কাঁদছে ব্রাজিল- নেইমার ছাড়া পারবে কি?
তবে কি ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্বপ্ন চুরমার
হয়ে গেলো! নাকি নেইমার ছাড়াও যুদ্ধটা নিজেদের করে নেয়ার সামর্থ্য রাখে
ব্রাজিল। এ প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে ব্রাজিলসহ সারা বিশ্বের ব্রাজিল সমর্থকদের
মনে। এর কারণটাও যথেষ্ট সঙ্গত। মূলত, নেইমার-নির্ভর ব্রাজিল বিশ্বকাপে
যতোটা দূর অগ্রসর হয়েছে, তার মূল কৃতিত্বই দিতে হয় তাকে। এবার প্রসঙ্গে
ফেরা যাক। গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার হুয়ান
ক্যামিলা জুনিগার আঘাতে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় নেইমারকে। ফোর্তালেজা
হাসপাতালে স্বাস্থ্য-পরীক্ষায় তার কামরের হাড়ে চিড় ধরা পড়ে। হাসপাতালের
বাইরে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন বহু সমর্থক। ফলে, নেইমার
ছাড়াই বাকি ম্যাচ বা ম্যাচগুলো খেলতে হবে ব্রাজিলকে। ব্রাজিলের সংবাদ
মাধ্যমগুলো বলছে, বিশ্বকাপ শেষ নেইমারের। এদিকে প্রিয় তারকা বিশ্বকাপ থেকে
ছিটকে পড়েছেন, এ বিষয়টি ব্রাজিলের মানুষ কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারছেন না।
সমর্থকদের একজন বলছিলেন, নেইমার আমাদের দলের স্তম্ভ। তাকে ছাড়া সামনে এগোনো
কঠিন হবে। তিনি বলছিলেন, অন্য দলগুলো আরও কিছু খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল
হলেও, আমরা নেইমারের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। সেমিফাইনালে উজ্জীবিত
জার্মানির বিরুদ্ধে লড়বে ব্রাজিল। তার ওপর গতকালের ম্যাচে গোল পাওয়া
ব্রাজিল দলের অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা বিশ্বকাপে দুটি হলুদ কার্ড পেয়ে থাকবেন
সাইডলাইনে। থাকবেন না ব্রাজিলের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা নেইমার। শেষ রক্ষা হবে
তো! ব্রাজিলবাসীরা ক্ষুব্ধ জুনিগার ওপর। ফেইসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিন্দার ঝড় বইছে। ফিফার কাছে জুনিগার কড়া
শাস্তিও দাবি করছেন সমর্থকরা। ব্রাজিলের ভরসা এখন ফ্রেড, ডেভিড লুইজ,
হাল্ক। সমর্থকরা ব্রাজিলের সেরা একাদশ সাজাচ্ছেন। আলেকজান্দ্রা নামে এক
সমর্থক বলছিলেন, নেইমারই শুধু আমাদের একমাত্র খেলোয়াড় নয়। আমাদের ফ্রেডের
মতো খেলোয়াড় আছে। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন
তিনি। রেনান নামে অপর এক সমর্থক ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে বলছিলেন, ব্রাজিল
নেইমারের ওপর বেশ নির্ভরশীল হলেও, যেভাবেই হোক ফল আমাদের পক্ষে ছিল। তিনি
বলেন, আমাদের রক্তে ফুটবল রয়েছে। জিতি বা হারি, আমরা আমাদের সেরাটা উজাড়
করে দেবো।
No comments