কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তালেবানের হামলা-কারজাই অক্ষত আছেন
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্ট
প্রাসাদ ও যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) একটি
কার্যালয় লক্ষ্য করে গতকাল মঙ্গলবার হামলা চালিয়েছে তালেবান। গতকাল সকাল
সাড়ে ৬টায় প্রথম হামলা হয়।
গুলির পাশাপাশি গাড়িবোমা হামলা
চালায় জঙ্গিরা। চলে প্রায় এক ঘণ্টা। এতে চার হামলাকারী ও তিন
নিরাপত্তারক্ষী মারা গেছে। তবে প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই অক্ষত আছেন।
২০০৮ সালে কাবুলে এক হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে যান কারজাই। তারপর গতকালের ঘটনাকেই কাবুলে সবচেয়ে বড় হামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য কাতারের রাজধানী দোহায় কার্যালয় খোলার এক সপ্তাহের মধ্যেই কাবুলে এ হামলা করল তালেবান জঙ্গিরা। শান্তি আলোচনা শুরুর দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন দূত জেমস ডবিনসের কাবুল সফরের সময়ই এ হামলা হলো।
আফগান পুলিশ জানায়, ন্যাটোর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বাহিনীর (আইএসএএফ) ভুয়া নামফলক লাগানো দুটি গাড়ি নিয়ে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিন থেকে চারজন জঙ্গি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢোকার চেষ্টা করে। কারজাই ওই সময় প্রাসাদেই ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে একটি সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। নিরাপত্তা চৌকি পার হয়ে একটি গাড়ি প্রাসাদের ভেতরেও ঢুকে পড়ে। দ্বিতীয় গাড়িটি ঢোকার সময় নিরাপত্তা রক্ষীদের সন্দেহ হয়। তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দুটি গাড়িই বিস্ফোরিত হয় এবং হামলাকারীদের সবাই মারা যায়। সিআইএর কার্যালয়ের কাছে এ বিস্ফোরণ হয়। তবে বিস্ফোরণে প্রাসাদের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। হামলাকারীরা সামরিক পোশাকে ছিল বলেও জানায় পুলিশ।
আফগান সরকারের মুখপাত্র রাফি ফেরদৌস জানান, জঙ্গি হামলায় তিন নিরাপত্তা রক্ষী নিহত ও চার জঙ্গি মারা গেছে। আরেক নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছেন।
হামলা শুরুর পরবর্তী এক ঘণ্টা ধরে কাবুলের বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকের সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, 'তালেবানের একটি বড় দল সিআইএর কার্যালয় লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও নিকটবর্তী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কেও লক্ষ্যে পরিণত করা হয়।' এদিকে, আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশে গতকাল রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে আট নারী ও এক শিশু নিহত হয়েছে। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তারা বিস্ফোরণের কবলে পড়ে। সূত্র : এএফপি।
২০০৮ সালে কাবুলে এক হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে যান কারজাই। তারপর গতকালের ঘটনাকেই কাবুলে সবচেয়ে বড় হামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য কাতারের রাজধানী দোহায় কার্যালয় খোলার এক সপ্তাহের মধ্যেই কাবুলে এ হামলা করল তালেবান জঙ্গিরা। শান্তি আলোচনা শুরুর দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন দূত জেমস ডবিনসের কাবুল সফরের সময়ই এ হামলা হলো।
আফগান পুলিশ জানায়, ন্যাটোর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বাহিনীর (আইএসএএফ) ভুয়া নামফলক লাগানো দুটি গাড়ি নিয়ে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিন থেকে চারজন জঙ্গি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢোকার চেষ্টা করে। কারজাই ওই সময় প্রাসাদেই ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে একটি সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। নিরাপত্তা চৌকি পার হয়ে একটি গাড়ি প্রাসাদের ভেতরেও ঢুকে পড়ে। দ্বিতীয় গাড়িটি ঢোকার সময় নিরাপত্তা রক্ষীদের সন্দেহ হয়। তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দুটি গাড়িই বিস্ফোরিত হয় এবং হামলাকারীদের সবাই মারা যায়। সিআইএর কার্যালয়ের কাছে এ বিস্ফোরণ হয়। তবে বিস্ফোরণে প্রাসাদের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। হামলাকারীরা সামরিক পোশাকে ছিল বলেও জানায় পুলিশ।
আফগান সরকারের মুখপাত্র রাফি ফেরদৌস জানান, জঙ্গি হামলায় তিন নিরাপত্তা রক্ষী নিহত ও চার জঙ্গি মারা গেছে। আরেক নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছেন।
হামলা শুরুর পরবর্তী এক ঘণ্টা ধরে কাবুলের বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকের সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, 'তালেবানের একটি বড় দল সিআইএর কার্যালয় লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও নিকটবর্তী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কেও লক্ষ্যে পরিণত করা হয়।' এদিকে, আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশে গতকাল রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে আট নারী ও এক শিশু নিহত হয়েছে। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তারা বিস্ফোরণের কবলে পড়ে। সূত্র : এএফপি।
No comments