বারলুসকোনির সাত বছর কারাদণ্ড-অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক
অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক ও
ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনিকে
সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁকে সরকারি কর্মকাণ্ড
থেকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মিলানের একটি আদালত গত সোমবার এ রায় দেন।
তবে বারলুসকোনি (৭৬) তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তিনি। ওই আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে যেতে হচ্ছে না। আদালতে বারলুসকোনির বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা আছে। গত বছর অক্টোবরে কর জালিয়াতির দায়ে তাঁর চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়।
বারলুসকোনির বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে মরক্কোর কারিমা এল মাহরু ওরফে রুবি নামের এক মডেল ও যৌনকর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে ২০১০ সালে। সে সময় রুবির বয়স ছিল ১৭। ইতালিতে যৌনকর্মীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত না হলেও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে যৌনকর্ম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ২০১১ সালে বারলুসকোনির বিচার শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারেরও অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, বারলুসকোনি ক্ষমতায় থাকাকালীন রুবি অন্য এক ঘটনায় গ্রেপ্তার হন। সে সময় বারলুসকোনি রুবিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া বারলুসকোনির ব্যক্তিগত বাসভবনে প্রায়ই যৌনকর্মীদের নিয়ে পার্টি হতো। সেসব পার্টি 'বুঙ্গাবুঙ্গা পার্টি' নামে পরিচিত।
শুরু থেকেই বারলুসকোনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আদালতে রুবি বারলুসকোনির কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও যৌন সংসর্গের কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, পার্টিতে অংশ নেওয়ার উপহার হিসেবে তিনি ওই অর্থ পেয়েছেন।
সরকারি আইনজীবীরা আদালতে বারলুসকোনির ছয় বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। বারলুসকোনির আইনজীবী নিকোলো ঘেদিনি বলেন, 'এ রায় বাস্তবতা বিবর্জিত। আদালত আইনজীবীদের অনুরোধের বাইরে গিয়ে রায় দিয়েছেন।' বারলুসকোনি বলেন, 'আমি এ রায় প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।'
সোমবারের রায়ে ইতালির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেত্তার জোট সরকারে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ, বারলুসকোনির মধ্য ডানপন্থী দলের সমর্থন নিয়ে তিনি সরকার গঠন করেছেন। যদিও বারলুসকোনি বলেছেন সরকারের প্রতি তাঁর সমর্থন অব্যাহত থাকবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
তবে বারলুসকোনি (৭৬) তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তিনি। ওই আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে যেতে হচ্ছে না। আদালতে বারলুসকোনির বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা আছে। গত বছর অক্টোবরে কর জালিয়াতির দায়ে তাঁর চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়।
বারলুসকোনির বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে মরক্কোর কারিমা এল মাহরু ওরফে রুবি নামের এক মডেল ও যৌনকর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে ২০১০ সালে। সে সময় রুবির বয়স ছিল ১৭। ইতালিতে যৌনকর্মীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত না হলেও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে যৌনকর্ম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ২০১১ সালে বারলুসকোনির বিচার শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারেরও অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, বারলুসকোনি ক্ষমতায় থাকাকালীন রুবি অন্য এক ঘটনায় গ্রেপ্তার হন। সে সময় বারলুসকোনি রুবিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া বারলুসকোনির ব্যক্তিগত বাসভবনে প্রায়ই যৌনকর্মীদের নিয়ে পার্টি হতো। সেসব পার্টি 'বুঙ্গাবুঙ্গা পার্টি' নামে পরিচিত।
শুরু থেকেই বারলুসকোনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আদালতে রুবি বারলুসকোনির কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও যৌন সংসর্গের কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, পার্টিতে অংশ নেওয়ার উপহার হিসেবে তিনি ওই অর্থ পেয়েছেন।
সরকারি আইনজীবীরা আদালতে বারলুসকোনির ছয় বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। বারলুসকোনির আইনজীবী নিকোলো ঘেদিনি বলেন, 'এ রায় বাস্তবতা বিবর্জিত। আদালত আইনজীবীদের অনুরোধের বাইরে গিয়ে রায় দিয়েছেন।' বারলুসকোনি বলেন, 'আমি এ রায় প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।'
সোমবারের রায়ে ইতালির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেত্তার জোট সরকারে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ, বারলুসকোনির মধ্য ডানপন্থী দলের সমর্থন নিয়ে তিনি সরকার গঠন করেছেন। যদিও বারলুসকোনি বলেছেন সরকারের প্রতি তাঁর সমর্থন অব্যাহত থাকবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments