নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-অবশেষে বেতন পাচ্ছেন ৯১ হাজার শিক্ষক-সরকারীকরণের সুবিধা পেতে আরো দুই মাস অপেক্ষা! by আজিজুল পারভেজ
দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে নতুন জাতীয়করণের
আওতায় আসা ২২ হাজার ৯৮১টি নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের
বেতন-ভাতা অবশেষে ছাড় হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৯১ হাজার ২৪ জন শিক্ষকের
মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার
মাসের বেতন-ভাতা বিদায়ী
অর্থবছরের মধ্যেই অর্থাৎ আগামী ৩০ জুনের মধ্যেই ছাড় করার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে বেসরকারি হিসেবেই এখন এই বেতন-ভাতা পাবেন শিক্ষকরা। সরকারীকরণের
পূর্ণাঙ্গ স্বাদ পেতে তাঁদের কমপক্ষে আরো দুই মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে।
আগামী আগস্টের দিকে যখন সরকারি হিসেবে বেতন-ভাতা দেওয়া শুরু হবে তখন তারা
গত জানুয়ারি থেকে বকেয়া অংশ এরিয়ার হিসেবে পেয়ে যাবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে
জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে তিন দফায় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। এরপর প্রশাসনিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া এবং শিক্ষকদের কিছু দাবি-দাওয়ার বিষয়টি ঝুলে যায়। জাতীয়করণের আওতায় আসার সাড়ে তিন মাস পর গত এপ্রিলে বেসরকারি শিক্ষক হিসেবেই দুদফায় ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের এমপিওর টাকা পেয়েছিলেন তাঁরা। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁরা ওই টাকা আর পাননি। ফলে গত চার মাস শিক্ষকরা অনেকটা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. মোতাহার হোসেন বলেন, এক লাখ চার হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণে সরকারের প্রতি মাসে অতিরিক্ত ১৭০০ কোটি টাকা লাগছে। জুনের মধ্যেই তাঁদের বেতনসহ সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল। তবে সবকিছু যাচাই-বাছাইয়ে সময় লাগছে। ভুল হলে পেনশনের সময় শিক্ষকরা বেকায়দায় পড়বেন। তাই এমপিওর অর্থ এখনই ছাড় দেওয়া হচ্ছে। প্রক্রিয়া শেষ হলে বাকি সরকারি সুযোগ-সুবিধা শিগগির পেয়ে যাবেন তাঁরা।
জাতীয়করণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করে বিদ্যালয় অধিগ্রহণে বিভাগভিত্তিক গেজেট প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত সোমবার পর্যন্ত সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল- এই চার বিভাগের ১০ হাজার ৪২২টি এমপিওভুক্ত নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলো।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জুন মাসের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে অন্য বিভাগের বিদ্যালয়গুলোর জাতীয়করণের প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এরপর অধিগ্রহণ করা বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের তালিকা করে চাকরি জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তারপর তাঁদের সরকারি হিসেবে বেতন-ভাতা দেওয়া শুরু করতে আরো কিছু সময় লাগবে। আশা করছি আগস্ট থেকে শিক্ষকদের সরকারি হিসেবে বেতন দেওয়া শুরু করা সম্ভব হবে।
বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন ইউনিটের মহাপরিচালক মো. আবদুল হালিম বলেন, শিক্ষকদের কিছু দাবির কারণেই সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বেতন ছাড় করা সম্ভব হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যেই মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বকেয়া সব বেতন-ভাতা ইউনিট থেকে ছাড় করা হবে। আর জুলাই থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার বিষয়টি চলে যাবে।
জাতীয়করণের আওতায় আসা ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন এক লাখ তিন হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষক। তাঁদের পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হচ্ছে। প্রথম দফায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এমপিওভুক্ত ৯১ হাজার ২৪ জন শিক্ষককে জাতীয়করণ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় আগামী ১ জুলাই থেকে স্থায়ী/অস্থায়ী নিবন্ধন, পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত কমিউনিটি এবং সরকারি অর্থায়নে এনজিও পরিচালিত দুই হাজার ২৫২টি বিদ্যালয়ের ৯ হাজার ২৫ জন শিক্ষককে জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে। এরপর পাঠদানের অনুমতির সুপারিশপ্রাপ্ত এবং অনুমতির অপেক্ষায় থাকা ৯৬০টি বিদ্যালয়ের তিন হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষককে তৃতীয় ধাপে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি জাতীয়করণের আওতায় আনার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা শেখ আবদুস সালাম মিয়া অভিযোগ করেন, আমলারা চাকরি জাতীয়করণ নিয়ে সময়ক্ষেপণ করছেন। তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতিতে চাকরি জাতীয়করণের কাজ করছেন। আমলাতান্ত্রিক ঢিলেমিতে শিক্ষকরা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক লাখ চার হাজার শিক্ষককের দূরত্ব সৃষ্টি করার অপচেষ্টা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে তিন দফায় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। এরপর প্রশাসনিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া এবং শিক্ষকদের কিছু দাবি-দাওয়ার বিষয়টি ঝুলে যায়। জাতীয়করণের আওতায় আসার সাড়ে তিন মাস পর গত এপ্রিলে বেসরকারি শিক্ষক হিসেবেই দুদফায় ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের এমপিওর টাকা পেয়েছিলেন তাঁরা। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁরা ওই টাকা আর পাননি। ফলে গত চার মাস শিক্ষকরা অনেকটা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. মোতাহার হোসেন বলেন, এক লাখ চার হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণে সরকারের প্রতি মাসে অতিরিক্ত ১৭০০ কোটি টাকা লাগছে। জুনের মধ্যেই তাঁদের বেতনসহ সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল। তবে সবকিছু যাচাই-বাছাইয়ে সময় লাগছে। ভুল হলে পেনশনের সময় শিক্ষকরা বেকায়দায় পড়বেন। তাই এমপিওর অর্থ এখনই ছাড় দেওয়া হচ্ছে। প্রক্রিয়া শেষ হলে বাকি সরকারি সুযোগ-সুবিধা শিগগির পেয়ে যাবেন তাঁরা।
জাতীয়করণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করে বিদ্যালয় অধিগ্রহণে বিভাগভিত্তিক গেজেট প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত সোমবার পর্যন্ত সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল- এই চার বিভাগের ১০ হাজার ৪২২টি এমপিওভুক্ত নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলো।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জুন মাসের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে অন্য বিভাগের বিদ্যালয়গুলোর জাতীয়করণের প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এরপর অধিগ্রহণ করা বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের তালিকা করে চাকরি জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তারপর তাঁদের সরকারি হিসেবে বেতন-ভাতা দেওয়া শুরু করতে আরো কিছু সময় লাগবে। আশা করছি আগস্ট থেকে শিক্ষকদের সরকারি হিসেবে বেতন দেওয়া শুরু করা সম্ভব হবে।
বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন ইউনিটের মহাপরিচালক মো. আবদুল হালিম বলেন, শিক্ষকদের কিছু দাবির কারণেই সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বেতন ছাড় করা সম্ভব হয়নি। দু-এক দিনের মধ্যেই মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বকেয়া সব বেতন-ভাতা ইউনিট থেকে ছাড় করা হবে। আর জুলাই থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার বিষয়টি চলে যাবে।
জাতীয়করণের আওতায় আসা ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন এক লাখ তিন হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষক। তাঁদের পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হচ্ছে। প্রথম দফায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এমপিওভুক্ত ৯১ হাজার ২৪ জন শিক্ষককে জাতীয়করণ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় আগামী ১ জুলাই থেকে স্থায়ী/অস্থায়ী নিবন্ধন, পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত কমিউনিটি এবং সরকারি অর্থায়নে এনজিও পরিচালিত দুই হাজার ২৫২টি বিদ্যালয়ের ৯ হাজার ২৫ জন শিক্ষককে জাতীয়করণের আওতায় আনা হবে। এরপর পাঠদানের অনুমতির সুপারিশপ্রাপ্ত এবং অনুমতির অপেক্ষায় থাকা ৯৬০টি বিদ্যালয়ের তিন হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষককে তৃতীয় ধাপে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি জাতীয়করণের আওতায় আনার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা শেখ আবদুস সালাম মিয়া অভিযোগ করেন, আমলারা চাকরি জাতীয়করণ নিয়ে সময়ক্ষেপণ করছেন। তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতিতে চাকরি জাতীয়করণের কাজ করছেন। আমলাতান্ত্রিক ঢিলেমিতে শিক্ষকরা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক লাখ চার হাজার শিক্ষককের দূরত্ব সৃষ্টি করার অপচেষ্টা।
No comments