ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন
ফরমালিনের অপব্যবহার রোধে সর্বোচ্চ
শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘ফরমালিন
নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৪’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রস্তাবিত আইনটিতে বলা হয়েছে, কেউ লাইসেন্স ছাড়া ফরমালিন আমদানি, উৎপাদন,
পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার করতে পারবে না। ফরমালিন উৎপাদনে
ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি রাখাকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তির বিধান রাখা
হয়েছে। আইনের এ খসড়া সংসদে বিল আকারে পাস হলে এর আওতায় একটি বিধি প্রণয়নের
পর আইনটি প্রয়োগ করা হবে। আমরা আশা করব, এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে।
দেশে ফরমালিনের অপব্যবহার মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় এ ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে একটি কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার প্রয়োগ বর্তমানে জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ ও জাতীয় ভোক্তা সমিতির এক যৌথ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দেশে প্রায় ৪০০ টন ফরমালিন দুধ, মাছ, সবজি, ফল ইত্যাদিতে মেশানো হচ্ছে। ফরমালিনের অন্যান্য ব্যবহার থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা মূলত খাদ্যদ্রব্যকে টার্গেট করেই বেশি ফরমালিন আমদানি করছে। ফরমালিন ব্যবহারযোগ্য ক্ষেত্রগুলোয় সম্মিলিতভাবে বছরে যেখানে ১০০ টনেরও কম পরিমাণ ফরমালিন ব্যবহৃত হয়, সেখানে আমদানি করা হয় প্রায় ৫০০ টন ফরমালিন। এ থেকেই বোঝা যায় খাদ্যদ্রব্যে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ফরমালিনের কতটা অপব্যবহার হচ্ছে। কাজেই এর আমদানি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। বিষয়টি অনুধাবন করে সরকার ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। তবে আইনটি এমন হওয়া উচিত যাতে এতে কোনো ফাঁকফোকর না থাকে, যার সুযোগে কেউ ভিন্ন নামে ফরমালিন আমদানি করতে পারে।
জানা যায়, সরকার গত কয়েক বছরে ফরমালিন আমদানিতে নজরদারি বাড়ানোর কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফরমালিনের পরিবর্তে আমদানি করছে ফরমালডিহাইডসহ এমন কিছু রাসায়নিক দ্রব্য, যেগুলো ফরমালিনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য, ফরমালডিহাইড পানিতে মেশালেই পরিণত হয় ফরমালিনে। ফরমালিনের বিকল্প হিসেবে আরও যেসব রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি করা হয় সেসবের মধ্যে রয়েছে ফরমালডিহাইড সলিউশন, মিথানল, মিথানল সলিউশন, মিথাইলডিহাইড, মিথাইলডিহাইড সলিউশন, প্যারাফরমালডিহাইড, প্যারাফরমালডিহাইড সলিউশন, প্যারাফর্ম, ফর্মাজিন ইত্যাদি। ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ ফলপ্রসূ করতে চাইলে ভিন্ন নামে ফরমালিন আমদানির এ সুযোগ বন্ধ করতে হবে। খাবারে কোন মাত্রার ফরমালিন থাকলে তা অপরাধ হিসেবে আমলে নেয়া যাবে, আইনে তারও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেছেন, আইন হওয়ার পর আরও বিধি তৈরি করে এর আওতা নির্ধারণ করা হবে। সেক্ষেত্রে আইনের সব ফাঁকফোকর বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে, এটাই কাম্য। নয়তো আরও অনেক আইনের মতো এ আইনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করাও কঠিন হয়ে যাবে। কেননা দুর্জনের ছলের অভাব হয় না। অসাধু ব্যবসায়ীরা আইনের ফাঁক খুঁজবেই। ফাঁক রেখে আইন করে কোনো লাভ নেই।
দেশে ফরমালিনের অপব্যবহার মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় এ ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে একটি কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার প্রয়োগ বর্তমানে জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ ও জাতীয় ভোক্তা সমিতির এক যৌথ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দেশে প্রায় ৪০০ টন ফরমালিন দুধ, মাছ, সবজি, ফল ইত্যাদিতে মেশানো হচ্ছে। ফরমালিনের অন্যান্য ব্যবহার থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা মূলত খাদ্যদ্রব্যকে টার্গেট করেই বেশি ফরমালিন আমদানি করছে। ফরমালিন ব্যবহারযোগ্য ক্ষেত্রগুলোয় সম্মিলিতভাবে বছরে যেখানে ১০০ টনেরও কম পরিমাণ ফরমালিন ব্যবহৃত হয়, সেখানে আমদানি করা হয় প্রায় ৫০০ টন ফরমালিন। এ থেকেই বোঝা যায় খাদ্যদ্রব্যে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ফরমালিনের কতটা অপব্যবহার হচ্ছে। কাজেই এর আমদানি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। বিষয়টি অনুধাবন করে সরকার ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। তবে আইনটি এমন হওয়া উচিত যাতে এতে কোনো ফাঁকফোকর না থাকে, যার সুযোগে কেউ ভিন্ন নামে ফরমালিন আমদানি করতে পারে।
জানা যায়, সরকার গত কয়েক বছরে ফরমালিন আমদানিতে নজরদারি বাড়ানোর কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফরমালিনের পরিবর্তে আমদানি করছে ফরমালডিহাইডসহ এমন কিছু রাসায়নিক দ্রব্য, যেগুলো ফরমালিনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য, ফরমালডিহাইড পানিতে মেশালেই পরিণত হয় ফরমালিনে। ফরমালিনের বিকল্প হিসেবে আরও যেসব রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি করা হয় সেসবের মধ্যে রয়েছে ফরমালডিহাইড সলিউশন, মিথানল, মিথানল সলিউশন, মিথাইলডিহাইড, মিথাইলডিহাইড সলিউশন, প্যারাফরমালডিহাইড, প্যারাফরমালডিহাইড সলিউশন, প্যারাফর্ম, ফর্মাজিন ইত্যাদি। ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ ফলপ্রসূ করতে চাইলে ভিন্ন নামে ফরমালিন আমদানির এ সুযোগ বন্ধ করতে হবে। খাবারে কোন মাত্রার ফরমালিন থাকলে তা অপরাধ হিসেবে আমলে নেয়া যাবে, আইনে তারও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেছেন, আইন হওয়ার পর আরও বিধি তৈরি করে এর আওতা নির্ধারণ করা হবে। সেক্ষেত্রে আইনের সব ফাঁকফোকর বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে, এটাই কাম্য। নয়তো আরও অনেক আইনের মতো এ আইনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করাও কঠিন হয়ে যাবে। কেননা দুর্জনের ছলের অভাব হয় না। অসাধু ব্যবসায়ীরা আইনের ফাঁক খুঁজবেই। ফাঁক রেখে আইন করে কোনো লাভ নেই।
No comments