স্নোডেনকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্রের হুড়াহুড়ি-অনলাইন থেকে
৩০ বছর বয়সী আলোড়ন সৃষ্টিকারী স্নোডেনকে
ধরতে চেষ্টা করাটা সোমবার সফল হয়নি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গোয়েন্দা সংস্থার
বিশ্বব্যাপী দাবড়ে বেড়ানোর প্রচেষ্টা প্রহসন হয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র তাঁর
পাসপোর্ট বাতিল করে এবং হংকংয়ের কাছে তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
কিন্তু
হংকং স্নোডেনকে ঠেলে বের করে দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র আর ক্ষোভ চাপা রাখতে
পারেনি। হোয়াইট হাউস পরিষ্কার জানিয়েছে, এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক
একটি টানটান অবস্থায় পৌঁছেছে।
চীনও মঙ্গলবার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদপত্রের মাধ্যমে ক্ষোভের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তারা স্নোডেনকে আদর্শবাদী ও বীর হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। পিপলস ডেইলি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সমালোচনা করছে, অথচ তাদের উচিত ছিল চীনের নেটওয়ার্ক হ্যাকিং করার জন্য ক্ষমা চাওয়া।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত স্নোডেনের কোনো হদিস নেই। যেসব সাংবাদিক মস্কো থেকে ইকুয়েডরে যাত্রাবিরতি করে হাভানা পর্যন্ত যাওয়া প্লেনটিতে ছিলেন, তাঁরা রিপোর্ট করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাজেন্সির সাবেক এই কন্ট্রাকটরকে কোথাও দেখা যায়নি। যদিও তিনি মস্কো বিমানবন্দরে চেক-ইন করেছেন। পরে বিমানটি কিউবায় গিয়ে নামলেও স্নোডেনের কোনো চিহ্ন নেই।
দিল্লিতে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, চীন স্নোডেনকে আটক করতে ব্যর্থ হয়েছে। চীনের পিপলস ডেইলির প্রথম পাতায় এর প্রতিবাদ করে লেখা হয়েছে, স্নোডেনের কারণে ওয়াশিংটনের সাধু সাজার মুখোশ খুলে গেছে। বরং যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের মডেল থেকে অন্যের ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় আড়িপাতার চরিত্রে পরিণত হয়েছে, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের কেন্দ্রীয় ক্ষমতার নিপুণ কারিগর হয়েছে এবং অন্য দেশের নেটওয়ার্ক দখলকারীতে পরিণত হয়েছে।
মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দর থেকে অ্যারোফ্লোটের যে বিমানটি হাভানার উদ্দেশে যাত্রা করে তাতে বোঝাই হয়ে ছিলেন সাংবাদিকরা। দৃশ্যত সে বিমানটিতে স্নোডেন ছিলেন না। ২৪ জন সাংবাদিক এসইউ-১৫০ বিমানে চড়েন এবং এই ফ্লাইটে কোনো অ্যালকোহল পরিবেশন করা হয়নি। পরে রয়টার্স রিপোর্ট করেছে যে প্লেনটি ছেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে একটি সাদা ভ্যান প্লেনটির কাছে আসে এবং পুলিশ সেখানে পাহারায় দাঁড়িয়ে ছিল। একজন সাদা শার্ট পরিহিত লোক সিঁড়ি দিয়ে বিমানে উঠে যান। ট্রানজিট এলাকায় যে রিপোর্টাররা ছিলেন, তাঁরা এই লোকটিকে চিহ্নিত করতে পারেননি। প্লেনটি কিউবায় অবতরণের সময় জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে। যে সাংবাদিকরা অবতরণ করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাঁদের বাধ্য করা হয় বিমানবন্দরের বাইরে একটি ভবনে অপেক্ষা করতে। হাভানার অদূরে হোসে মাতি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একজন ক্রু সাংবাদিকদের হাসতে হাসতে বলেছেন, এ বিমানে কোনো বিশেষ ব্যক্তি নেই। শুধুই সাংবাদিকরা। এপি বলেছে, ফ্লাইটে থাকা তাদের দুজন রিপোর্টার হাভানায় অবতরণ করে নিশ্চিত করেছেন যে স্নোডেন বিমানে ছিলেন না।
ওদিকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছেন, তিনি জানেন স্নোডেন কোথায়। এটা পরিষ্কার নয় যে স্নোডেনের হংকং থেকে পালাতে অ্যাসাঞ্জ ও উইকিলিকস কতটা ভুমিকা রেখেছে। অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, স্নোডেনের হংকং ছেড়ে আসার পর তাঁর ভ্রমণ ব্যয় উইকিলিকস বহন করছে।
লেখক : স্পেন্সার আকারম্যান ও ড্যান রবার্টস (ওয়াশিংটন থেকে), মিরিয়াম এলডার (মস্কো থেকে), তানিয়া ব্রানিগান (হংকং থেকে)।
মঙ্গলবান ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত নিবন্ধের সংক্ষেপিত ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
চীনও মঙ্গলবার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদপত্রের মাধ্যমে ক্ষোভের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে তারা স্নোডেনকে আদর্শবাদী ও বীর হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। পিপলস ডেইলি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সমালোচনা করছে, অথচ তাদের উচিত ছিল চীনের নেটওয়ার্ক হ্যাকিং করার জন্য ক্ষমা চাওয়া।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত স্নোডেনের কোনো হদিস নেই। যেসব সাংবাদিক মস্কো থেকে ইকুয়েডরে যাত্রাবিরতি করে হাভানা পর্যন্ত যাওয়া প্লেনটিতে ছিলেন, তাঁরা রিপোর্ট করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাজেন্সির সাবেক এই কন্ট্রাকটরকে কোথাও দেখা যায়নি। যদিও তিনি মস্কো বিমানবন্দরে চেক-ইন করেছেন। পরে বিমানটি কিউবায় গিয়ে নামলেও স্নোডেনের কোনো চিহ্ন নেই।
দিল্লিতে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, চীন স্নোডেনকে আটক করতে ব্যর্থ হয়েছে। চীনের পিপলস ডেইলির প্রথম পাতায় এর প্রতিবাদ করে লেখা হয়েছে, স্নোডেনের কারণে ওয়াশিংটনের সাধু সাজার মুখোশ খুলে গেছে। বরং যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের মডেল থেকে অন্যের ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় আড়িপাতার চরিত্রে পরিণত হয়েছে, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের কেন্দ্রীয় ক্ষমতার নিপুণ কারিগর হয়েছে এবং অন্য দেশের নেটওয়ার্ক দখলকারীতে পরিণত হয়েছে।
মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দর থেকে অ্যারোফ্লোটের যে বিমানটি হাভানার উদ্দেশে যাত্রা করে তাতে বোঝাই হয়ে ছিলেন সাংবাদিকরা। দৃশ্যত সে বিমানটিতে স্নোডেন ছিলেন না। ২৪ জন সাংবাদিক এসইউ-১৫০ বিমানে চড়েন এবং এই ফ্লাইটে কোনো অ্যালকোহল পরিবেশন করা হয়নি। পরে রয়টার্স রিপোর্ট করেছে যে প্লেনটি ছেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে একটি সাদা ভ্যান প্লেনটির কাছে আসে এবং পুলিশ সেখানে পাহারায় দাঁড়িয়ে ছিল। একজন সাদা শার্ট পরিহিত লোক সিঁড়ি দিয়ে বিমানে উঠে যান। ট্রানজিট এলাকায় যে রিপোর্টাররা ছিলেন, তাঁরা এই লোকটিকে চিহ্নিত করতে পারেননি। প্লেনটি কিউবায় অবতরণের সময় জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে। যে সাংবাদিকরা অবতরণ করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাঁদের বাধ্য করা হয় বিমানবন্দরের বাইরে একটি ভবনে অপেক্ষা করতে। হাভানার অদূরে হোসে মাতি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একজন ক্রু সাংবাদিকদের হাসতে হাসতে বলেছেন, এ বিমানে কোনো বিশেষ ব্যক্তি নেই। শুধুই সাংবাদিকরা। এপি বলেছে, ফ্লাইটে থাকা তাদের দুজন রিপোর্টার হাভানায় অবতরণ করে নিশ্চিত করেছেন যে স্নোডেন বিমানে ছিলেন না।
ওদিকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছেন, তিনি জানেন স্নোডেন কোথায়। এটা পরিষ্কার নয় যে স্নোডেনের হংকং থেকে পালাতে অ্যাসাঞ্জ ও উইকিলিকস কতটা ভুমিকা রেখেছে। অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, স্নোডেনের হংকং ছেড়ে আসার পর তাঁর ভ্রমণ ব্যয় উইকিলিকস বহন করছে।
লেখক : স্পেন্সার আকারম্যান ও ড্যান রবার্টস (ওয়াশিংটন থেকে), মিরিয়াম এলডার (মস্কো থেকে), তানিয়া ব্রানিগান (হংকং থেকে)।
মঙ্গলবান ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত নিবন্ধের সংক্ষেপিত ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
No comments