টেন্ডারবাজি নিয়ে সংঘর্ষ গুলিতে শিশুসহ নিহত ২
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রায় দেড় কোটি টাকার
তিনটি কাজের দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের সিআরবি সাত
রাস্তার মোড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক শিশুসহ দুজন নিহত
হয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির
সহসম্পাদক হেলাল আকবর বাবর এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দিদারুল আলম দিদারের
অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক সাইফুল আলম
লিমন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত সাজু পালিত (৩২) স্থানীয়
এনায়েত বাজার ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি এবং আট বছরের আরমান হোসেন
মাদ্রাসার ছাত্র।
সোমবার রেলভবনসংলগ্ন এলাকায় গোলাগুলির সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তবে পরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে লিমনসহ ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল দুপুরে তাদের চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম লুৎফুল মজিদ নয়নের আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে ৪৪ জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বাকি আটজনকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে লিমনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তবে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর বাবরের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানা যায়নি। টেন্ডারবাজির হোতা লিমনকে বহিষ্কার করার বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং রেলওয়ের টেন্ডারবাজিতে সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে লিমনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
ঘটনার পর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মহিবুর রহমান বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ৮৭ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হেলাল আকবর বাবর, রিন্টু দাশসহ অন্য সন্ত্রাসীদের আসামি করা হয়। মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে এক পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া সাইফুল আলম লিমনকে। এ ছাড়া ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখানো হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশুসহ দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাক আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় শিশু আরমান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সাজুকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর তিনি সেখানে মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে দুজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ এজাহারভুক্ত হেলাল আকবর বাবর এবং রিন্টু দাশসহ অন্যরা এখনো পলাতক আছে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ, রেলওয়ে এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রেলওয়ের ফেনী ও কুমিল্লায় দুটি লেভেলক্রসিং নির্মাণ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন সংস্কারের জন্য এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত সোমবার দরপত্র দাখিলের শেষ দিনে সকাল ১১টার দিকে বাবরের কয়েকজন অনুসারী রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কার্যালয়ে গিয়ে বাক্সে দরপত্র ফেলে আসে। পাশাপাশি অন্য ঠিকাদাররা যাতে সেখানে পৌঁছতে না পারে সে জন্য পুরো এলাকায় মহড়া দিতে থাকে। সাড়ে ১১টায় লিমন গ্রুপের কয়েকজন টেন্ডার বক্সে দরপত্র ফেলতে সিআরবি এলাকায় যায়। সে সময় বাবর গ্রুপের সন্ত্রাসীরা লিমনের লোকজনকে ‘কথা আছে’ বলে সাত রাস্তার মাথার দিকে নিয়ে যায়। তখনই টেন্ডারে অংশগ্রহণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে সাত রাস্তার মাথায় পৌঁছে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গোলাগুলি শুরু হয়। এতে বাবর গ্রুপের সাজু পালিত এবং মায়ের সঙ্গে নানার বাসায় যাওয়ার পথে আরমান গুলিবিদ্ধ হয়। সাজু মিরসরাই থানার পূর্ব হিঙ্গলী গ্রামের মৃত কানু পালিতের এবং আরমান কিশোরগঞ্জ সদর থানার চিকনীরচর পশ্চিমপাড়ার ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিমন ও তার অনুসারী ছাত্রলীগ ক্যাডাররা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দিদারের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েল অ্যাসোসিয়েটের পক্ষে টেন্ডার জমা দিতে গিয়েছিল। এ ছাড়া হেলাল আকবর বাবরও ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে পুলিশের দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডাররা নাইন এমএম পিস্তল ব্যবহার করে বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী ও টেন্ডার ওপেন কমিটির সদস্য আবুল কালাম এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ভাতসলা স্টেশনের পুনর্নির্মাণ কাজ, ফেনী ও কুমিল্লায় দুটি নতুন লেভেলক্রসিংয়ের কাজের টেন্ডার জমাদানের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টেন্ডার জমা পড়েছে। প্রত্যেকটি কাজের বিপরীতে মাত্র দুটি করে টেন্ডার জমা পড়ে।’ তিনি দাবি করেন, রেলওয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
সোমবার রেলভবনসংলগ্ন এলাকায় গোলাগুলির সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তবে পরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে লিমনসহ ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল দুপুরে তাদের চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম লুৎফুল মজিদ নয়নের আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে ৪৪ জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বাকি আটজনকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে লিমনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তবে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর বাবরের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানা যায়নি। টেন্ডারবাজির হোতা লিমনকে বহিষ্কার করার বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং রেলওয়ের টেন্ডারবাজিতে সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে লিমনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
ঘটনার পর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মহিবুর রহমান বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ৮৭ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হেলাল আকবর বাবর, রিন্টু দাশসহ অন্য সন্ত্রাসীদের আসামি করা হয়। মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে এক পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া সাইফুল আলম লিমনকে। এ ছাড়া ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখানো হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশুসহ দুজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাক আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় শিশু আরমান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সাজুকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর তিনি সেখানে মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে দুজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ এজাহারভুক্ত হেলাল আকবর বাবর এবং রিন্টু দাশসহ অন্যরা এখনো পলাতক আছে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ, রেলওয়ে এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রেলওয়ের ফেনী ও কুমিল্লায় দুটি লেভেলক্রসিং নির্মাণ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন সংস্কারের জন্য এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত সোমবার দরপত্র দাখিলের শেষ দিনে সকাল ১১টার দিকে বাবরের কয়েকজন অনুসারী রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কার্যালয়ে গিয়ে বাক্সে দরপত্র ফেলে আসে। পাশাপাশি অন্য ঠিকাদাররা যাতে সেখানে পৌঁছতে না পারে সে জন্য পুরো এলাকায় মহড়া দিতে থাকে। সাড়ে ১১টায় লিমন গ্রুপের কয়েকজন টেন্ডার বক্সে দরপত্র ফেলতে সিআরবি এলাকায় যায়। সে সময় বাবর গ্রুপের সন্ত্রাসীরা লিমনের লোকজনকে ‘কথা আছে’ বলে সাত রাস্তার মাথার দিকে নিয়ে যায়। তখনই টেন্ডারে অংশগ্রহণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে সাত রাস্তার মাথায় পৌঁছে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গোলাগুলি শুরু হয়। এতে বাবর গ্রুপের সাজু পালিত এবং মায়ের সঙ্গে নানার বাসায় যাওয়ার পথে আরমান গুলিবিদ্ধ হয়। সাজু মিরসরাই থানার পূর্ব হিঙ্গলী গ্রামের মৃত কানু পালিতের এবং আরমান কিশোরগঞ্জ সদর থানার চিকনীরচর পশ্চিমপাড়ার ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিমন ও তার অনুসারী ছাত্রলীগ ক্যাডাররা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দিদারের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েল অ্যাসোসিয়েটের পক্ষে টেন্ডার জমা দিতে গিয়েছিল। এ ছাড়া হেলাল আকবর বাবরও ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে পুলিশের দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডাররা নাইন এমএম পিস্তল ব্যবহার করে বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী ও টেন্ডার ওপেন কমিটির সদস্য আবুল কালাম এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ভাতসলা স্টেশনের পুনর্নির্মাণ কাজ, ফেনী ও কুমিল্লায় দুটি নতুন লেভেলক্রসিংয়ের কাজের টেন্ডার জমাদানের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টেন্ডার জমা পড়েছে। প্রত্যেকটি কাজের বিপরীতে মাত্র দুটি করে টেন্ডার জমা পড়ে।’ তিনি দাবি করেন, রেলওয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
No comments