নর্থ সাউথে আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থাই নেই
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে নিজস্ব কোনো
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। অগ্নিকাণ্ডের পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেই
পানির সরবরাহ। আগুন লাগলে বাজানো হয় না সতর্কীকরণ সংকেত। ঝুঁকি
ব্যবস্থাপনারও কার্যকর ব্যবস্থা নেই।
রাজধানীর বসুন্ধরা
আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে রবিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের
ঘটনার খোঁজখবর নিতে গিয়ে এমন ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রবিবার অগ্নিকাণ্ডের পর ইউনিভার্সিটির ৯টি পথ বন্ধ করে নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। পানি ও প্রশিক্ষিত অগ্নিনির্বাপণকর্মী ছাড়াই ওই ব্যর্থ চেষ্টা চালানো হয়। ফলে আগুন চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর পরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। এলাকাবাসীই প্রথম ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। আগুনে অডিটরিয়াম ভবনের তিনটি বেসমেন্ট পুড়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে পুরো ইউনিভার্সিটির বিদ্যুৎ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
এই অগ্নিকাণ্ডে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এমন দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে ২৯ জুন পর্যন্ত ইউনিভার্সিটির সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ অগ্নিকাণ্ড ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দেয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিনির্বাপণে বারিধারা, তেজগাঁও ও কুর্মিটোলা স্টেশনের দুটি এবং সদর দপ্তরের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান উপপরিচালক (অ্যাম্বুল্যান্স) আমির হোসেন মজুমদারকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমির হোসেন মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে ঘটনার কারণ, উৎস ও ক্ষয়ক্ষতিসহ সার্বিক বিষয়ে রিপোর্ট করব।’
জানা গেছে, রবিবার রাতে ইউনিভার্সিটির ছয়তলা অডিটরিয়াম ভবনের বেসমেন্ট ৩-এ জেনারেটরের সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে গ্যাস জেনারেটর পাওয়ার কন্ট্রোল রুম ছিল। ছিল পুরো ইউনিভার্সিটির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডে চারটি বড় গ্যাস জেনারেটর বিস্ফোরিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো দুটি। পুড়ে গেছে বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ১৮ দশমিক ৫ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ ইউনিভার্সিটির নিজস্ব কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের অধীনে নামমাত্র তিনজন ফায়ার ফাইটার থাকলেও তাঁদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নেই। দুর্ঘটনার রাতে তাঁরা কেউই কাজ করেননি।
দায়িত্বরত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা দাবি করেন, রাত সাড়ে ৮টার আগে আগুন লাগে। তাঁরা টের পান সাড়ে ৮টার দিকে। তাৎক্ষণিক তিনি বারিধারা ফায়ার স্টেশনে খবর দেন। ঘটনা টের পেয়ে তিনি ৯ নম্বর গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তা সুপারভাইজার অর্জুনকে সংবাদ দেন। এরপর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে জানান। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ওই সময় মাত্র চারটি অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। ওই কর্মকর্তার দাবি, অডিটরিয়াম ভবনে ১০টি অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। তবে এগুলোর ব্যবহার হয়েছে কি না তিনি বলতে পারেননি।
ছিল না পানির সরবরাহ : বারিধারা ফায়ার স্টেশন থেকে প্রথমে দুটি অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে অন্ধকার, গ্যাস ও পানি সংকটসহ নানা সমস্যায় তাদের কাজ বিঘ্নিত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের বারিধারা স্টেশন অফিসার ও তদন্ত কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, আগুনের সংবাদ পেয়ে তাঁরা রাত ৮টা ৪০ মিনিটে রওনা হন। ঘটনাস্থলে এসে তাঁরা দেখেন, আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি বলেন, ‘আমরা নর্থ সাউথে কোনো পানি পাইনি। সেখানে পানির রিজার্ভ ছিল না। পানির পাম্পটিও কাজ করছিল না। পরে পাশের ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ও দুটি বাড়ি থেকে পানি সংগ্রহ করি। ঘটনাস্থলের কাছে পানির উৎস থাকলে আগুন নেভানো সহজ হতো।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর মাহবুব বলেন, ‘শর্টসার্কিট থেকে আগুন ধরে তা তিনটি বেসমেন্টেই ছড়িয়ে যায়। এসির লাইন দিয়ে ধোঁয়া পুরো ইউনিভার্সিটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।’
দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা : জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের পরদিন সোমবার এক সভা শেষে কর্তৃপক্ষ ২৯ জুন পর্যন্ত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা করে। গতকাল পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থী ইউনিভার্সিটির ফটকে হাতে লেখা নোটিশ বোর্ড দেখে এ সিদ্ধান্ত জানতে পারেন। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। স্থাপত্য কৌশলের ছাত্র নজরান কালের কণ্ঠকে জানান, ২৯ জুন তাঁদের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। দুর্ঘটনার পর থেকে ইউনিভার্সিটিতেই তাঁর ল্যাপটপ ও কাগজপত্রসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ আটকে আছে। অথচ তাঁদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা হয়তো দু-চার দিন পেছাবে। কিন্তু আমরা তো আর থিসিস করার সুযোগ পাব না। চেয়ারম্যান স্যারকে ফোন দিচ্ছি। উনি আমাদের কারো ফোন ধরছেন না।’
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডে ইউনিভার্সিটির পুরো বিদ্যুৎ সংযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও। বর্তমানে প্রজেক্ট ডিরেক্টরের অধীনে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প সংযোগের ব্যবস্থা চলছে। পুরো সংস্কার করতে তিন সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগুন নিয়ে লুকোচুরি : গতকাল নর্থ সাউথে গেলে দুর্ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেননি নিরাপত্তাকর্মীরা। দায়িত্বশীল কেউ কথা বলতেও রাজি হননি। নর্থ সাউথের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর (অব.) ইমরান আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরাই প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিলেন। সেখানে আলাদা কোনো ফায়ার ইউনিট নেই। বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
নর্থ সাউথের উপপরিচালক (জনসংযোগ) বেলাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতিসহ সার্বিক বিষয়ে জানতে পারিনি। কাল (আজ) মিটিং শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া হবে।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রবিবার অগ্নিকাণ্ডের পর ইউনিভার্সিটির ৯টি পথ বন্ধ করে নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। পানি ও প্রশিক্ষিত অগ্নিনির্বাপণকর্মী ছাড়াই ওই ব্যর্থ চেষ্টা চালানো হয়। ফলে আগুন চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর পরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। এলাকাবাসীই প্রথম ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। আগুনে অডিটরিয়াম ভবনের তিনটি বেসমেন্ট পুড়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে পুরো ইউনিভার্সিটির বিদ্যুৎ ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
এই অগ্নিকাণ্ডে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এমন দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে ২৯ জুন পর্যন্ত ইউনিভার্সিটির সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ অগ্নিকাণ্ড ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দেয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিনির্বাপণে বারিধারা, তেজগাঁও ও কুর্মিটোলা স্টেশনের দুটি এবং সদর দপ্তরের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান উপপরিচালক (অ্যাম্বুল্যান্স) আমির হোসেন মজুমদারকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমির হোসেন মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে ঘটনার কারণ, উৎস ও ক্ষয়ক্ষতিসহ সার্বিক বিষয়ে রিপোর্ট করব।’
জানা গেছে, রবিবার রাতে ইউনিভার্সিটির ছয়তলা অডিটরিয়াম ভবনের বেসমেন্ট ৩-এ জেনারেটরের সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সেখানে গ্যাস জেনারেটর পাওয়ার কন্ট্রোল রুম ছিল। ছিল পুরো ইউনিভার্সিটির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডে চারটি বড় গ্যাস জেনারেটর বিস্ফোরিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো দুটি। পুড়ে গেছে বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ১৮ দশমিক ৫ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ ইউনিভার্সিটির নিজস্ব কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের অধীনে নামমাত্র তিনজন ফায়ার ফাইটার থাকলেও তাঁদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নেই। দুর্ঘটনার রাতে তাঁরা কেউই কাজ করেননি।
দায়িত্বরত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা দাবি করেন, রাত সাড়ে ৮টার আগে আগুন লাগে। তাঁরা টের পান সাড়ে ৮টার দিকে। তাৎক্ষণিক তিনি বারিধারা ফায়ার স্টেশনে খবর দেন। ঘটনা টের পেয়ে তিনি ৯ নম্বর গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তা সুপারভাইজার অর্জুনকে সংবাদ দেন। এরপর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে জানান। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ওই সময় মাত্র চারটি অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। ওই কর্মকর্তার দাবি, অডিটরিয়াম ভবনে ১০টি অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। তবে এগুলোর ব্যবহার হয়েছে কি না তিনি বলতে পারেননি।
ছিল না পানির সরবরাহ : বারিধারা ফায়ার স্টেশন থেকে প্রথমে দুটি অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে অন্ধকার, গ্যাস ও পানি সংকটসহ নানা সমস্যায় তাদের কাজ বিঘ্নিত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের বারিধারা স্টেশন অফিসার ও তদন্ত কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, আগুনের সংবাদ পেয়ে তাঁরা রাত ৮টা ৪০ মিনিটে রওনা হন। ঘটনাস্থলে এসে তাঁরা দেখেন, আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি বলেন, ‘আমরা নর্থ সাউথে কোনো পানি পাইনি। সেখানে পানির রিজার্ভ ছিল না। পানির পাম্পটিও কাজ করছিল না। পরে পাশের ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি ও দুটি বাড়ি থেকে পানি সংগ্রহ করি। ঘটনাস্থলের কাছে পানির উৎস থাকলে আগুন নেভানো সহজ হতো।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর মাহবুব বলেন, ‘শর্টসার্কিট থেকে আগুন ধরে তা তিনটি বেসমেন্টেই ছড়িয়ে যায়। এসির লাইন দিয়ে ধোঁয়া পুরো ইউনিভার্সিটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।’
দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা : জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের পরদিন সোমবার এক সভা শেষে কর্তৃপক্ষ ২৯ জুন পর্যন্ত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা করে। গতকাল পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থী ইউনিভার্সিটির ফটকে হাতে লেখা নোটিশ বোর্ড দেখে এ সিদ্ধান্ত জানতে পারেন। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। স্থাপত্য কৌশলের ছাত্র নজরান কালের কণ্ঠকে জানান, ২৯ জুন তাঁদের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। দুর্ঘটনার পর থেকে ইউনিভার্সিটিতেই তাঁর ল্যাপটপ ও কাগজপত্রসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ আটকে আছে। অথচ তাঁদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা হয়তো দু-চার দিন পেছাবে। কিন্তু আমরা তো আর থিসিস করার সুযোগ পাব না। চেয়ারম্যান স্যারকে ফোন দিচ্ছি। উনি আমাদের কারো ফোন ধরছেন না।’
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডে ইউনিভার্সিটির পুরো বিদ্যুৎ সংযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও। বর্তমানে প্রজেক্ট ডিরেক্টরের অধীনে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প সংযোগের ব্যবস্থা চলছে। পুরো সংস্কার করতে তিন সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগুন নিয়ে লুকোচুরি : গতকাল নর্থ সাউথে গেলে দুর্ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেননি নিরাপত্তাকর্মীরা। দায়িত্বশীল কেউ কথা বলতেও রাজি হননি। নর্থ সাউথের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মেজর (অব.) ইমরান আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরাই প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিলেন। সেখানে আলাদা কোনো ফায়ার ইউনিট নেই। বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
নর্থ সাউথের উপপরিচালক (জনসংযোগ) বেলাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতিসহ সার্বিক বিষয়ে জানতে পারিনি। কাল (আজ) মিটিং শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া হবে।’
No comments