক, রাস্তার ওপর তোরণ বানানো হলে যান চলাচলে অসুবিধা হয়। ঢাকার অসহনীয় যানজটকে তা আরও দুঃসহ করে তোলে। এসবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের কোনো সুযোগই নেই। মাত্র একটি ক্ষেত্রে (মিরপুরে) পুলিশের দায়িত্ব পালনে যে বাধা আসে, তা বুঝিয়ে দেয় যে এই বাংলাদেশে আইনের নিজের গতিতে চলার অবস্থা নেই।
কামাল আহমেদ মজুমদার পুলিশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন, এর আইনানুগ বিহিত না হলে পুলিশের পক্ষে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কঠিন হবে।
একজন আইনপ্রণেতা যদি আইন ভঙ্গ করে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির তোরণ নির্মাণ করেন, তাহলে সেই আইনপ্রণেতাকে কি আইন ছাড় দেবে? তিনি শুধু অবৈধ তোরণ নির্মাণের নির্দেশই দেননি, পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন।জনগণের ভোগান্তি রোধে তিনটি তোরণ অপসারণের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে জনগণের আরও ভোগান্তি ঘটিয়েছেন।আইনে এ ব্যাপারে অস্পষ্টতা ও রহস্য নেই। সুস্পষ্টভাবেই সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার দুই দফায় আইন লঙ্ঘন করেছেন।একবার তোরণ নির্মাণ করে, দ্বিতীয়বার সড়ক অবরোধ করে।তিনি যদি সঠিক হন, তাহলে পুলিশ ভুল।আর পুলিশ যদি সঠিক কাজ করে থাকে, তাহলে অবশ্যই কামাল আহমেদ মজুমদার আইনের চোখে দোষী।এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করবে?
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশে হাজার হাজার তোরণ, ফেস্টুন, ব্যানার, বিলবোর্ড, পতাকা ইত্যাদি তৈরি করা হয়। প্রায় সব সড়ক ও সড়কের মোড়ে এগুলো স্থাপনও করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হওয়ার পাঁচ-ছয় দিন পরও এগুলো রাখার কোনো প্রয়োজন ছিল না। চোখের যন্ত্রণার কথা বাদই থাক, রাস্তার ওপর তোরণ বানানো হলে যান চলাচলে অসুবিধা হয়। ঢাকার অসহনীয় যানজটকে তা আরও দুঃসহ করে তোলে। এসবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের কোনো সুযোগই নেই। মাত্র একটি ক্ষেত্রে (মিরপুরে) পুলিশের দায়িত্ব পালনে যে বাধা আসে, তা বুঝিয়ে দেয় যে এই বাংলাদেশে আইনের নিজের গতিতে চলার অবস্থা নেই।
কামাল আহমেদ মজুমদার পুলিশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন, এর আইনানুগ বিহিত না হলে পুলিশের পক্ষে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কঠিন হবে।
No comments