তিন লীগের দাপটে অস্থির চট্টগ্রাম by এস এম রানা
টেন্ডারবাজি তো বটেই, এর পাশাপাশি
চাঁদাবাজি এবং বিলবোর্ড-ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণেও চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ,
যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দাপট চলছে সমানতালে। এসব অপকর্ম চালাতে
গিয়ে মারামারি, খুনোখুনি তো লেগেই আছে, এমনকি থানা-পুলিশ এবং আদালতের ওপর
হামলার ঘটনাও ঘটছে।
ক্ষমতাসীন দলের এই দাপুটে-সন্ত্রাসী
নেতা-কর্মীদের মাথার ওপর আশীর্বাদ হয়ে রয়েছে বড় নেতাদের ছায়া। তাই প্রশাসনও
এদের কাছে অসহায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা তো দূরের কথা, লিখিত অভিযোগ
দেওয়ারও সাহস করে না কেউ। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে চট্টগ্রামের এই
চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজ লীগ নেতা-কর্মীদের বেশ কয়েকজনের নাম-পরিচয় ও তাদের
কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি পাওয়া গেছে।
পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মূলত সরকারি দলের দুজন প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙিয়ে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রামে নিয়মিত চাঁদাবাজি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকাজের টেন্ডার বাগিয়ে নেওয়া, সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে বাধা, থানায় ঢুকে ওসির সঙ্গে হাতাহাতি, আসামি ছিনিয়ে নেওয়া, বিলবোর্ড, কেব্ল্ লাইন, রেলওয়ের ক্রয়-বিক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন হলের নির্মাণকাজ বন্ধ, নাছিরাবাদ শিল্পাঞ্চলে নিয়মিত চাঁদাবাজি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিদ্যুৎ বিভাগের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ এমন কোনো কাজ নেই, যা করছে না। সর্বশেষ গত সোমবার চট্টগ্রাম রেলভবনে দেড় কোটি টাকার টেন্ডারবাজি নিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে শিশুসহ দুজন নিহত হয়। এ ঘটনার পর বন্দরনগরীতে এখন প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের লাগামহীন টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজির নেপথ্য কাহিনী।
দলীয় কিছু নেতা-কর্মীর এমন অপকর্মের পেছনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নাম আসছে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছিরের।
এ বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘দলের নাম ব্যবহার করে অনেকেই চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করছে বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মী কখনোই চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করতে পারে না।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, ‘এসব ঘটনায় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বা আ জ ম নাছির কেউই চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজদের প্রশ্রয় দেন না।’
রেলে টেন্ডারবাজি : বাংলাদেশ রেলওয়েতে ক্ষমতাধর টেন্ডারবাজ ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নামধারী এক শামীম। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন। বর্তমান সরকার আমলে তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এখন সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হেলাল আকবর বাবর এবং দিদারুল আলম গ্রুপ। এ দুই পক্ষই মূলত পুরো রেলওয়ের যাবতীয় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করছে। রেলের টেন্ডার নিয়ে প্রায় সময়ই সিআরবি এলাকা উত্তপ্ত রাখে দুই পক্ষ। গত সোমবার দুজন মারা যাওয়ার পর পুলিশের দায়ের করা মামলায় বাবরকে আসামি করা হলেও দিদারকে করা হয়নি। রেলওয়েতে টেন্ডারবাজি করতে যুবলীগ নেতা ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হেলাল আকবর বাবর ফোর স্টার সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। এই সিন্ডিকেটে বাবরের পরই তার অনুসারী দেলওয়ারের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। বাকি দুজনের নাম জানতে অনুসন্ধান চলছে।
পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মূলত সরকারি দলের দুজন প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙিয়ে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রামে নিয়মিত চাঁদাবাজি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকাজের টেন্ডার বাগিয়ে নেওয়া, সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে বাধা, থানায় ঢুকে ওসির সঙ্গে হাতাহাতি, আসামি ছিনিয়ে নেওয়া, বিলবোর্ড, কেব্ল্ লাইন, রেলওয়ের ক্রয়-বিক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন হলের নির্মাণকাজ বন্ধ, নাছিরাবাদ শিল্পাঞ্চলে নিয়মিত চাঁদাবাজি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিদ্যুৎ বিভাগের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ এমন কোনো কাজ নেই, যা করছে না। সর্বশেষ গত সোমবার চট্টগ্রাম রেলভবনে দেড় কোটি টাকার টেন্ডারবাজি নিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে শিশুসহ দুজন নিহত হয়। এ ঘটনার পর বন্দরনগরীতে এখন প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের লাগামহীন টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজির নেপথ্য কাহিনী।
দলীয় কিছু নেতা-কর্মীর এমন অপকর্মের পেছনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নাম আসছে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছিরের।
এ বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘দলের নাম ব্যবহার করে অনেকেই চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করছে বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মী কখনোই চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করতে পারে না।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, ‘এসব ঘটনায় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বা আ জ ম নাছির কেউই চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজদের প্রশ্রয় দেন না।’
রেলে টেন্ডারবাজি : বাংলাদেশ রেলওয়েতে ক্ষমতাধর টেন্ডারবাজ ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নামধারী এক শামীম। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন। বর্তমান সরকার আমলে তিনি কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এখন সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হেলাল আকবর বাবর এবং দিদারুল আলম গ্রুপ। এ দুই পক্ষই মূলত পুরো রেলওয়ের যাবতীয় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করছে। রেলের টেন্ডার নিয়ে প্রায় সময়ই সিআরবি এলাকা উত্তপ্ত রাখে দুই পক্ষ। গত সোমবার দুজন মারা যাওয়ার পর পুলিশের দায়ের করা মামলায় বাবরকে আসামি করা হলেও দিদারকে করা হয়নি। রেলওয়েতে টেন্ডারবাজি করতে যুবলীগ নেতা ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হেলাল আকবর বাবর ফোর স্টার সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। এই সিন্ডিকেটে বাবরের পরই তার অনুসারী দেলওয়ারের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। বাকি দুজনের নাম জানতে অনুসন্ধান চলছে।
No comments