হায় টেন্ডার, হায় রাজনীতি-খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই
আট বছরের এই শিশুটির কী অপরাধ ছিল? খেলতে
বেরিয়ে কেন তাকে জীবন দিতে হলো? কেন তার মা-বাবার এই বুকফাটা আর্তনাদ
টেলিভিশনের পর্দায় আমাদের দেখতে হলো? বিশ্বজিৎ হত্যা, ত্বকী হত্যার মতো
ঘটনাগুলো আমাদের কম কাঁদায়নি।
রাজনীতির নামে আমাদের আর কত
মূল্য দিতে হবে? চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, লুটপাট, অন্যের জমি দখল, খুন,
ধর্ষণ- এ সবই কি আজ আমাদের রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে যায়নি? কিন্তু
কেন?
খবরে প্রকাশ, চট্টগ্রামে রেলওয়ের ৪৮ লাখ টাকার টেন্ডার জমা দেওয়া নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গুলিতে আট বছরের এক শিশুসহ দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ দুটি গ্রুপ আবার আওয়ামী লীগের বড় দুজন নেতার অনুসারী। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে এই টেন্ডার-বিবাদে ওই বড় নেতারাও কি জড়িত নন? এ ঘটনায় পুলিশ কিছুটা হলেও ত্বরিত ভূমিকা পালন করেছে, অভিযুক্ত ৮৭ জন নেতা-কর্মীর ভেতরে রাতের মধ্যেই ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ছাত্রলীগ থেকে মূল আসামি হিসেবে অভিযুক্ত একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত এক যুবলীগ নেতাকেও বহিষ্কার করা হতে পারে বলে জানা গেছে। কিন্তু তারপর কী হবে? এগুলো কি কেবলই 'আইওয়াশ' হিসেবে গণ্য হবে? যেনতেন তদন্ত ও দুর্বল অভিযোগপত্রের সুবাদে তারা কি মামলা থেকে রেহাই পেয়ে যাবে না? চুন খেয়ে মুখ পুড়লে দই দেখলেও নাকি আতঙ্ক হয়। আমাদেরও হয়েছে একই অবস্থা। অতীতে এ ধরনের ঘটনা এত বেশি দেখতে হয়েছে যে এদের সুষ্ঠু বিচার হবে বলে আমরা ভরসা রাখতে পারছি না।
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মূল্যায়নের প্রক্রিয়া খুবই ভোঁতা অথবা একেবারেই দুর্বল বলে মনে করার যথেষ্ট সংগত কারণ আছে। ২০০৮ সালে এ দেশের মানুষ বিপুল সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটকে বিজয়ী করেছিল। আর ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থীরা সবাই বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। জনপ্রিয়তার এই ধস কি এসব অপকর্মেরই ফল নয়? এর আগে ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটকেও মানুষ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিল, তারাও সেই জনসমর্থন ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু আমাদের রাজনীতি সেসব থেকে কোনো শিক্ষাই নেয় না। বর্তমান সরকারের প্রথম বছর থেকেই টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজির বহু অভিযোগ উঠতে থাকে। কিন্তু মিডিয়ার সেসব অভিযোগ সরকার আমলে নেয়নি। টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে টেন্ডারবাজি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলতে থাকে। তারই পরিণতি চট্টগ্রামের ঘটনা। বর্তমান সরকারকে এসবের মূল্য দিতেই হবে।
খবরে প্রকাশ, চট্টগ্রামে রেলওয়ের ৪৮ লাখ টাকার টেন্ডার জমা দেওয়া নিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গুলিতে আট বছরের এক শিশুসহ দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ দুটি গ্রুপ আবার আওয়ামী লীগের বড় দুজন নেতার অনুসারী। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে এই টেন্ডার-বিবাদে ওই বড় নেতারাও কি জড়িত নন? এ ঘটনায় পুলিশ কিছুটা হলেও ত্বরিত ভূমিকা পালন করেছে, অভিযুক্ত ৮৭ জন নেতা-কর্মীর ভেতরে রাতের মধ্যেই ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ছাত্রলীগ থেকে মূল আসামি হিসেবে অভিযুক্ত একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত এক যুবলীগ নেতাকেও বহিষ্কার করা হতে পারে বলে জানা গেছে। কিন্তু তারপর কী হবে? এগুলো কি কেবলই 'আইওয়াশ' হিসেবে গণ্য হবে? যেনতেন তদন্ত ও দুর্বল অভিযোগপত্রের সুবাদে তারা কি মামলা থেকে রেহাই পেয়ে যাবে না? চুন খেয়ে মুখ পুড়লে দই দেখলেও নাকি আতঙ্ক হয়। আমাদেরও হয়েছে একই অবস্থা। অতীতে এ ধরনের ঘটনা এত বেশি দেখতে হয়েছে যে এদের সুষ্ঠু বিচার হবে বলে আমরা ভরসা রাখতে পারছি না।
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মূল্যায়নের প্রক্রিয়া খুবই ভোঁতা অথবা একেবারেই দুর্বল বলে মনে করার যথেষ্ট সংগত কারণ আছে। ২০০৮ সালে এ দেশের মানুষ বিপুল সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটকে বিজয়ী করেছিল। আর ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থীরা সবাই বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। জনপ্রিয়তার এই ধস কি এসব অপকর্মেরই ফল নয়? এর আগে ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটকেও মানুষ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিল, তারাও সেই জনসমর্থন ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু আমাদের রাজনীতি সেসব থেকে কোনো শিক্ষাই নেয় না। বর্তমান সরকারের প্রথম বছর থেকেই টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজির বহু অভিযোগ উঠতে থাকে। কিন্তু মিডিয়ার সেসব অভিযোগ সরকার আমলে নেয়নি। টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে টেন্ডারবাজি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলতে থাকে। তারই পরিণতি চট্টগ্রামের ঘটনা। বর্তমান সরকারকে এসবের মূল্য দিতেই হবে।
No comments